এই দিনে জীবনের সবচেয়ে বড় ‘গিফট’টি পান সাকিব
নিউজ ডেস্ক
নিউজ ওয়ান২ ৪
প্রকাশিত : ০৫:৪১ পিএম, ৮ নভেম্বর ২০১৮ বৃহস্পতিবার
ফাইল ছবি
জিম্বাবুয়ে সফরে ২০০৬ সালে প্রথমবার জাতীয় দল থেকে ডাক এসেছিলো সাকিব আল হাসানের। আর আজ তিনি বিশ্বের ক্রিকেট আইকন। কিন্তু তার পথ চলাটা খুব একটা মসৃন ছিলো না। প্রতিনিয়তই কঠোর পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি।
এতো গেলো সাকিবের খেলোয়ার জীবনের কথা। তবে ব্যক্তি সাকিব হিসেবে অনেকেই তাকে কট্টর এবং বাস্তবাদী মনে করেন। আর এ কথা কখনোই অস্বীকার করেননি সাকিব নিজেও।
তবে ব্যক্তিগত জীবনে যে তিনি বেশ সুখেই দিন যাপন করছেন সেটি তার এবং স্ত্রীর শেয়ার করা ছবিতেই অনেকটা ধারনা পাওয়া যায়। তার সুখে থাকার মূল মন্ত্রটি ছিলো ২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর। কেননা এ দিনে তিনি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী উম্মে আহমেদ শিশিরের সঙ্গে বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হন। ঢাকার হোটেল রূপসী বাংলায় তাদের বিবাহ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। আর তাদের ঘর এখন আলোকিত করে আছেন আলাইনা হাসান অব্রি নামে এক কন্যা সন্তান।
তবে বিশ্ব সেরা এ অলরাউন্ডারের কাছে ১২ ডিসেম্বর বিবাহবার্ষিকীর চেয়ে ৮ নভেম্বর তারিখটিই বেশি অপেক্ষার এবং আনন্দের। কারণ, ২০১৫ সালের এইদিন পৃথিবীতে জন্ম হযেছিলো এক বাবা। আর সাকিবকে সেই পিতৃত্বের অনুভূতিটিই দিয়েছিলো তার মেয়ে আলাইনা।
এই প্রসঙ্গে বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেন, এটা আমার জীবনে আল্লাহর তরফ থেকে সবচেয়ে বড় একটা গিফট। আগে অনেকেই বলতো বাবা হওয়ার অন্যরকম এক অনুভূতি, আমার বাবাও বলেছে, আমি তখন বুঝতাম না, কিন্তু এখন বুঝি! এটা আসলে এমন একটা ফিলিংস যেটা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। আর ওর (আলাইনার) কাছে আসলেই আমার সব ক্লান্তি দূর হয়ে যায়।
পরিবারকে সময় দেয়া নিয়ে সাকিব বলেন, চেষ্টা করি খেলার বাইরে যতোটা সম্ভব পরিবারকে সময় দেয়ার। মাঝে মাঝে অভিযোগ বা হতাশা আসে। কিন্তু আমরা দুজনই অ্যাডজাস্ট করি। তবে আমি না থাকলে ও খুব খারাপ ফিল করে, মিস করে, এটা বুঝতে পারি।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে টেস্ট, ওডিআই ও টি২০ প্রত্যেক ক্রিকেট সংস্করণে বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডার হওয়ার খেতাব অর্জন করেন সাকিব আল হাসান। তবে বর্তমানে তিনি আঙুলের চোট কাটিয়ে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় আছেন।
নিউজওয়ান২৪/এএস