সকাল সকাল কেন ঘুম থেকে উঠবেন?
লাইফস্টাইল ডেস্ক
নিউজ ওয়ান২ ৪
প্রকাশিত : ১০:৩৯ এএম, ২২ নভেম্বর ২০১৮ বৃহস্পতিবার
ফাইল ছবি
একটা কথা অনেকেই বলে, সফল হতে গেলে নাকি সকাল সকাল উঠে পড়তে হয় ঘুম থেকে। কিন্তু রাতে দেরিতে ঘুমানো আর সকালে দেরি করে ওঠা, অবশেষে সারাদিন ব্যস্ততার মধ্যে থাকার ফলে জীবন ওলটপালট মনে হয়। এতে করে দিনের অনেকটুকু মূল্যবান সময় হারিয়েও যায়। কিন্তু মনে রাখবেন, প্রতিটি ভোর বা সকাল আপনার জীবনকে অনেক সুন্দর করতে পারে। সেটা কীভাবে তা নিয়েই থাকছে আলোচনা।
আপনার কাজের সময় বাড়ে
আপনি দিনটি যত তাড়াতাড়ি শুরু করতে পারবেন, আপনার হাতে থাকা কাজগুলো তত দ্রুত সেরে নিতে পারবেন। ফলে তাড়াহুড়া না করে, ঠাণ্ডা মাথায় সুপরিকল্পিতভাবে দিনের কাজগুলো করে নেওয়া যায়। এতে করে কাজও নির্ভুল হয়। ফলে পরবর্তী দিনের জন্যেও কাজের ছক আপনি কষেও নিতে পারবেন।
সকালের স্নিগ্ধতা উপভোগ করতে পারবেন
দিনের শুরুতে, ভোর ফুটতেই আপনার পুরো এলাকা জেগে ওঠার আগেই আপনি জেগে উঠতে চেষ্টা করুন। তখন যান্ত্রিকতা কোলাহলের পরিবর্তে আপনি প্রকৃতির স্নিগ্ধতা উপভোগ করতে পারবেন। এই সময়ে আপনি আপনার সারাদিনের পরিকল্পনা নিয়ে কিছুটা ভেবে নিতে পারবেন। গান শুনবেন, কিছু পড়বেন, সুন্দর কোনো স্মৃতির কথা ভাবতে পারবেন। এতে করে বাকি দিনটাও ভালো কাটবে।
নিজেকে সময় দিতে পারবেন
ভোরে বিছানা ছাড়ার সবচেয়ে উপকার হলো আপনি নিজের জন্য বেশ কিছুটা সময় বের করে নিতে পারবেন। এসময় কোলাহলবিহীন পরিবেশ থাকে। ফলে বেরিয়ে পড়তে পারেন ব্যায়ামের জন্য। জগিং বা যোগব্যায়ামের জন্য একদম সকালবেলাটা দারুণ উপযোগী। এর ফলে আপনি বাকী দিনটির জন্য নিজেকে তৈরি করতে পারবেন, নিজেকে প্রাণবন্ত ও আত্মবিশ্বাসী ভাবতে পারবেন। তাড়াহুড়া না করে সকালের নাস্তা করতে পারবেন একদম সময়মতো। আর তাড়াতাড়ি কাজ সেরে নিলে পছন্দের কাজগুলোর জন্যেও সময় হবে।
জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে পারবেন
সকালে বিছানার কোমলতা ছেড়ে ওঠা খুব কঠিন। এই সময়টাতেই যেন রাজ্যের ঘুম চোখে এসে ভর করে। কিন্তু যারা একেবারে সকালে উঠতে পারে তারা সুশৃঙ্খলভাবে প্রতিদিনের কাজগুলো গুছিয়ে নিতে পারেন। সেটি পরবর্তীতে তাদের কাজেই ফুটে উঠে। সারাদিন অন্য সব কাজেই শৃঙ্খলা আর নিপুণতা বাড়ে।
আপনি সুখীও হতে পারবেন
বিভিন্ন সব গবেষণায় উঠে এসেছে যে ভোরে দিন শুরু করা মানুষেরা রাত জাগা ব্যক্তিদের তুলনায় বেশি সুখী ও সমৃদ্ধ হয়। কারণ তারা নিজেদের যত্নের জন্য সময় বের করে নিতে পারেন। তারা রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে পারেন, সকালে ফুরফুরে মেজাজে এবং প্রাণবন্তভাবে কাজে নেমে পড়তে পারেন। তাই সাফল্য আর সন্তুষ্টি আসে সহজেই।
তাই আর ঘুমিয়ে চমৎকার সকালটাকে নষ্ট না করে চটজলদি ঘুম থেকে উঠে পড়ার অভ্যাস করুন। ধীরে ধীরে ঘুমের রুটিন ছকে বেঁধে ফেলুন, আনন্দে জীবন কাটান।
নিউজওয়ান২৪/এমএস