নেই সবজির হাট, বিপাকে চাষিরা!
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
নিউজ ওয়ান২ ৪
প্রকাশিত : ০১:০০ পিএম, ২৫ নভেম্বর ২০১৮ রোববার

ফাইল ছবি
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় সবজি চাষে রয়েছে আলাদা খ্যাতি। জেলার অধিকাংশ সবজিই উৎপাদন হয় এ উপজেলা থেকে। ঝড়, শিলাবৃষ্টি, বন্যাসহ আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর সাটুরিয়া উপজেলায় সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে।
গত বছরের চেয়ে এবছর সবজির আবাদ অনেকটা বেড়েছে। অল্প খরচে ভালো ফলন, অধিক মুনাফা ও রাজধানীর সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় প্রতিবছর বাড়ছে সবজি চাষ। যার কারণে এ জেলার সবজির চাহিদাও অনেক বেশ। তবে সবজি বিক্রির জন্য নির্দিষ্ট কোন হাট-বাজার না থাকায় বিপাকে পড়েছেন এখানকার সবজি চাষিরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র বলছে, চলতি মৌসুমে সাটুরিয়া উপজেলায় এক হাজার ৫৭০ হেক্টর জমিতে সবজির আবাদ হয়েছে। আবহওয়া অনুকূলে থাকায় এবছর সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে উপজেলার ধানকোড়া, তিল্লী, হরগজ, ফুকুরহাটি, দড়গ্রাম এবং বরাইদ ইউনিয়নে নানা রকমের সবজির আবাদ হয় বেশি। এরমধ্যে কড়লা, সিম, মুলা, লাউ, লালশাক, বেগুন, ডেরশ, বরবটি, ফুলকপি, বাধাকপি, আলো ধইনাপাতা, মিষ্টি লাউসহ নানা জাতের সবজির আবাদ ভালো হয়েছে।
সাটুরিয়ার উপজেলার কমলপুর গ্রামের সবজি চাষি সোরহাব মিয়া বলেন, অন্যান্য ফসলের চেয়ে সবজি চাষে মুনাফা বেশি হওয়ায় প্রায় একযুগ ধরে নিয়মিতভাবে সবজির আবাদ করছি। তবে সবজি বিক্রির নির্দিষ্ট কোন পাইকারি হাট না থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
সবজি চাষি আব্দুল মালেক বলেন, এবছর চার বিঘা জমিতে সবজির আবাদ করেছি। কিন্তু সবজির কোন স্থায়ী হাট না থাকার কারণে বাজারদর যাচাই করার কোন সুযোগ নেই। কাজেই বাধ্য হয়ে জমি থেকে সবজি তুলে স্থানীয় পাইকারদের নিকট বিক্রি করতে হয়। তবে স্থানীয়ভাবে সবজির হাট থাকলে বাজারদর যাচাই করে সবজি ভালো দাম পাওয়া যেত।
সবজি পাইকারি ব্যবসায়ী আরিফ হোসেন বলেন, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গোলড়া এলাকায় ছোট আকারে সবজির একটি হাট রয়েছে। তবে মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন চলাচল করতে না পারায় সেখানে আর আগের মতো সবজি আসে না। তাই বাধ্য হয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে সবজি কিনে ঢাকায় বিক্রি করি। তবে স্থায়ীভাবে সবজির হাট থাকলে ব্যবসা আরও ভালো হতো।
সাটুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এমদাদুল হক বলেন, সাটুরিয়া উপজেলায় এবছর সবজির বেশ ভালো ফলন হয়েছে। কিন্তু উপজেলায় সবজির স্থায়ী কোন হাট না থাকায় সবজি চাষিরা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্থ। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনসহ বিভিন্ন মহলে আলোচনা করে স্থায়ী একটি সবজি হাটের ব্যবস্থা করার প্রক্রিয়া চলছে।
সাটুরিয়ার ইউএনও নাসরিন পারভিন বলেন, জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বর্তমানে ব্যস্ততা বেশি। তারপরও সবজির স্থায়ী একটি হাটের বিষয়ে কৃষি কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নিউজওয়ান২৪/জেডএস