অভিযোগ হিরো আলমকে নিয়ে, উত্তর দিলেন স্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিউজ ওয়ান২ ৪
প্রকাশিত : ০৪:১২ পিএম, ২১ নভেম্বর ২০১৮ বুধবার
ফাইল ছবি
আশরাফুল হোসেন আলম। বগুড়ারর এই ছেলেটি সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যানে সবার কাছে এখন ‘হিরো আলম’ নামেই পরিচিত। তবে এই পরিচিতির পেছনে রয়েছে অনেক সমালোচকদের তিরস্কার এবং ভক্তদের ভালবাসা। এছাড়া যখন তিনি জাতীয় পার্টির মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন তখন থেকে সমালোচনার মাত্রা যেন কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এরপর থেকেই তার বাড়ি যেন হয়ে ওঠে আলোচনার কেন্দ্র।
কেননা কয়েকদিন আগেই সাংবাদিক পরিচয়ে কয়েকজন মানুষ তার বাড়িতে যায়। এ সময় হিরো আলমের বাবার সাথে কথা বলে উল্টোপাল্টা নিউজ লিখেছে বলে অভিযোগ করেন তার স্ত্রী সাবিহা আক্তার সুমি।
এ সময় সুমি বলেন, আমার স্বামী আমাকে দেখে না কে বলল? আমার স্বামীর ব্যবসা তো আমি দেখি। সে এখন মিউজিক ভিডিও নিয়ে কাজ করে। ঢাকায় থাকে, সপ্তাহ অথবা ১০ দিনে দেখা হয়। বাসায় আসে। বাসায় সে ছেলে-মেয়েদের নিয়ে পড়ে থাকে। তার বিরুদ্ধে যদি কোনো অভিযোগ থাকতো তাহলে আমি কি ওর সাথে থাকতাম?
সুমীর বয়স এখন আনুমানিক ২৬। কথায় আঞ্চলিকতার টান তুলনামূলক কম। পড়েছেন দশম শ্রেণি পর্যন্ত। তিনি আলমের বিপক্ষে কথা বলতে নারাজ। আলম এর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিলো তিনি শ্যালিকাকে নিয়ে পালিয়ে যান। আর এমন কথা শুনতেই রেগে গেলেন তার স্ত্রী।
সুমি বলেন, আমার বোনকে নিয়ে আলম পালাবে আর আমি তার স্ত্রী হয়ে ঘরে থাকবো? ঘটনা একটা ঘটেছিল, সেটাকে গ্রামে অন্যভাবে ছড়ানো হয়েছে। আলম সহজ সরল। ওর দ্বারা এসব সম্ভব না।
শ্যালিকাকে নিয়ে পালানোর বিষয়ে সুমী বলেন, আমার ছোট বোনের এক জায়গায় বিয়ে ঠিক হয়েছিল। কিন্তু ও রাজি ছিল না বিয়েতে। পরে আলমের সাহায্য নিয়ে সে অন্যখানে কয়েকদিন লুকিয়ে ছিল। আমরা সবাই জানতাম এই ঘটনা। কিন্তু গ্রামের লোকজন সেটা অন্যভাবে ছড়ায় যার কারণে শালিস হয়। শালিসে আলমের কোনো অপরাধ পাওয়া যায়নি। আমার বোনের অন্যখানে বিয়ে হয়েছে, একটা বাচ্চাও আছে।
আলমের বাড়ি এরুলিয়ার পলিবাড়িতে। ২০০৭ সালে পার্শ্ববর্তী শাহপাড়ার মেয়ে সুমীর সাথে বিয়ে হয়। ছোটবেলা থেকেই অভাব-অনটনের সাথে চলা আলমের পরিবার তাকে আরেক পরিবারের হাতে তুলে দেয়। আলম চলে আসেন একই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের বাসায়। আব্দুর রাজ্জাক তাকে ছেলের মতো করেই বড় করে তোলেন। স্নেহ করতেন। কিন্তু গ্রামে অভাব তো প্রায় মানুষের আছে।
আলমের পালক পিতা আব্দুর রাজ্জাকের সংসারও অভাবের ছোঁয়া পায়। স্থানীয় স্কুলে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ে আলমকে নেমে পড়তে হলো জীবিকা নির্বাহের তাগিদে। সিডি বিক্রি থেকে আলম ডিশ ব্যবসায় হাত দিয়ে সফলতা অর্জন করেন। নিজের চেষ্টায় তার মাসে আয় ৭০-৮০ হাজার টাকা।
সুমী বলেন,'ডিশ ব্যবসার সমস্ত হিসাব-নিকাশ আমি দেখি। লাইনের কোনো সমস্যা হলে কাজের লোক দিয়ে আব্বাকে (শ্বশুর) পাঠাই। ডিশ ব্যবসায় হেল্প করার জন্য আমাদের এখানে মোট ৮ জন লোক কাজ করে। আলম না থাকলেও আমরা সবকিছু সামলে নেই।
হিরো আলমের বড় মেয়ে আলোমনি দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ে, মেজো মেয়ে আঁখি ১ম শ্রেণির ছাত্রী এবং ছেলে আবিরের বয়স চার ও স্ত্রী সুমীকে নিয়েই সংসার। হিরো আলমের মতো সুমীর দাবি তার সুখের সংসার। আলমের বাবা রাজ্জাক ও স্ত্রীর আক্ষেপ এক জায়গায় সেটা হলো নির্বাচন নিয়ে। তাদের ধারণা নির্বাচন করে অনর্থক টাকা-সময় নষ্ট হবে।
নিউজওয়ান২৪/এএস