NewsOne24

শুভ জন্মদিন আসাদুজ্জামান নূর

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিউজ ওয়ান২ ৪

প্রকাশিত : ০৪:৪৭ পিএম, ৩১ অক্টোবর ২০১৮ বুধবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

আজ ৩১ অক্টোবর। মিডিয়া ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের জন্মদিন। ১৯৪৬ সালের এই দিনে নীলফামারী জেলায় তিনি জন্মগ্রহণ করেন। আর এ বছর ৭২ বয়সে পা দিয়েছেন এ অভিনেতা। নন্দিত এই অভিনেতার জন্মদিনে ডেইলি বাংলাদেশ পরিবারের পক্ষ থেকে রইল জন্মদিনের শুভেচ্ছা।

নীলফামারী বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের ছোট্ট মফস্বল শহর। এই শহরেই শৈশব-কৈশোর আর তারুণ্যের প্রথম ভাগ কেটেছে সরকারের বর্তমান সংস্কৃতিমন্ত্রী ও সময়ের চিরসবুজ অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূরের।

বাবা-মা দুজনই ছিলেন স্কুলশিক্ষক। দুই ভাই আর এক বোনের মধ্যে আসাদুজ্জামান নূর ছিলেন সবার বড়। ১৯৮২ সালে ডাক্তার শাহীন আকতারকে বিয়ে করেন তিনি। এক ছেলে এক মেয়ে নিয়ে সুখের সংসার তার। ছেলে সুদীপ্ত লন্ডনে একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে বর্তমানে দেশে একটি কোম্পানিতে কর্মরত রযেছেন। মেয়ে সুপ্রভার বিয়ে হয়ে সুখেই রয়েছেন।

জীবনে প্রথমদিকে বাম রাজনীতিকে গায়ে মেখে দুর্বার যাত্রা শুরু করেন এ অভিনেতা। শ্রেণি-সংগ্রাম, ক্ষুধা ও দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য তিনি লড়াই-সংগ্রাম করেছেন জীবনের অনেকটা সময়। বহমান স্রোতের আদর্শবান পুরুষ হিসেবে আসাদুজ্জামান নূর পেয়েছেন যশ, খ্যাতি, প্রশংসা, পুরস্কার এবং লক্ষ-কোটি দর্শকদের ভালোবাসা।

১৯৬২ সালে স্বৈরাচারী আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে সকল আন্দোলনে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন আসাদুজ্জামন নূর। পরবর্তীতে তিনি ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। আসাদুজ্জামান নূর মুক্তিযুদ্ধে ৬ নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন। 

জীবনের দ্বিতীয় ভাগে হয়ে ওঠেন অভিনয়ের যোদ্ধা। তিনি কখনও ‘এই সব দিনরাত্রি’র শফিক, কখনও ‘অয়োময়’র ছোট মীর্জা, কখনও বা ‘সবুজ ছায়ার’ ডাক্তার চরিত্রে অভিনয় করে লক্ষ লক্ষ দর্শক-শ্রোতার প্রশংসা ও ভালোবাসা পেয়েছেন। তবে কিংবদন্তি হয়ে আছেন ‘কোথাও কেউ নেই’ নাটকে বাকের ভাই চরিত্রে। 

অবশ্য ‘নক্ষত্রের রাত’ নাটকে তার হাসান চরিত্রটিও একজন উঁচু পর্যায়ের দার্শনিকের কথাই মনে করিয়ে দেয়। বলা বাহুল্য, এসব নাটক ছিল প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের রচিত।

একই লেখকের রচনা ও পরিচালনায় ‘আগুনের পরশমনি’ চলচ্চিত্রে কাজ করেও নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন আসাদুজ্জামান নূর। তারপর থেকে কেবল অভিনয়ের ভূবনে নিজেকে সমৃদ্ধ করেই চলেছেন। অভিনয় তার কতটা প্রিয় সেটি টের পাওয়া যায় যখন একজন মন্ত্রী হয়েও তাকে এখনো অভিনয় করতে দেখা যায়। আসাদুজ্জামান নূর ২০০১, ২০০৮ এবং ২০১‎৩ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নিলফামারী জেলা হতে সাংসদ নির্বাচিত হন।

আসাদুজ্জামান নূর থিয়েটারের লোক। মঞ্চ থেকেই তার মতো অভিনেতার উত্থান। নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের হয়ে তিনি বহুকাল ধরে কাজ করে আসছেন। এই দলের জন্য বিদেশি একটি নাটকের অনুবাদ করেছিলেন নূর। জনপ্রিয় সেই প্রযোজনাটির নাম ‘দেওয়ান গাজির কিসসা’। 

অভিনেতা, আবৃত্তিকার, বিজ্ঞাপন নির্মাতা, ব্যবসায়ী, সফল রাজনীতিবিদ এবং সর্বশেষ একজন আদর্শ পিতা ও একজন আদর্শ স্বামী তিনি। তবে আসাদুজ্জামান নূর নিজেকে একজন আত্মপ্রত্যয়ী মানবতাবাদী মানুষ হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করেন।

নিউজওয়ান২৪/এএস