‘বাড়াবাড়ি করছে, দিছি...সরাইয়া’
বিশেষ প্রতিনিধি
নিউজওয়ান.কম
প্রকাশিত : ০৫:২৭ পিএম, ২৫ মে ২০১৫ সোমবার | আপডেট: ১২:৫৪ পিএম, ২৯ জুন ২০১৫ সোমবার
ঢাকা: নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলার প্রধান আসামি কাউন্সিলর নূর হোসেনের সহযোগী আলী মোহাম্মদের ১৬৪ ধারায় আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিটি ৩০ পাতার। ২০১৪ সালের ২৪ জুলাই আলী মোহাম্মদের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিটি রেকর্ড করেন নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চাঁদনী রূপম। ওইদিন আলী মোহাম্মদকে সকাল ৯টা ২০মিনিটে আদালতে হাজির করা হয়। তাকে ৩ ঘণ্টা সময় দেয়া হয়। দুপুর ১২টা ২০মিনিট থেকে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তারদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। ইতোমধ্যে সাবেক র্যাব কর্মকর্তা এম এম রানা ও আরিফ হোসেনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি মিডিয়ায় প্রকাশ হয়। ম্যাজিস্ট্রেট চাঁদনী রূপমের কাছে দেওয়া আলী মোহাম্মদের পুরো জবানবন্দিটি নিউজওয়ান২৪.কম পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো
“২৭ এপ্রিল সকাল দশটা সাড়ে দশটার দিকে কিছু খেজুর নিয়ে নূর হোসেনের বাড়িতে যাই এবং সবার সঙ্গে সাক্ষাৎ করি। নূর হোসেনের অপর সহযোগী সানাউল্লাহ সানা আমাকে ডেকে নিয়ে বাড়ির এক সাইডে বলে, আজকে নজরুল কমিশনারকে র্যাব ধরে র্যাব-১১ তে নিয়ে আনবো।
নূর হোসেন চেয়ারম্যান তখন সানাউল্লাহকে বলে, এই সানাউল্লাহ-এদিকে আয়।
সানাউল্লাহ তখন নূর হোসেনের কাছে গেলে আমি ৩-৪ মিনিট পরে বাড়িতে ফিরে আসি। আমার বাসায় স্ত্রীকে বলি, খেজুর, তসবীহ, আতর, জায়নামাজ আত্মীয়দের বাড়িতে পাঠাতে। আমি কিছু খেজুর, তসবিহ, আতর, জায়নামাজ, বোরকা নিয়ে কাঁচপুরের সোনাপুরে আমার বড় বোন আছমার বাসার পথে রওয়ানা দেই। বোনের বাসায় দুপুরে খাই ও নামাজ পড়ি। আনুমানিক পৌনে ২টার দিকে শাহজাহান আমার মোবাইল নম্বরে আরেকটি মোবাইল ফোন নম্বর থেকে ফোন করে। শাহাজাহান ফোন করে বলেন, তোকে চেয়ারম্যান আইতে কইছে, তুই তাড়াতাড়ি আয়। আমি একটি সিএনজি নিয়ে তাড়াতাড়ি নূর হোসেনে বাড়িতে যাই। বাড়িতে অনেক লোকজন দেখি। আমি শাহজাহানকে জিজ্ঞাসা করি, ভাই কই?
