ধর্মঘটে উচ্ছৃঙ্খলতার বিরুদ্ধে গৃহীত পদক্ষেপ জানতে চায় হাইকোর্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিউজ ওয়ান২ ৪
প্রকাশিত : ০৭:২২ পিএম, ৩১ অক্টোবর ২০১৮ বুধবার
ফাইল ছবি
সংসদে পাস হওয়া ‘সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮’ এর কয়েকটি ধারা সংশোধনসহ আট দফা দাবি আদায়ে সারাদেশে ডাকা ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের সময় চালকদের মুখে পোড়া মোবিল দেওয়া, অ্যাম্বুলেন্স আটকে রাখায় শিশু মৃত্যুর ঘটনাসহ পরিবহন শ্রমিকদের উচ্ছৃঙ্খল কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পুলিশের মহাপরিদর্শককে এই বিষয়ে জানাতে বলা হয়েছে।
জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বুধবার (৩১ অক্টোবর) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
ধর্মঘটের নামে এসব ভয়ঙ্কর ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে সে বিষয়ে আইশৃঙ্খলাবাহিনী ও সংশ্লিষ্ট কর্মৃপক্ষকে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, সড়ক পরিবহন ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয় সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার, ঢাকা মেট্রোপলিটন ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার, মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জের দুই ডেপুটি কমিশনার এবং পুলিশ সুপারকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইয়েদুল হক সুমন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।
পরে সৈয়দ সাইয়েদুল হক সুমন বলেন, পরিবহন আইন সংশোধনের নামে শ্রমিকরা গত ২৮ ও ২৯ অক্টোবর দেশে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট ডাকে। এ সময় তাদের অনেকে সাধারণ চালক বা শিক্ষার্থীদের মুখে পোড়া মোবিল লাগিয়ে দেয়। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে অ্যাম্বুলেন্স আটকে রাখাসহ বেশ কিছু ঘটনায় দুই শিশুর মৃত্যু হয়। পরে এ বিষয়গুলো বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ হলে তা হাইকোর্টের নজরে আনা হয়। এরপর আদালতের নির্দেশে বুধবার হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এই রিটের শুনানিকালে আদালত বিভিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে হরতাল বা ধর্মঘটের সময় আরেকজন ব্যক্তিকে চলাচলে বাধা দেওয়াসহ সাংবিধানিক অধিকার যেন খর্ব না হয় সে বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের নিশ্চিত করতে বলেছেন।
নিউজওয়ান২৪/এএস