NewsOne24

মূর্তিভাঙ্গা ‘মুমিনরা’ কি আবু বকর (রা.)-এর চাইতেও বড় মুসলিম?

অ-সম্পাদিত ডেস্ক

নিউজওয়ান২৪.কম

প্রকাশিত : ০৩:২৫ পিএম, ৩১ অক্টোবর ২০১৬ সোমবার | আপডেট: ০৭:১২ পিএম, ১ নভেম্বর ২০১৬ মঙ্গলবার

প্রথম খলিফা হজরত আবু বকর (রা.) যখন সিরিয়ায় সেনা পাঠান তখন তাদের ১০টি নির্দেশ দিয়ে দেন। সে নির্দেশগুলো ছিল এই:

১. নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের কেউ যেন হত্যা না করে।

২. লাশ যেন বিকৃত করা না হয়।

৩. আশ্রম, প্যাগোডা ও কুঠরিতে উপাসনারত সন্ন্যাসী ও তপস্বীদের কষ্ট দেওয়া যাবে না। কোনো উপাসনালয় ভাঙা যাবে না।

৪. ফলবান বৃক্ষ যেন কেউ না কাটে এবং ফসলের ক্ষেত যেন পোড়ানো না হয়।

৫. জনবসতিগুলোকে (সন্ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে) যেন জনশূন্য না করা হয়।

৬. পশুদের যেন হত্যা করা না হয়।

৭. প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা চলবে না।

৮. যারা আনুগত্য স্বীকার করবে তাদের জানমালকে মুসলমানদের জানমালের মতো নিরাপত্তা দিতে হবে।

৯. গণিমতের সম্পত্তি যেন আত্মসাৎ করা না হয়।

১০. যুদ্ধে যেন পৃষ্ঠ প্রদর্শন করা না হয়।

(মুসান্না ইবনে আবি শায়বাহ : ষষ্ঠ খণ্ড, পৃ: ৪৮৭-৪৮৮)

উপরের ৩ নং শর্ত মোতাবেক, প্রশ্ন রইলো-

গত শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে মন্দির ও মূর্তিভাঙ্গা ‘মুমিনরা’ কি শ্রেষ্ঠ সাহাবী হযরত আবু বকর (রা.) এর চাইতেও বড় মুসলিম? হয়তো আপনি বলতে পারেন, “নবী (সা.) কাবাগৃহ থেকে ৩৬০টি মূর্তি অপসারণ করেছিলেন। মুমিনরা নবী (সা.)-কে ফলো করেই এটা করছে।” আপনাদেরকে মনে করিয়ে দিই, কাবাগৃহ থেকে মূর্তি অপসারণ করে কাবা গৃহকে মূর্তিপূজামুক্ত করা হয়েছিল।

কারণ, কাবাগৃহ তৈরীই হয়েছিল নিরাকার আল্লাহতায়ালার ইবাদতের জন্য। কালের প্রবাহে কাবাগৃহে মূর্তি পূজা ঢুকে পড়েছিল। এই মূর্তিপুজা যদি কাবা গৃহে না হয়ে অন্য কোনো গৃহে হতো, নবী (সা.) এসব মূর্তি ভাংতেন না। বরং রাসুল (সা.)-এর উন্নত চরিত্র আর মানব প্রেম দেখে মূর্তিপূজকগণ নিজেরাই মূর্তিপূজা ছেড়ে একেশ্বরবাদে আকৃষ্ট হতেন (ইসলামের ইতিহাসে এমন অনেক গৌরবজনক উদাহরণ আছে)।

ভয় দেখিয়ে ইসলামের পতাকাতলে কতগুলো মানবশরীর সমবেত করার শিক্ষা ইসলাম দেয়নি। ইসলাম মানুষের প্রেম, ভক্তি ও ভালবাসাগুলোকে একজায়গায় সমবেত করানোর শিক্ষা দিয়েছে। সেই ভক্তি ও ভালবাসা হোক মুসলিমের কিংবা অমুসলিমের। এই ব্যাপারে আধ্যাত্মবাদ আপনার জ্ঞানার্জনের জন্য উত্তম পথ হতে পারে। (নেট থেকে সংগৃহীত)

নিউজওয়ান২৪.কম/একে