শাহজাহান বলে, ভাই উপরে। আমি বাসায় যাই এবং ৪/৫ মিনিটের মধ্যে আবার চেয়ারম্যানের বাড়িতে আসি। আমি এবার এসে বসে থাকি। ১০/১৫ মিনিট পরে নূর হোসেন বাড়ির দোতলা থেকে নামল।
নূর হোসেন বলল, শাহজাহান এদিকে আয়। আমরা সবাই তার সামনে গোল লাইনে দাড়াই। ওই সময় আমিসহ শাহজাহান, সানাউল্লাহ সানা, বাশার, চার্চিল, রিয়াজ, সেলিম, জামাল, বিতু, হাসান, মোহিত, ফারুকসহ ২০/২৫ জন লোক ছিল। নূর হোসেন বলে, আমি নারায়ণগঞ্জ শহরে যাব। আমাকে শাহজাহানকে, সানাউল্লাহকে, বাশারকে, চার্চিলকে, রিয়াজকে নূর হোসেন বলল, তোরা মাইক্রো স্ট্যান্ড থেকে ২টি হাইএইস গাড়ি আনবি। তোরা সাইনবোর্ড থেকে শিমরাইল মোড়ে, চিটাগাং রোড পর্যন্ত পাহাড়া দিবি। নজরুল কমিশনার কিডন্যাপ হয়েছে। যেকোনো সময় নজরুলের লোকজন রোড ব্যারিকেড দিতে পারে। নূর হোসেনের সঙ্গে সেলিম, হাসান, বিতু, নাজু, আনোয়ার, মোহিত, ফারুক, জিতু, রিয়াদসহ আরও কিছু ছেলে ৩টি গাড়ি, ১টি এসআই, ১টি আলফার্ড, ১টি প্রাইভেট গাড়ি নিয়ে শহরে আসে। শাহজাহান মাইক্রোস্ট্যান্ডে ফোন দিলে ২টি হাইএইস গাড়ি চেয়ারম্যানের বাড়িতে পাঠায়। আমিসহ ৭/৮ জন গাড়িতে উঠি। পিছনের গাড়িতে শাহজাহানের ছোট ভাই আসলাম ১০/১২ জন নিয়ে ওঠে। আমরা ২টি গাড়ি নিয়ে সাইনবোর্ড আসি। সাইনবোর্ড থেকে চিটাগাং রোড পর্যন্ত যাই। এভাবে ৩/৪ বার রাউন্ড দেই।
আমরা চিটাগাং রোড থেকে ফেরার পথে সানারপাড়ে একটি ইউটার্ন আছে। ওইখানে সব গাড়ি ঘুরাইয়া ফেলছিল। বিকাল তখন ৫টা সাড়ে৫টা বাজে। আমরা শুনতে পাই লোকজন তখন বলাবলি করছে, নজরুল কমিশনার কিডন্যাপ হইছে। নজরুলের লোকজন সাইনবোর্ড রোড ব্যারিকেড দিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করছে। আমরা গাড়ি ঘুরিয়ে রাস্তার বা সাইডে গাড়ি থামিয়ে বসি। একটি খালি সিএনজি আসছিল। আমরা সিএনজি চালককে জিজ্ঞাসা করি, কী হইছে? সিএনজি চালক বলেন, নজরুল কমিশনার কিডন্যাপ হইছে। ২০০/৩০০ লোক সাইনবোর্ড ব্যারিকেড দিছে। শাহজাহান নূর হোসেনকে ফোন করে বলেন, ভাই সাইনবোর্ডে লোকজন রাস্তা ব্যারিকেড দিয়েছে। নূর হোসেন বলে, কেমন মানুষ? শাহজাহান উত্তর দেয়-২০০/৩০০ লোক। নূর হোসেন জিজ্ঞাসা করেন, তোরা কই? শাহজাহান উত্তর দেয়, আমরা সানারপাড় স্ট্যান্ডে। নূর হোসেন শাহজাহানকে বলে, তোরা ট্রাক স্ট্যান্ডের অফিসে চলে আয়। আমি আদমজী রোড দিয়ে অফিসে আইতাছি। শাহজাহান বলে, ভাইকে আগাইয়া আনতে সিদ্ধিরগঞ্জের পুল পর্যন্ত যাইতো হইবো। তোরা সবাই গাড়িতে ওঠ। আমিসহ ২/৩ জন ছেলে ট্রাকস্ট্যান্ডের অফিসে বসে রইলাম। আমি বললাম, আমার ভাল লাগছেনা, তোরা যা। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে পৌনে ৭টার দিকে ২টি গাড়ি রওয়ানা দেয় এবং ১০/১৫ মিনিটের মধ্যে ২টি গাড়িসহ নূর হোসেনের ৩টি গাড়িসহ মোট ৫টি গাড়ি ট্রাকস্ট্যান্ডের অফিসে চলে আসে। নূর হোসেন গাড়ি থেকে নেমে বলে, এই মামুন কই?
