NewsOne24

৪৪ বছরের ইতিহাস বলছে- জিতে যাবেন হিলারি!

বিশ্ব সংবাদ ডেস্ক

নিউজওয়ান২৪.কম

প্রকাশিত : ১১:২২ পিএম, ৩ নভেম্বর ২০১৬ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৫:২৩ পিএম, ৭ নভেম্বর ২০১৬ সোমবার

ট্রাম্প-হিলারি                             -ফাইল ফটো

ট্রাম্প-হিলারি -ফাইল ফটো

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের গত ৪৪ বছরের ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা গেছে, প্রচারণায় যে প্রার্থী বেশি খরচ করেছেন- তিনিই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। ১৯৭২ সাল থেকে ঘটে আসছে এমনটা। এবার এখন পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারণায় খরচের ক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দ্বী বিজনেস টাইকুন ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে আছেন হিলারি ক্লিনটন। তবে কি অন্য সব জরিপ-পর্যবেক্ষণ বাদ দিয়ে ধরে নেওয়া যায় যে হিলারিই হতে যাচ্ছেন পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট!

অর্থাৎ, প্রায় চার যুগের ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে এবার ডেমোক্রেটরা পরপর তিনবার হোয়াইট হাউস নিজেদের কব্জায় রাখার ইতিহাস গড়তে যাচ্ছে! তবে ইতিহাস সাক্ষী, ইতিহাস প্রায়ই ইতিহাসকে ফের নতুন করে লিখতে বাধ্য করেছে। সে হিসেবে- এবার ৪৪ বছরের ধারাক্রম হয়তো ভেঙ্গেও ফেলতে পারেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

কারণ, প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ট্রাম্প সেই কঠিন পাত্রদের একজন যিনি সব হিসেব পাল্টে দিতে পারেন- এটা এরই মধ্যে বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। তিনি সব হিসেব পাল্টে দিতে পারেন। সাম্প্রতিক জরিপে হিলারিকে পেছনে ফেলেছেন প্রথমবারের মতো।

তবে ৮ নভেম্বর যা হবার হবে, এখন আসুন জেনে নেই হিলারি-ট্রাম্পের নির্বাচনী ফান্ডের কিছু হাড়ির খবর।

হিসাবপত্রে দেখা গেছে, নির্বাচনী তহবিলে ট্রাম্পের প্রায় দুইগুণ চাঁদা পেয়েছেন হিলারি। ট্রাম্প পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৫৯১ কোটি ৪৮ লাখ টাকার কিছু বেশি। আর হিলারি পেয়েছেন প্রায় আট হাজার ৬৩৭ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।

তাদের উভয়ের মোট চাঁদার শতকরা ৬৫ ভাগ দিয়েছেন উদ্যোক্তারা। এরমধ্যে হিলারি তার পাওয়া মোট চাঁদার ১৬% পেয়েছেন ১৫ হাজার ডলারের কম চাঁদা দাতাদের কাছ থেকে। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প তার পাওয়া চাঁদার ৪৯% পেয়েছেন এরকম ছোট দাতাদের কাছ থেকে। ২০১২ সালের নির্বাচনে ডেমোক্রেট

প্রার্থী ওবামা ৩৫% আর রিপাবলিকান প্রার্থী মিট রমনি ৭% চাঁদা জোটাতে পেরেছিলেন ক্ষুদ্র দাতাদের কাছ থেকে।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর তারিখ পর্যন্ত পাওয়া নির্বাচনী ব্যয়ের হিসেবে দেখা গেছে- হিলারি তার সংগৃহীত নির্বাচনী ফান্ডের ৯৩% খরচ করেছেন। আর একই সময়ে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পের খরচ হয়েছে ৮৬%।

ওই সময়ের মধ্যে হিলারি তার প্রচারণার জন্য মিডিয়া স্পেস কেনায় অর্থাৎ মিডিয়ায় প্রচারণার জন্য ব্যয় করেছেন ১৬২৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা প্রায়। পক্ষান্তরে ট্রাম্প একাজে খরচ করেছেন ৩৮২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা প্রায়। হিলারির নির্বাচনী প্রচারণা ক্যাম্প কর্মীদের বেতন বাবদ খরচ হয়েছে ২৮ কোটি ২৫ লাখ টাকা পক্ষান্তরে ট্রাম্প কর্মীদের মাঝে ক্যাপ-টি শার্ট বিতরণে খরচ করেছেন ২৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা প্রায়।

প্লেন ভাড়া বাবাদে হিলারি শিবিরের খরচ হয়েছে ২১ কোটি ১৯ লাখ টাকা প্রায় আর ট্রাম্প এর বিপরীতে ডিজিটাল কনসালটেন্সি তথা ডিজিটাল বিজ্ঞাপনে খরচা করেছেন ১৫৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।

আরও পড়ুন হিলারির পক্ষে সালমান রুশদি, ট্রাম্পকে বললেন ‘যৌন ঘাতক’

তবে পরিসংখ্যানে দেখা গেছে নির্বাচনী আয়-ব্যয়ের দৌরে হিলারি-ট্রাম্প পিছনে রয়েছেন ২০১২ সালের নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী ওবামা-রমনি থেকে।

আরেক তথ্যে জানা গেছে, ক্লিনটন দম্পতি এ যাবত বিভিন্ন সময়ৈ ২৩ হাজার ৫৫১ কোটি ৩২ লাখ টাকার বেশি চাঁদা বাবদে সংগ্রহ করেছেন।

এর মধ্যে ক্লিনটন ফাউন্ডেশন ১৫ হাজার ৩০৮ কোটি ৩৬ লাখ টাকার বেশি পেয়েছে। পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, দুনিয়ার সবচেয়ে দ্রুত বর্ধণশীল দাতব্য প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ক্লিনটন ফাউন্ডেশন। সংগ্রহীত চাঁদার বাকিটা এসেছে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের খাতে।

নিউজওয়ান২৪.কম/একে