NewsOne24

মোট কতজন প্রার্থিতা ফিরে পেলেন?

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিউজ ওয়ান২ ৪

প্রকাশিত : ১২:২৮ পিএম, ৯ ডিসেম্বর ২০১৮ রোববার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল করে শনিবার (শেষদিন) সন্ধ্যা পর্যন্ত আবেদন করা ৫৪৩ প্রার্থীর মধ্যে ২০৮ জন তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। এরমধ্যে প্রথম দিনে ৮০ জন, দ্বিতীয় দিনে ৭৮ জন এবং শেষদিনে ৫০ জন ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ পাচ্ছেন।

রাত ৯টা পর্যন্ত দুই শতাধিক প্রার্থীকে বৈধ ঘোষনা করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত বিএনপির ৭৫ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। তবে, প্রার্থিতা ফিরে পাওয়াদের মধ্যে রয়েছে শতাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থী।

এছাড়া আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জাসদ, জেএসডি, জাকের পাটি, ঐক্যজোট, ইসলামী আন্দোলন, এনপিপি, বিএনএফ ও সিপিবিসহ একডজন দলের অর্ধশত প্রার্থী রয়েছে।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, ভোটের ইতিহাসে এতো সংখ্যক সংক্ষুদ্ধ ব্যাক্তির আপিল আবেদনের শুনানি হয়নি কমিশনে। তিনদিনে এসব আপিল নিষ্পতি করতে কমিশনকে হিমশিম খেতে হয়েছে। বিশেষ করে, আবেদনকারীদের সার্টিফাইড কপি সরবরাহ করতে গিয়ে চরম অব্যবস্থাপনা ছিল নির্বাচন কমিশনে। 

আজ রোববার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষদিন। রাজনৈতিক দলগুলোকে আজকের মধ্যে চূড়ান্ত প্রার্থী নিশ্চিত করতে ইসি ও রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানাতে হবে। তা না হলে প্রতীক বরাদ্দের সময় নতুন করে জটিলতায় পড়তে হবে দলগুলোকে।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এরইমধ্যে দলীয় একক ও জোটের প্রার্থী ঘোষণা করে কাজ গুছিয়ে এনেছে। কিন্তু রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি দুই শতাধিক আসনে একক প্রার্থী ঘোষণা দিয়েছে। আপিলে ফিরে পাওয়া প্রায় শতাধিক বিএনপির প্রার্থী ও ৫৫৫ জন বৈধ প্রার্থী এবং দলটির শরীক ১১ দলের আরো ২১৪জন প্রার্থীকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দিতে হিমশিম খেতে হবে।

ইসির তথ্যমতে, জোটের প্রার্থীকে দলীয় প্রতীক দিলে সংশ্লিষ্ট আসনে প্রধান দলের প্রার্থীরা স্বয়ংক্রীয়ভাবে প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যাবে। একই চিত্র হবে. বিএনপির ক্ষেত্রেও। জোটের কারো একক প্রার্থী থাকলে শরীক দলেল অন্যদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার হবে না। জোটের একক প্রার্থী রাখতে চাইলে সংশ্লিষ্ট দলের প্রার্থীকে নিজ উদ্যোগেই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে হবে।

এ নির্বাচনে ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে ৩ হাজার ৬৫জন প্রার্থি মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এর মধ্যে ৩৯টি রাজনৈতিক দলের প্রার্থী সংখ্যা ২ হাজার ৫৬৭জন ও বাকি ৪৯৮জন স্বতন্ত্র। নির্বাচনে ২৯৫ আসনে বিএনপির ৬৯৬জন, অপরদিকে আওয়ামী লীগ ২৬৪টি আসনে ২৮১জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। গত ২ ডিসেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তারা জমা হওয়া সব মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাইয় করে ৭৮৬জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। 

এর মধ্যে বিএনপির ১৪১জন ও আওয়ামী লীগের ৩ জন রয়েছেন। পরে কমিশনে ৫৪৩ জন আপিল করেন। আপিলকারীদের মধ্যে অন্তত ২০জনের প্রার্থিতা বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আপিল জমা হয়। বাকি সবাই প্রার্থিতা ফিরে পেতে আবেদন করেন। সিইসি কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের কমিশন এসব আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করেন।

আপিলে ফিরলেন যারা: 

শনিবার যাদের মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন

বিএনপির চাঁদপুর-৪ আসনে জেড খান মো. রিয়াজউদ্দিন
বান্দরবন পার্বত্য জেলা মা ম চিং
চট্টগ্রাম-৮ আসনে এম মোরশেদ খান
রাজশাহী-৫ আসনে মো. আবুবকর সিদ্দিক
রাজশাহী-৬ আসনে মো. আবু সাঈদ চাঁদ
টাঙ্গাইল-১ আসনে ফকীর মাহবুব আনাম স্বপন
ঢাকা-১৭ আসনে শওকত আজিজ
ঢাকা-১৯ আসনে মো. কাফিল উদ্দিন
নীলফারমারী-১ আসনে এ আহম্মেদ বাকের বিল্লাহ (মুন) 
রাজশাহী-৫ আসনে মো. নাদিম মোস্তফা

এদিন বিএনপির যেসব প্রার্থী আবেদন করেও প্রার্থিতা ফিরে পাননি তাদের মধ্যে রয়েছেন

চট্টগ্রাম-৫ মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন
ঝিনাইদহ-২ মো. মশিউর রহমান
চাঁদপুর-৪ আসনের বিএনপির হারুন অর রশীদ

শনিবার রাত ৯টা পর্যন্ত আপিল শুনানি অব্যাহত থাকায় পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাওয়া যায়নি। এর আগে, দুই দিনে বিএনপির ৬০ জন, আওয়ামী লীগের ২ জন, গণফোরাম ২ জন, এলডিপি ৩ জন, জাকের পার্টি ১২ জন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ৮ জন, জাসদ ৪ জন, জেএসডি ২ জন, সিপিবি ৫ জন, ইসলামী ঐক্যজোট ৪ জন, এনপিপি ৪ জন, বিএনএফ ২ জন, খেলাফত মজলিস ২ জন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ একজন, বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্ট ৩ জন, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ ১ জন ও মুসলিম লীগের ২ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।

কোন দলে কতজন (হিসেব-নিকেশ):

বিএনপির ৭৫ জন, আওয়ামী লীগের ২ জন, স্বতন্ত্র শতাধিক

নিউজওয়ান২৪/জেডএস