মামুন দৌড়ে এসে বলে, জ্বী মামা, বলেন। নূর হোসেন বলে, মামুন লোকজনকে ফোন কর। সবাইকে অফিসে আসতে বল। আরও লোক লাগবো। এক/দেড় ঘণ্টার মধ্যে শতেক খানিক লোক অফিসে জড়ো হয়ে গেল। রাত আনুমানিক ৮টা সাড়ে ৮টার দিকে শাহজাহান ১টি গাড়ি নিয়ে একা বাইরে বের হয়ে যায়। ৯টার পরে শাহজাহান অফিসে এসে পরে। অফিসের পিছনে ক্যান্টিনে খিচুরি পাক হয় ও আমরা রাতে খিচুরি খাই। রাত ১০টা সাড়ে ১০টার দিকে নূর হোসেন আমাদের মধ্যে আমাকে, শাহজাহানকে, সানাউল্লাহকে, বাশারকে, চার্চিলকে, রিয়াজকে, জামালকে, সেলিমকে, রহম আলীকে তার অফিস ঘরে ডাকে। আমাদের নূর হোসেন বলেন, আধঘন্টা পরে ১টি গাড়ি নিয়ে শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে তোরা ল্যান্ডিং এ যাবি। র্যাবের লোক আইবো। তারা তাদের কিছু কাজ করবো। তোরা পাহাড়া দিবি যাতে কোনও লোকজন ওইদিকে যাইতে না পারে। আনুমানিক রাত ১১টার দিকে নূর হোসেনের হোন্ডা এস গাড়ির ড্রাইভার মিজানকে নিয়ে আমি, শাহজাহান, সানাউল্লাহ, বাশার, চার্চিল, রিয়াজ, সেলিম, জামাল, রহম আলী ৯ জন মিলে ওই গাড়িতে করে শীতলক্ষ্যা নদীর পাড় কাঁচপুর ব্রিজের কাছে ল্যান্ডিং স্টেশনে যাই।
‘বাড়াবাড়ি করছে, দিছি ..দুনিয়া থেকে সরাইয়া, বাড়িতে গিয়া আরামে ঘুমা’
ল্যান্ডিং স্টেশনের উত্তর সাইডের পশ্চিম কোনায় রাস্তার দিকে মুখ রেখে গাড়িটি রাখি। আমরা গাড়ি থেকে নেমে দাঁড়াই। রাত তখন সাড়ে ১১টার উপরে বাজে। ১৫/২০ মিনিটের মধ্যে র্যাবের ৩টি সাদা মাইক্রোবাস এসে থামে। গাড়িগুলো ল্যান্ডিং স্টেশনের দক্ষিণপাড়ে থেকে নদীর পাড়ে পূর্ব দিকে জেটির কাছে রাখে। গাড়ি থেকে ৬ জন লোক নেমে আমাদের দিকে আসে। র্যাব-১১ এর মেজর আরিফ সাহেবকে আমি চিনি। বাকি ২ জনকে চিনতে পারি নাই। মেজর আরিফ নূর হোসেনের অফিসে প্রতি মাসে ৮/১০ বার রাতে আসতো। নূর হোসেনের বাড়িতে ২দিন দাওয়াতও খেয়েছে। আরিফ সাহেব এসে শাহজাহানকে বলে, শাহজাহান এদিকে আসো। শাহজাহান তার কাছে গেলে শাহজাহান আরিফ সাহেবের সঙ্গে কথা বলতে বলতে আমাদের সামনে থেকে ১০০ হাত দূরে চলে যায়। মেজর আরিফ তার সঙ্গের ২ জন লোককে নিয়ে তাদের গাড়ির সামনে যায় এবং শাহজাহান, সেলিম ও জামালকে ল্যান্ডিং স্টেশনের দক্ষিণ কোনার পশ্চিম সাইডে দাঁড় করায়। রিয়াজ, বাশার, রহম আলীকে ওয়াবদার রাস্তায় দাঁড় করায়। সানাউল্লাহ, চার্চিল ও আমাকে আমাদের গাড়ির সামনে দাঁড় করায়। শাহজাহান মাঝখান দিয়ে হাঁটাহাঁটি করতে থাকে। আমি ৫/৭ মিনিট পরে হাঁটতে হাঁটতে র্যাবের মাঝখানের গাড়ির কাছে গিয়ে উঁকি দেই। আমি তখন কিছু লাশ দেখতে পাই।
ওইসময় মুখে কাপড়ধারী লোক আমাকে ধমক দেয়। সে বলে, এই লোক কে?
