নির্বাচনের তফসিল স্থগিত চেয়ে রিট
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিউজ ওয়ান২ ৪
প্রকাশিত : ১১:৩৮ এএম, ২৫ নভেম্বর ২০১৮ রোববার
ফাইল ছবি
আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ঘোষিত তফসিল স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে।
রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।
রুল জারির নির্দেশনা অনুযায়ী ওই রুলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আগামী জাতীয় নির্বাচনের তফসিল স্থগিতের নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিবসহ সংশ্লিষ্ট সাতজনকে এতে বিবাদী করা হয়েছে।
বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে রিট আবেদনটি শুনানির জন্য উত্থাপন করার কথা রয়েছে।
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমান সংসদে ৩০০ জন নির্বাচিত সদস্য আছেন। তাদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে আরো ৩০০ জন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবেন। এতে করে সংসদে মোট সদস্য সংখ্যা দাঁড়াবে ৬০০ জন। যা সংবিধান সম্মত নয়।
রিট আবেদন সম্পর্কে ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, সংবিধানের ৬৬ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী যারা সরকারি পারিশ্রমিক নেয় তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। এবার সংসদ বহাল রেখে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাই সংসদের মন্ত্রী-এমপিরা পারিশ্রমিকও নিচ্ছেন। এ অবস্থায় তাদের সংবিধানে অংশ নেয়া সংবিধান বিরোধী।
তিনি আরো বলেন, সংবিধানের ১২৩ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বচন করার বিধান রয়েছে। কিন্তু তা না করে সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন করা হচ্ছে। এতে করে নির্বাচনের পর দেশে দুটি সংসদ হয়ে যাবে। কিন্তু সংবিধানে একটি সংসদের কথা বলা আছে। এসব কারণ উল্লেখ করে রিট আবেদনটি করা হয়েছে।
এছাড়া গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ১২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ীও এটি বৈধ নয় বলেও জানান তিনি।
গত ৮ নভেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। পরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে চার দিনের মাথায় ১২ নভেম্বর পুনঃতফসিল ঘোষণা করা হয়। পুনঃতফসিল অনুযায়ী ৩০ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচনের ভোট। এ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২৮ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন ২ ডিসেম্বর এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ ডিসেম্বর।
নিউজওয়ান২৪/এমএস