কলড্রপ নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিউজ ওয়ান২ ৪
প্রকাশিত : ০৪:৪৪ পিএম, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮ বৃহস্পতিবার
ফাইল ছবি
মোবাইলে কলড্রপ হলে কলচার্জ কাটা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গ্রাহকদের মতামত না নিয়ে মোবাইল কলচার্জ বৃদ্ধি, কলড্রপে গ্রাহকদের ক্ষতিপূরণ না দেয়া ও ‘বিরক্তিকর’ এসএমএস পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা একটি রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার এ নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ারদীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন। টেলিযোগাযোগ সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, সেক্রেটারি, মোবাইল অপারেটর গ্রামীণ ফোন লিমিটেড, এয়ারটেল লিমিটেড, রবি আজিয়াটা লিমিটেড, বাংলালিংক লিমিটেড ও টেলিটকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
রিটকারীদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান জানান, এমনিতেই পাশ্ববর্তী দেশগুলোর তুলনায় আমাদের দেশে মোবাইল কলচার্জ বেশি। এরপরে গ্রাহকের মতামত না নিয়ে চলতি বছরের আগস্ট মাসে অতিরিক্ত কলরেট চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। যা গ্রাহকদের অধিকারের পরিপন্থী ও বেআইনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের(বিটিআরসি) প্রতিবেদন অনুযায়ী গত ১৩ মাসে ২২২ কোটি বার কলড্রপ করেছে মোবাইল অপারেটরগুলো।
বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জমা দেয়া এই রিট আবেদনে বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে কমিটি করে মোবাইল গ্রাহকদের অধিকার তত্ত্বাবাধন, পর্যবেক্ষণ এবং সুরক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়। সেই সঙ্গে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের অধিকার সুরক্ষায় বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে রুল চাওয়া হয়।
আইন সাংবাদিকদের সংগঠন ল’ রিপোটার্স ফোরামের সদস্য এম. বদিউজ্জামান, মেহেদী হাসান ডালিম, মোবাইল ফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমদ ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রাশিদুল হাসান ‘জনস্বার্থে’ এই রিট আবেদন করেছেন।
কলড্রপে গ্রাহকদের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ ও ক্ষতিপূরণ দিতে পৃথক কমিটি গঠনের আর্জিও জানানো হয়েছে রিটে। পাশাপাশি পুনরায় কলরেট ও অন্যান্য চার্জ বাড়ানো এবং মোবাইল গ্রাহকদের অনাবশ্যক ক্ষুদে বার্তা পাঠানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে।
নিউজওয়ান২৪/এএস