তখন শাহজাহান দৌড়ে এসে বলে, তোকে কি এখানে ডিউটি করতে বলেছি? তোকে যেখানে ডিউটি করতে বলেছি সেখানে যা, পাকনামী কম কর।
আমি শাহাজাহানের ধমকে আমাদের গাড়ির সামনে দাঁড়াই। র্যাবের ১২/১৩ জন লোক ৪/৫টি লাশ ট্রলারে উঠাইতেছিল। র্যাবের লোকজন গাড়ি থেকে নামাইয়া কতগুলো বস্তা ট্রলার ওঠায়। শাহজাহানের মোবাইলে রাত ১২টার পরে একটা ফোন আসে। শাহজাহান ফোনে জ্বী জ্বী করে। শাহজাহান বলে, তোরা সবাই গাড়িতে ওঠ। তখন রাত ১২টা অথবা সোয়া ১২টা বাজে। আমরা সবাই গাড়িতে উঠি। র্যাবের লোকজন ওইখানে থাকে। আমরা অফিসে আসি। শাহজাহান একা নূর হোসেনের অফিস রুমে ঢুকে যায়। ৫/৭ মিনিট পরে শাহজাহান বের হয়। রাত সাড়ে ১২টা বা ১টার দিকে নূর হোসেন তার অফিস ঘর থেকে বের হয়ে বলে, ওই মামুন, সবাইকে যার যার বাড়িতে চলে যেতে বল। আমি শাহজাহান, সানাউল্লাহ, বাশার, চার্চিল, রিয়াজ, সেলিম, জামাল, হাসান, রহম আলী, আনোয়ার, জজ মিয়া, বাদল, রুবেল, ফয়সালসহ ১৫/২০ জন লোক নূর হোসেনকে নিয়ে তার বাড়িতে যাই।
নূর হোসেন তার বাড়ির দোতলার সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে বলে, দেখ নজরুল...(অশ্রাব্য গালি থাকায় প্রকাশ করা হলো না)... পোলা আমার লগে বাড়াবাড়ি করছে, দিছি... পোলারে দুনিয়া থেকে সরাইয়া। যা তোরা বাড়িতে গিয়া আরামে ঘুমা।
আমি বাড়িতে চলে আসি। ২৮ এপ্রিল সকাল ৯টা-সাড়ে ৯টার দিকে নূর হোসেনের বাড়িতে আসি। নূর হোসেন তার বাড়ির গেটের ফুলের বাগানের সাইডে বসে ছিল। ক্যাশিয়ার কাশেম তাকে পত্রিকা পড়ে শুনাইতেছিল। ওই সময় তাজিম বাবু, সাদেক ভাই, সামাদ ভাই, আলম সাহেব বসা ছিল। সারাদিন নূর হোসেন বাড়িতে ছিল। রাত ১১টা সাড়ে ১১টার দিকে নূর হোসেন বাড়ি থেকে হাসানের গাড়ি নিয়ে হাসান, সেলিম, বিতু বের হয়। বের হওয়ার আগে নূর হোসেন বলে, তোরা এই বাড়িতে থাক। আমি কাজে ঢাকায় যাইতেছি।
আমি রাত ১২টা-সাড়ে ১২টার দিকে শাহজাহান ও সানাউল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় যাই এবং জমা দেয়া শটগান ও ৯৫ রাউন্ড কার্তুজ জমা দেওয়ার কাগজ দেখিয়ে তুলে আনি। আমি আধাঘণ্টা পরে বাসায় আসি। ২৯ এপ্রিল নূর হোসেন চেয়ারম্যানের বাড়ি পুরো খালি দেখতে পাই। আমাকে নূর হোসেন কোনও খবর দেয় নাই। আমার মা সন্ধ্যায় আমার বাড়িতে এসে বলে, নূর হোসেন বউ, ছেলেমেয়ে সবাই বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে। তুই এখনো বাসায় কেনো, তোকেতো নজরুল কমিশনারের লোক ধরে নিয়ে যাবে, তুইও চলে যা।
আমি ২৯ এপ্রিল রাতেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আমার মামার বাড়িতে চলে যাই। এতোদিন ওখানেই ছিলাম। ওখান থেকে ডিবি পুলিশ আমাকে ধরে নিয়ে আসে। এই আমার জবানবন্দি।"
প্রসঙ্গত, জবানবন্দী রেকর্ড করার পূর্বে আলী মোহাম্মদকে চাঁদনী রূপম জিজ্ঞাসা করেন, “আমি পুলিশ নই, ম্যাজিস্ট্রেট জানেন কি?” আলী মোহাম্মদ ‘হ্যাঁ’ সূচক উত্তর দেন।
এরপর ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, “আপনি দোষ স্বীকার করতে বাধ্য নন, জানেন কি?” আলী এবারও ‘হ্যাঁ’ সূচক উত্তর দেন।
“আপনার দোষ স্বীকারোক্তি আপনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে জানেন কি?” চাঁদনী রূপমের এই প্রশ্নের জবাবেও আলী হোসেন ‘হ্যাঁ’ সূচক উত্তর দেন।
“আপনি দোষ স্বীকার করেন বা না করেন আপনাকে পুলিশের কাছে ফেরত পাঠানো হবে না। জানেন কি “
আগের মতই আলী ‘হ্যাঁ’ সূচক উত্তর দেন।
“আপনি কারো শিখানো মতে কিছু বলছেন না এবং যা খুশি বলতে পারেন। জানেন কি?”
আলী ‘হ্যাঁ’ সূচক উত্তর দেন।
“যা বলছেন স্বেচ্ছায়, সত্য বলবেন তো?”
আলী মোহাম্মদ এবারও ‘হ্যাঁ’ সূচক উত্তর দেন।
নিউজওয়ান২৪.কম/আরকে/