NewsOne24

যেদিন গ্রেফতার হবেন সেদিন থেকে ৭ বছরের জেল তারেক জিয়ার

স্টাফ রিপোর্টার

নিউজওয়ান২৪.কম

প্রকাশিত : ১২:১৫ পিএম, ২১ জুলাই ২০১৬ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১১:৩১ এএম, ২৩ জুলাই ২০১৬ শনিবার

তারেক জিয়া ও গিয়াসউদ্দিন আল মামুন                            -ফাইল ফটো

তারেক জিয়া ও গিয়াসউদ্দিন আল মামুন -ফাইল ফটো

ঢাকা: অর্থ পাচার মামলায় নিম্ন আদালত বিএনপি’র জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে খালাস দিয়েছিলেন। সেই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও একই মামলায় সাজা পাওয়া তারেক জিয়ার বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুন।

বৃহস্পতিবার আপিলের রায়ে মুদ্রা পাচার মামলায় নিম্ন আদালতের রায় বাতিল করে বিএনপি নেতা তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ২০ কোটি টাকা জরিমানা করেছে হাই কোর্ট। একই সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সহচর ব্যবসায়িক অংশীদার গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে নিম্ন আদালতের দেওয়া সাত বছরের কারাদণ্ড বহাল রাখা হয়েছে। তবে তার ৪০ কোটি টাকার অর্থদণ্ড কমিয়ে ২০ কোটি টাকা করা হয়েছে।

হাইকোর্ট মামুনের আপিল খারিজ এবং দুদকের আপিল মঞ্জুর করে। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিক হাই কোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার বহল আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করে।

২০ কোটি টাকা ঘুষ নিয়ে তা বিদেশে পাচারের অভিযোগে করা মামলার রায়ে ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ মোতাহার হোসেন ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদার জ্যেষ্ঠ সন্তান তারেককে বেকসুর খালাস দিয়েছিলেন। একই রায়ে তার ঘনিষ্ঠ সহচর গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের সাত বছর কারাদণ্ড এবং ৪০ কোটি টাকা জরিমানা হয়েছিল।

২০০৮ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত তারেকের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা হত্যাচেষ্টাসহ দুর্নীতি, রাষ্ট্রদ্রোহ ও মানহানীর অভিযোগে কয়েক ডজন মামলা রয়েছে।

আলোচিত মামলার অভিযোগে বলা হয়, নির্মাণ কনস্ট্রাকশনস নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে রাজধানীর অদূরে টঙ্গীতে ৮০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাসে ২০ কোটি টাকা ঘুষ নেন তারেকের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী মামুন। এরপর ২০০৩ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে নানা কায়দায় ওই টাকা সিঙ্গাপুরের সিটি ব্যাংকে মামুনের হিসাবে পাচার করা হয়। পরবর্তীতে ওই হিসাব থেকে প্রায় পৌনে চার কোটি টাকা খরচ করেন বিএনপি’র জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক।

ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট থানায় ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর দায়ের হওয়া এ মামলায় তারেক-মামুনের বিচার শুরু হয় প্রায় দুই বছর পর- ২০১১ সালের ৬ জুলাই।

মামলার শুরু থেকেই তারেক রহমান দেশে নেই। আর ১/১১ পরবর্তী জরুরি অবস্থার শুরুতে (২০০৭ সালে) গ্রেপ্তারের পর থেকে তার বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুন কারাগারেই আছেন।

মামলা সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা জানান, আদালতের দৃষ্টিতে পলাতক তারেক রহমান বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের হাতে গ্রেফতারের পর থেকেই তার জেলদণ্ডের মেয়াদ শুরু হবে। 

মামলা শুরুর আগে থেকে আট বছর ধরে তারেক রহমান ওরফে তারেক জিয়া যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন।

প্রসঙ্গত, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোও মুদ্রা পাচার মামলায় দণ্ডিত হয়েছিলেন। পৃথক ওই মামলায় পাওয়া কারাদণ্ডাদেশ মাথায় নিয়ে বিদেশে (মালয়েশিয়া) অবস্থানকালেই তার মৃত্যু হয়।

নিউজওয়ান২৪.কম/আরকে