দুই বছরের বেশি সাজা নিয়ে নির্বাচন নয়: আপিল বিভাগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিউজ ওয়ান২ ৪
প্রকাশিত : ১২:০৫ পিএম, ২৮ নভেম্বর ২০১৮ বুধবার
ফাইল ছবি
২ বছরের বেশি সাজা হলে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না হাইকোর্টের এমন আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। এর আগে, সাজা স্থগিত চেয়ে বিএনপির ৫ নেতার আবেদন খারিজ করে এ রায় দেন আদালত। এই আদেশের ফলে বেগম খালেদা জিয়াসহ দণ্ডিতরা আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার অযোগ্য হয়ে গেলেন বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
দণ্ড স্থগিত না করেও শুধুমাত্র আপিল বিচারাধীন দেখিয়ে জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া অংশ নিতে পারবেন কিনা এ নিয়ে আইনি বিতর্ক চলছিলো। মঙ্গলবার সাজা স্থগিত চেয়ে বিএনপির ৫ নেতার আবেদন খারিজ করে দিয়ে এ অস্পষ্টতা দূর করলেন উচ্চ আদালত।
আদালত আদেশে বলেছেন, দুই বছরের বেশি দণ্ড হলেই দণ্ডভোগের ৫ বছর অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত দণ্ডিতরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। তবে আপিল বিভাগে দণ্ডের রায় স্থগিত হলে প্রার্থী হতে বাধা নেই। সাজা স্থগিতের কোন বিধান আইনে নেই বলেও অভিমত দিয়েছেন উচ্চ আদালত।
দুদকের আইনজীবী বলেন, দুই বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্তরা নির্বাচনের সুযোগ পেলে তা হবে সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম বলেন, সাজা মাথায় নিয়ে নির্বাচন করা সংবিধানের ৬৬ ধারার পরিপন্থী।
এ রায়ের ফলে বেগম জিয়া নির্বাচনে অংশ নেয়ার অযোগ্য হয়ে গেলেন বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল। নির্বাচন কমিশন এ আদেশ মানতে বাধ্য বলেও জানান তিনি।
এদিকে, আদেশের ঘণ্টা খানেক পরই আদেশ স্থগিত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালতে আবেদন করেছেন বিএনপির চিকিৎসক নেতা ডা. এ জেড এম জাহিদ। অন্য চার বিএনপি নেতাও আপিল করার ঘোষণা দিয়েছেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী বলছেন, আপিল বিচারাধীন বা দণ্ড স্থগিত করে নির্বাচনে অংশ নেয়ার নজির রয়েছে। আসামিপক্ষের আইনজীবী খায়রুল আলম চৌধুরী বলেন, আদালতে আগের নজির আমরা দেখিয়েছি যেখানে এর আগেও সাজা দেয়ার পরেও নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন অনেকে। ভারতেও এর অনেক নজির রয়েছে। কিন্তু আদালত গ্রহণ করেন নি।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, এ রায় শুধু বেগম জিয়ার প্রার্থিতার ক্ষেত্রে নয় বরং সব দণ্ডপ্রাপ্তদের জন্যই প্রযোজ্য যারা নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছেন।
নিউজওয়ান২৪/জেডএস