ইসিকে মামলার হুমকি ঐক্যফ্রন্টের
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিউজ ওয়ান২ ৪
প্রকাশিত : ০৮:৫২ পিএম, ২২ নভেম্বর ২০১৮ বৃহস্পতিবার
ছবি: সংগৃহীত
ইলেক্ট্রিনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএম এর ব্যবহার বাংলাদেশের সংবিধান পরিপন্থী। এটি ব্যবহার করলে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ইভিএমকে না বলুন, আপনার ভোটকে সুরক্ষিত করুন’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সেমিনারে ইভিএম প্রকৌশলীরা ইভিএম দিয়ে কিভাবে ভোট কারচুপি করা যায় তা চিত্রের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন। তাদের যুক্তি, যেকোনো ডিভাইসের মাধ্যমে দূর থেকে ভোট কারচুপি করার সুযোগ আছে ইভিএম মেশিনে। এই মেশিনের মাধ্যমে একজনের ভোট আরেকজন দিতে পারে। এই পদ্ধতিতে প্রিসাইডিং অফিসার নিজেই কারো সহযোগিতা ছাড়া প্রতি ঘণ্টায় ১শ ভোট দিতে পারবেন বলে উল্লেখ করেন প্রকৌশলীরা।
সেমিনারে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নির্বাচন কমিশন নিজ থেকে সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে বসে আছে। এ কারণে জনগণের কথা তাদের কানে যাচ্ছে না। এজন্য ধিকৃত সরকার, রাজনৈতিক দেউলিয়া হয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ আবারও জোর করে ক্ষমতায় আসার জন্য অপকৌশল করছে। জনগণের উপর আস্থা না থাকলে এরকম করে। জনগণ ভোট কারচুপি প্রতিহত করবে।
জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব ইভিএম ব্যবহার সংবিধান বিরোধী দাবি করে বলেন, ইভিএম ব্যবহার করা হলে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে সংবিধান লংঘনের দায়ে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
তিনি বলেন, সংবিধানের ৬৫ অনুচ্ছেদ এর ২/এ তে আছে, বাংলাদেশের সংসদ গঠিত হবে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে৷ ইভিএম মেশিনে প্রত্যক্ষ ভোট হবে না। তাই সংবিধান সংশোধন করা ছাড়া ইভিএম ব্যবহার করা যাবে না। প্রত্যক্ষ ভোটের শর্ত হলো ভোট গণনা পর্যন্ত প্রত্যক্ষ থাকবে। বাংলাদেশে এই ইভিএম ব্যবহার করা গণতন্ত্র বিরোধী, রাষ্ট্রদ্রোহী।
‘সেনাবাহিনীকে দিয়ে এই সংবিধান বিরোধী কাজ করিয়ে তাদেরকে বিতর্কিত করবেন না৷ ইভিএম কারা তৈরি করেছে, এই মেশিন কোথা থেকে অপারেট করা হবে জনগণ জানে না। এটা ব্যবহার করা যাবে না। করলে সংবিধান লংঘনের দায়ে মামলা করা হবে।’
কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমরা ইভিএম চাই না। কারণ ইভিএম যারা এনেছেন তারাও ব্যবহার করতে জানেন না। আর যারা ভোট দেবেন তারা এখনো তা দেখেননি।
‘একজন নাগরিকের ইচ্ছেমতো ভোট দেয়ার অধিকার আছে। যারা ইভিএম দেখেননি, তারা ভোট দিলে তাদের ভোট যে প্রয়োগ হবে তার নিশ্চয়তা নেই। জনগণ এই ইভিএম প্রতিরোধ করবে।’
নাগরিক ঐক্যর আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমরা প্রধানত নির্বাচনে যেতে চাই৷ এটিকে আমরা লড়াই হিসেবে নিচ্ছি। আমাদেরকে এই নির্বাচনে জিততেই হবে। আর ইভিএমের বিরোধীতা করছি একারণে যে, তারা (সরকার) ভোট চোর৷ এই সুযোগ তারা নেবে। কারণ আগে তাদের ভোট চুরির উদাহরণ আছে। ইভিএম হলো একটি ফালতু জিনিস। আমরা একটি বস্তুনিষ্ঠ নির্বাচন চাই। তার জন্য ইভিএম চাইনা।
নিউজওয়ান২৪