NewsOne24

কিস্যা ৩ ক্রোর কা: মোদির `কালো বিড়াল` কি বের হয়ে যাচ্ছে!

বটতলা ডেস্ক

নিউজওয়ান২৪.কম

প্রকাশিত : ০৩:৩৮ পিএম, ১২ নভেম্বর ২০১৬ শনিবার | আপডেট: ০৬:৫০ পিএম, ১৫ নভেম্বর ২০১৬ মঙ্গলবার

নোট বাতিলকে কেন্দ্র করে  সিপিআইএম পশ্চিমবঙ্গের ফেসবুক পেজ-এ বিজেপি বিরোধী প্রচারণা

নোট বাতিলকে কেন্দ্র করে সিপিআইএম পশ্চিমবঙ্গের ফেসবুক পেজ-এ বিজেপি বিরোধী প্রচারণা

মোদি সরকারের `নোটবন্দি` (পাঁচ শ ও হাজার রুপির নোট বাতিল) কর্মসূচি নিয়ে পুরো ভারত জুড়ে তোলাপড় চলছে। কংগ্রেসসহ বিরোধী দলগুলো এর বিরোধীতা করলেও কালো টাকা ও জালটাকার বিরুদ্ধে তার এই কঠিন সিদ্ধান্ত প্রশংসা পাচ্ছে।

তবে এবার যে খবর ফাঁস হয়েছে তা মোদির প্রশংসার বেলুনে জমা হ্ওয়া সব হাওয়া বোধ হয় বের করে দেওয়ার জোগাড় করেছে। জানা গেছে, ৫০০ ও হাজারের নোট বাতিলে মোদিজীর ঘোষণার আগে দিয়ে ক্ষমতাসীন বিজেপির (ভারতীয় জনতা পার্টি) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের অ্যাকাউন্টে জমা করা হয় তিন কোটি রুপি। রাষ্ট্রীয় একটি ব্যাংকে জমা করা ওই অর্থের মধ্যে ৪০ হাজার রুপি জমা করা হয় তার ঘোষণার মাত্র কয়েক মিনিট আগে।

প্রথমদিকে অবশ্য এই জমার পরিমাণ এক কোটি রুপি বলে জানা গিয়েছিল।

এ নিয়ে কঠিন প্রশ্নের মুখে পড়েছে বিজেপি। তবে দলের পশ্চিম বঙ্গের নেতারা জোর দিয়ে বলছেন, ওই টাকার সঙ্গে মোদির ঘোষণার কোনো সম্পর্কই নেই।

কিন্তু রাজনৈতিক খেলার নির্মম-নির্দয় মাঠে শুধু মুখের কথায় চিরা ভেজার কাজ যে খুব একটা হয় না- এটা সবাই জানেন। আর তাই বিরোধীরা ইস্যুটাকে খুব বড় করেই দেখছেন।

প্রসঙ্গত, আগামী ১৯ নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভার একটি ও লোকসভার দুইটি আসনে নির্বাচন। এমন মোক্ষম সময়ে প্রতিপক্ষের অমন দুর্বল পয়েন্ট ছাড়ার মতো পাগল পশ্চিমবঙ্গে অন্ত নেই। তাই তারা বিজেপিকে ছাই দিয়ে ধরার এই মওকাটাকে কঠিনভাবে ক্যাচবন্দি করে ফেলেছে।

বলা যায়, মোদির নোটবন্দির গেম এখন পশ্চিমবঙ্গে ক্যাচবন্দি অবস্থায় পড়েছে।

ইন্ডিয়া ব্যাংকের সেন্ট্রাল অ্যাভেনিউ সূত্রের বরাত দিয়ে শনিবার নবভারতটাইমস.কম জানায়, এই ব্যাংকের চারটি শাখায় প্রধানমন্ত্রী মোদির ঘোষণার আগে দিয়ে বিজেপির লোকজন ওই পরিমাণ টাকা জমা করে।

সিপিএম মুখপত্র গণশক্তিতে শুক্রবার ছাপা এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৮ নভেম্বর বিজেপি অ্যাকাউন্টে প্রথমে ৬০ লাখ রুপি এরপর ৪০ লাখ রুপি জমা করা হয়। ওই অর্থের সবটুকুই ছিল ৫০০ ও হাজার টাকার নোটের বান্ডিল।

৮ নভেম্বর দুপুরে পশ্চিম বঙ্গের ওই ব্যাংক শাখায় বিজেপির অ্যাকাউন্টে (554510034) প্রথম দফায় এবং দ্বিতীয় দফায় রাত ৮টায় টাকা জমা করা হয়। এখানে আরেকটি গুরুতর প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তা হলো, রাত ৮টায় ওই ব্যাংক শাখা খোলা থাকার কথা না। তাহলে কীভাবে ওই সময়ে টাকা জমা নেওয়া হলো সেখানে?

এর আগের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, বিজেপির অপর একটি অ্যাকাউন্টে গত ১ নভেম্বর ৭৫ লাখ এবং ৫ নভেম্বর ১ কোটি ২৫ লাখ রুপি জমা করা হয়।

newsone24.com-এ
আরও পড়ুন
 জরিমানা ২০০%: ভারতে হাজার ও ৫০০ রুপির নোট বাতিলের আসল কারণ

পশ্চিমবঙ্গ সিপিএম সচিব সূর্যয়া কান্ত মিশ্রা এ প্রসঙ্গে বলেন, নোট নিষিদ্ধকরণ সম্পর্কে বিজেপির লোকজন আগে থেকেই জানতো। তাই দেশজুড়ে তারা ব্যাংকে জমা করার মাধ্যমে তাদের বিশাল অংকের কালো টাকা এভাবে সাদা করে নিয়েছে।

তবে ঘটনাচক্র (কো-ইনসিডেন্ট) বলে একটা কথা আছে। এটা তেমন কো-ইনসিডেন্ট বলে দাবি করছে বিজেপি সমর্থকরা। দেখা যাক শেষতক ঘটনা কোনদিকে মোড় নেয়। তবে নোট নিষিদ্ধ কাণ্ডে মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিমের ৫০ হাজার কোটি রুপি বরবাদ হবার খবরও শোনা যাচ্ছে। এরকম চোরকারবারী, অসৎ ব্যবসায়ীদের হাজার হাজার কোটি রুপি স্রেফ কাগজে পরিণত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভারতীয় অর্থনীতির জন্য এটা দীর্ঘমেয়াদে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। 

এখানে উল্লেখ্য, চিকিৎসা, ব্যবসা ও অন্যান্য কাজে বর্তমানে ভারতে অবস্থানরত হাজার হাজার বাংলাদেশি নোট নিষিদ্ধের গ্যাঁরাকলে পড়ে চরম হয়রানি-পেরেশানির মুখে পড়েছেন। সূত্র: এনবিটি
নিউজওয়ান২৪.কম/একে