জনসন পাউডার ব্যবহারে ক্যান্সার!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
নিউজ ওয়ান২ ৪
প্রকাশিত : ০৭:১২ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮ শনিবার

জনপ্রিয় নামি দামি কোম্পানি জনসন এন্ড জনসন। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, জনসন এন্ড জনসন কোম্পানির ট্যালকম পাউডারে ‘অ্যাসবেস্টস’ রয়েছে; আর এ বিষয়টি তারা আগে থেকেই জানতো।অ্যাসবেস্টস এমন এক যৌগ, যা জরায়ু-সহ অন্যান্য কয়েক ধরনের ক্যানসারের জন্য দায়ী।
রয়টার্স বলছে, এই ক্ষতিক্ষর অ্যাসবেস্টস এর বিষয়ে জনসন আগে থেকে জানতো। কিন্তু কোন পদক্ষেপ নেয় নি তারা।
রয়টার্সের এই খবরটি এমন সময় প্রকাশিত হয়, যখন কোম্পানিটি হাজার হাজার মামলার মুখোমুখি হয়েছে, যেখানে অভিযোগ আনা হয় যে তাদের এই ট্যালকম পাউডার ব্যবহারের কারণে ক্যান্সার হয়েছে।
গত জুলাই মাসে ২২জন নারীকে ৪৭০ কোটি ডলার জরিমানা পরিশোধ করার জন্য জনসন এন্ড জনসনকে আদেশ দেন আদালত, যারা অভিযোগ করেছিলেন যে, ট্যালক পণ্যের কারণে তাদের ওভারিয়ান ক্যান্সার হয়েছে।
এসব অভিযোগ ওঠার পর প্রতিষ্ঠানটি এই বড় জরিমানার মুখে পড়েছে, যদিও সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
জেএন্ডজে’র আইনজীবীর দাবি, জনসন এন্ড জনসনের বেবি পাউডার নিরাপদ এবং অ্যাসবেস্টসমুক্ত। রয়টার্সের প্রতিবেদনটি একপাক্ষিক, মিথ্যা আর উস্কানিমূলক। সোজা ভাষায় বলতে, রয়টার্সের প্রতিবেদনটি অযৌক্তিক ষড়যন্ত্র থেকে তৈরি করা হয়েছে।
আইনজীবী পিটার বিকস রয়টার্সকে একটি ইমেইলে বলেছেন, বেশিরভাগ বিজ্ঞানীর মতামত হল, যে ট্যালক উপাদান দিয়ে ট্যালকম বডি পাউডার তৈরি করা হয়, সেগুলো ক্যানসারের কারণ হয় না।
জনসন এবং জনসনের পাউডারে খুব সামান্য পরিমাণে বা চিহ্নিত না করার মতো অবস্থাতেও অ্যাসবেস্টসের উপস্থিতি নেই।
মামলার অংশ হিসেবে জনসন এন্ড জনসনের যেসব কাগজপত্র দেখা হয়েছে, সেগুলো পর্যালোচনা করেছে রয়টার্স, যদিও আদালতের আদেশের কারণে অনেক নথিপত্র দেখার নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
এসব কাগজপত্রে দেখা যায়, ১৯৭১ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির অভ্যন্তরীণ পরীক্ষায় কখনো কখনো এটির ট্যালক কাঁচামাল এবং তৈরি পণ্যে অ্যাসবেস্টসের সামান্য উপস্থিতি পাওয়া গেছে। প্রতিষ্ঠানটির বেশিরভাগ পরীক্ষাতে অ্যাসবেস্টস পাওয়া যায়নি। কিন্তু যেসব পরীক্ষায় সেটি পাওয়া গেছে, সেসব তথ্য তারা নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষকে জানায়নি।
মি. বিকস বলছেন, রয়টার্সের নিবন্ধে যেসব উদাহরণ টানা হয়েছে, সেগুলো ‘বিচ্ছিন্ন’ ফলাফল। আদালতে প্রতিষ্ঠানটি যুক্তি তুলে ধরেছে যে, অনেক কাগজপত্রে শিল্পখাতের ট্যালক পণ্যের বিবরণ রয়েছে।
নিউজওয়ান২৪/এমএম