NewsOne24

ম্যাচ রেফারিকে কি বলেছিলেন ব্রাথওয়েট?

স্পোর্টস ডেস্ক

নিউজ ওয়ান২ ৪

প্রকাশিত : ০৬:৫৪ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮ রোববার


বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ শেষ টি-টোয়েন্টিতে ২য় ইনিংসে লিটন দাসের আউট নিয়ে সেই বির্তকিত কাণ্ডের পর ম্যাচ রেফারি ও দলের খেলোয়ারদের কি বলেছিলেন ব্রাথওয়েট? ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তাই জানালেন তিনি।

এ সম্পর্কে ব্রাথওয়েট বলেন, আমি দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচের পরই ম্যাচ রেফারির কাছে গিয়েছিলাম। তাকে বলেছি, আমার মনে হয় না এ সিরিজে কোনও ফিফটি-ফিফটি সিদ্ধান্ত আমাদের পক্ষে আসেনি। সবগুলো ডিসিশন বাংলাদেশের পক্ষে গেছে। আমি কখনও কারো বিপক্ষে প্রতারণার অভিযোগ আনতে চাই না। আমি তা বলতেও চাই না। তারা (আম্পায়াররা) পেশাদার।

আমি ভাবতে চাই না যে, আম্পায়াররা পক্ষপাতমূলক সিদ্ধান্ত দিতেই মাঠে নেমেছেন। ভালো করে বলতে গেলে, আমি তাদের বিপক্ষে প্রতারণার অভিযোগ আনিনি। তবে ম্যাচ রেফারির দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছি, ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি সিরিজের সব ফিফটি ফিফটি ডিসিশন আমাদের বিপক্ষে গেছে। এটা সত্যি লাল ও সাদা- দুই বলেই আমরা আমাদের সেরাটা উপহার দিতে পারিনি। তবে এটাও ঠিক আম্পায়ারিং আমাদের ভালো খেলায় বিঘ্ন ঘটিয়েছে।

ওই ঘটনার বিস্তারিত ব্যাখ্যায় গিয়ে ব্রাথওয়েট বলেন, সবার জানা নো বলের রিভিউ হয় না। আম্পায়ার ‘নো’ না ডাকলে তখন সেটা রিভিউ নেয়া যায় বা রিভিউ করার নিয়ম আছে। কিন্তু এখানে আম্পায়ার নো ডেকে ফেলেছেন। সবাই দেখেছেন যা মোটেই নো বল ছিল না। অবশ্যই তখন বোলার থমাস ছিল চাপে। যে বলে উইকেট পাওয়ার কথা, সেখানে তার বলে ফ্রি হিট- খুব স্বাভাবিকভাবেই একটা বাড়তি আবেগ ও উত্তেজনা ভর করেছিল তার ওপর। অধিনায়ক হিসেবে আমার তখন দায়িত্ব ছিল দলকে সামলানো। আমি সেই চেষ্টাই করেছি। যেহেতু বারবার ফিফটি ফিফটি সিদ্ধান্তগুলো আমাদের বিপক্ষে যাচ্ছিল, তাই অধিনায়ক হিসেবে আমার কর্তব্য ছিল ম্যাচ রেফারিকে বিষয়টি বলা।

একপর্যায়ে ম্যাচ রেফারির সঙ্গে কিছু কঠিন কথাও বলতে হয়েছে। তার সঙ্গে কিছু ও মৃদু উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের পর অবশেষে জট পাকানো সমস্যার সমাধান হয়। এরপর আমি আমার ক্রিকেটারদের বোঝাতে সক্ষম হই যে, আমরা অনেক পরিশ্রম করেছি। এখান থেকে না খেলে মাঠ ছাড়া বা সিরিজ খুইয়ে ফিরে যাওয়া ভালো দেখায় না, ঠিকও হবে না।

তিনি আরও যোগ করেন, তাই সবাইকে বলি, সামর্থ্যের শেষবিন্দু দিয়ে লড়াই করতে। এর মধ্যে আমি ম্যাচ রেফারির কাছে পাঁচ মিনিট সময়ও চাই। যাতে করে ছেলেরা নিজেদের গুছিয়ে নিতে পারে। পাশাপাশি মনোযোগ-মনোসংযোগটাও ফিরে পেতে পারে। ম্যাচ রেফারিকে ধন্যবাদ, তিনি আমার সে অনুরোধ রেখেছেন। ওই সময় পাওয়ায় আমারও সুবিধা হয়। আমি সহযোগী ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলার ফুরসত পাই। তাদের বোঝাতে সক্ষম হই যে, আমাদের লড়াই করতে হবে। সবাই উদ্দীপ্ত হয় এবং বলতে থাকে এ ম্যাচ জিততে হবে আমাদের। জয়ের জন্য লড়তেও হবে।

নিউজওয়ান২৪/এমএম