NewsOne24

তফসিল সংবিধান পরিপন্থী: ড. কামাল

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিউজ ওয়ান২ ৪

প্রকাশিত : ০৭:০৩ পিএম, ৯ নভেম্বর ২০১৮ শুক্রবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

একাদশ নির্বাচনে তড়িঘড়ি করে তফসিল ঘোষণাকে সংবিধান পরিপন্থী বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।

শুক্রবার বিকেলে রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশকে কেন্দ্র করে মুঠোফোনে তিনি এ কথা বলেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে জনসভায় তিনি অংশগ্রহণ করেননি।

তিনি বলেন, দেশের মানুষ যাতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারে সে কারণেই তড়িঘড়ি করে তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে।

সমাবেশে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতি বলতে খালেদা জিয়া। তাই তাকে বন্দি করে রাখা সম্ভব নয়।

এ সময় ক্ষমতায় এলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জিয়াউর রহমানের মধ্যকার বিভেদ দূর করার কথাও বলেন বঙ্গবীর। তিনি বলেন, আমি বিএনপির সমাবেশে আসিনি, আমি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে এসেছি।

এছাড়া সমাবেশে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) এর সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, ঐক্যফ্রন্টকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ দিন। এ সময় জনগণকে উস্কানি না দিতে সরকারের প্রতি তিনি আহবান জানান।

তিনি বলেন, ঐক্যফ্রন্ট যাতে নির্বাচনে যেতে না পারে, সে জন্য তড়িঘড়ি করে তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। দেশের শতকরা নব্বই ভাগ মানুষ ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে। তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ দিতে হবে। প্রয়োজনে জীবন দিয়ে হলেও দেশের মানুষের অধিকার আদায় করা হবে।

তিনি বলেন, পুনরায় তফসিল ঘোষণা না করলে এবং নির্বাচনের তারিখ না পেছালে নির্বাচন কমিশন অভিমূখে পদযাত্রা, লংমার্চ হবে। দেশের প্রতিটি অঞ্চলে মিছিল ও জনসভা হবে।

সমাবেশে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ঐক্যফ্রন্ট নেতা ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, সরকারের ভীত নড়ে গেছে। তারা পালাবার পথ খুঁজছে। সরকার যত প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করুক না কেন, ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে তাদের পরাজিত করা হবে। জনগণের বিজয় সুনিশ্চিত।

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ঐক্যের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করে একতরফা নির্বাচনী বৈতরণী পার করার সুযোগ দেয়া হবে না।

তিনি বলেন, ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন বানচাল করতে চায় না। ৭ দফা দাবি মেনে না নেয়া পর্যন্ত দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। প্রতিহিংসা বন্ধ করে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে সরকারের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।

মান্না অভিযোগ করে বলেন, ঐক্যফ্রন্ট যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে সরকার সে ফাঁদ পেতেছে। এ সময় তফসিল পেছানোর আহ্বানও জানান মান্না।

সমাবেশে বক্তব্যে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেন, দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিতে না চাইলে ৭ দফা মেনে নিতে হবে। এ সময় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন দেয়ার কথা তিনি বলেন।

ঐক্যফ্রন্ট নেতা ও গণদল চেয়ারম্যান এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী বলেন, ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে রাষ্ট্রের মালিকানা ফেরতের যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, তার সমাপ্তি ঘটবে জনগণের মালিকানা ফেরতের মাধমে। আর তা করতে হলে নিরপক্ষে সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, মেরুদণ্ডহীন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই নির্বাচন কমিশন পুর্নগঠন করতে হবে। পুনরায় তফসিল ঘোষণার দাবি জানান তিনি। এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করেন গোলাম মাওলা।

রাজশাহী বিভাগের সমন্বয়ক বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনুর সভাপতিত্বে জনসভায় আরো বক্তব্য রাখেন গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমানুল্লাহ আমান, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলুসহ স্থানীয় নেতারা।

নিউজওয়ান২৪/এমএস