পাঁচজন’ই ভরসা
স্পোর্টস ডেস্ক
নিউজ ওয়ান২ ৪
প্রকাশিত : ০১:০১ পিএম, ১১ ডিসেম্বর ২০১৮ মঙ্গলবার
ফাইল ছবি
বাংলাদেশ দল এখন ধারাবাহিকভাবে জয় পাচ্ছেন। যে কোনও দলকে হারাতে পারে অনায়সেই। বাংলাদেশের ক্রিকেটে একসময় হতাশার চিহ্ন দেখা যেত নিয়মিত। তবে সেই দিন আর নেই। পরিবর্তন এসেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটে।
এ অবস্থানে আনার জন্য বিরাট অবদান মাশরাফি মুর্তজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। এই পাঁচজনের সামনে আজ দারুণ একটি মুহূর্ত অপেক্ষা করছে। মঙ্গলবার বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় ওয়ানডে হবে পাঁচ তারকার মিলিত শততম ওয়ানডে।
বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে অলরাউন্ডারদের র্যাংকিংয়ে শীর্ষা আসনে বসার কৃতিত্ব সাকিবের। ২০০৯ সালের ২২ জানুয়ারি প্রথমবার কীর্তিটা গড়ার পর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। সাকিবের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স বেশির ভাগ স্মরণীয় জয় এনে দিয়েছে বাংলাদেশকে।
বাংলাদেশের পক্ষে অধিকাংশ ব্যাটিং রেকর্ডের মালিক তামিমের সৌজন্যেও অনেক জয় এসেছে। দেশের অবিসংবাদিত সেরা ওপেনারের ব্যাটে তিন-চার বছর ধরে রানের জোয়ার। চার সতীর্থের সঙ্গে অন্যরকম সেঞ্চুরি’র ম্যাচ খেলতে নামার আগে ক্রিকেটবিষয়ক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোকে তিনি বলেছেন, সত্যিই এটা আমাদের জন্য এক অসাধারণ মুহূর্ত।
আমরা পাঁচজন একসঙ্গে শততম ম্যাচ খেলতে যাচ্ছি। আমরা ১৫ বছর ধরে একসঙ্গে খেলছি। এই সময়ে অনেক উত্থান-পতনের ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে আমাদের। আশা করি, মাইলফলকের ম্যাচটি আমরা স্মরণীয় করে রাখতে পারব।
২০০৫ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডসে অভিষিক্ত মুশফিকের ধারাবাহিকতা? দুর্দান্ত। তার নেতৃত্বে টেস্টে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া-শ্রীলংকার মতো পরাশক্তিকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। বিদেশের মাঠে দেশের পক্ষে সবচেয়ে বেশি টেস্ট সেঞ্চুরির মালিক মুশফিক ক্রিকইনফোকে বলেছেন, তামিম আমার অন্যতম ফেভারিট ক্রিকেটার। তার রূপান্তর এককথায় অবিশ্বাস্য।
তামিমের রানের খিদে আমাকেও ভালো খেলতে অনুপ্রাণিত করে। রিয়াদ ভাই বিশ্বকাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বেশ কয়েকটি জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। মাশরাফি ভাইকে নিয়ে কিছু বলার নেই। তিনি সবার রোল মডেল।
মাহমুদউল্লাহর ব্যাটিং বাংলাদেশের জন্য বড় ভরসা। ওয়ানডে আর টি ২০তে শেষদিকে দ্রুত রান করতে তিনি দক্ষ। গত মাসে জিম্বাবুয়ে এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুটি টেস্ট সেঞ্চুরি করে জানিয়ে দিয়েছেন, ৫ দিনের ক্রিকেটেও তিনি দেশের বড় সম্পদ। বিশ্বকাপে একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে সেঞ্চুরি করা মাহমুদউল্লাহ ক্রিকইনফোকে বলেছেন, তামিমের চিন্তা, মুশফিকের পরিশ্রম আমাকে অনুপ্রাণিত করে। সাকিব কীভাবে ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়, আমি তা বোঝার চেষ্টা করি। আমি আসলে ওদের কাছ থেকে যত বেশি সম্ভব শেখার চেষ্টা করি।
মাশরাফি শুধু পাঁচজনের মধ্যে নন, দলের সবচেয়ে সিনিয়র সদস্য। ক্যারিয়ারের শুরু থেকে ইনজুরির সঙ্গে ক্রমাগত লড়াই করে, সারা শরীরে সাত-সাতটি অস্ত্রোপচারের ধকল নিয়ে এগিয়ে চলেছেন ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’। ২০১৪ সালে ভয়ংকর দুঃসময়ে নেতৃত্বে এসে দেশের ক্রিকেটকে বদলে দিয়েছেন তিনি।
মাশরাফির অধিনায়কত্বে ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল, গত বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল আর গত সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলেছে বাংলাদেশ, ভারত-পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছে ওয়ানডে সিরিজে।
নিউজওয়ান২৪/ইরু