রোকেয়ার জন্ম-মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিউজ ওয়ান২ ৪
প্রকাশিত : ১১:৫৪ এএম, ৯ ডিসেম্বর ২০১৮ রোববার
ফাইল ছবি
আজ ০৯ ডিসেম্বর ২০১৮ রোববার। ২৫ অগ্রহায়ণ, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ। ১৮৮০ সালের এই দিনে পৃথিবীর আলোর মুখ দেখেন খ্যাতিমান বাঙালি সাহিত্যিক ও সমাজ সংস্কারক বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন।
রংপুরের পায়রাবন্দে জন্ম নেয়া রোকেয়ার প্রকৃত নাম ছিল রোকেয়া খাতুন। বৈবাহিকসূত্রে নাম হয় রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন। কিন্তু তাকে বেগম রোকেয়া নামেই ডাকা হয়। তৎকালীন সমাজব্যবস্থায় রোকেয়া ও তার বোনদের বাইরে পড়াশোনা করতে পাঠানো হয়নি, তাদের ঘরে আরবি ও উর্দু শেখানো হয়। তবে রোকেয়ার বড় ভাই ইব্রাহীম সাবের আধুনিকমনা ছিলেন। তিনি রোকেয়া ও করিমুন্নেসাকে ঘরেই গোপনে বাংলা ও ইংরেজি শেখান।
১৮ বছর বয়সে রোকেয়ার বিয়ে হয় ভাগলপুরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে। বিয়ের পর রোকেয়ার আধুনিক পড়ালেখা আরো পুরোদমে শুরু হয় এবং তিনি সাহিত্যাঙ্গনেও পদার্পণের সুযোগ পান। বেশ কয়েকটি স্কুল পরিচালনা ও সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত রোকেয়া নিজেকে সাংগঠনিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত রাখেন।
১৯১৬ সালে তিনি মুসলিম বাঙালি নারীদের সংগঠন ‘আঞ্জুমানে খাওয়াতিনে ইসলাম’ প্রতিষ্ঠা করেন। তার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য রচনা ‘Sultana’s Dream’, যার অনূদিত রূপ ‘সুলতানার স্বপ্ন’। এটিকে বিশ্বের নারীবাদী সাহিত্যে একটি মাইলফলক ধরা হয়। তার অন্যান্য গ্রন্থ হলো- ‘পদ্মরাগ’, ‘অবরোধবাসিনী’, ‘মতিচুর’।
প্রবন্ধ, গল্প, উপন্যাসের মধ্য দিয়ে তিনি নারীশিক্ষার প্রয়োজনীয়তা আর লিঙ্গসমতার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। হাস্যরস আর ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের সাহায্যে পিতৃতান্ত্রিক সমাজে নারীর অসম অবস্থান ফুটিয়ে তোলেন তিনি। এসব অবদানের জন্য ঊনবিংশ শতাব্দীর খ্যাতিমান এ বাঙালি সাহিত্যিক ও সমাজ সংস্কারককে বাঙালি নারী জাগরণের অগ্রদূত হিসেবে গণ্য করা হয়।
বেগম রোকেয়া ১৯৩২ সালের একই তারিখে মৃত্যুবরণ করেন।
নিউজওয়ান২৪/জেডএস