NewsOne24

যুক্তরাষ্ট্রে সাইবার ক্রাইমে জড়িত অভিবাসী বাংলাদেশির কারাদণ্ড

প্রবাস ডেস্ক

নিউজওয়ান২৪.কম

প্রকাশিত : ০৬:১১ পিএম, ২০ জুলাই ২০১৬ বুধবার | আপডেট: ১০:৫৯ এএম, ২৫ জুলাই ২০১৬ সোমবার

ছিঁচকে চুরি নয়, মাদকসংক্রান্ত অপরাধ নয়- অনলাইনে তথ্য চুরি, সন্ত্রাসী হামলার ভুয়া খবরসহ হুমকি ছড়ানোর দায়ে ওয়াশিংটনে এক বাংলাদেশি দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন।

২০০০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী হন মীর ইসলাম নামের ওই বাংলাদেশি।

গত (সোমবার) যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির ফেডারেল কোর্টের অধীন ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি চ্যানিং ডি ফিলিপস ব্রুকলিনের বাসিন্দা মীর ইসলামকে (২২) এই দণ্ড দেওয়ার কথা জানান।

রায় প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি চ্যানিং ডি ফিলিপস বলেন, অন্যের গোপন তথ্য চুরি, ইন্টারনেটের অপব্যবহার ও প্রতারণা, বিভিন্ন ব্যক্তির সোশাল সিকিউরিটি নম্বরের অপব্যবহার, এফবিআইসহ বিভিন্ন সংস্থা ও সরকারকে ভুয়া তথ্য ও হুমকি ছড়ানোর অপরাধে বিচারক রা্যান্ডল্ফ ডি মোস এই সাজা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, অন্যের গোপন তথ্য চুরি, ইন্টারনেটের অপব্যবহার ও প্রতারণা, বিভিন্ন ব্যক্তির সোশাল সিকিউরিটি নম্বরের অপব্যবহার, এফবিআইসহ বিভিন্ন সংস্থা ও সরকারকে ভুয়া তথ্য ও হুমকি ছড়ানোর অপরাধে বিচারক রা্যান্ডল্ফ ডি মোস এই সাজা দিয়েছেন।

তিন বছরের দণ্ডভোগের পর মুক্ত হয়েও মীরকে তিন বছর কঠোর নজরদারিতে থাকতে হবে কর্তৃপক্ষের।

তবে মীরের আইনজীবী আদালতে দাবি করেন যে তার মক্কেল ‘মানসিকভাবে অসুস্থ’।

অ্যাটর্নি চ্যানিং জানান, দীর্ঘসময় টানা কম্পিউটার গেম খেলার ফলে তিন বছর আগে মীর ইসলামের এ অবস্থা হয় বলে তার আইনজীবী আদালতকে জানিয়ছেন। সে সুবাদে চিকিৎসার লক্ষ্যে তার মক্কেলের সাজা কমানোরও আবেদন করেন তিনি।

তিনি আরও জানান, মীরের বিরুদ্ধে গত বছরের ২৩ এপ্রিল হোয়াইট হাউজে বোমা হামলার হুমকি প্রদানের প্রমাণ আছে।

২০১৩ সালের ৪ এপ্রিল পুলিশকে ফোন করে তার স্ত্রীকে এক ব্যক্তি গুলি করে হত্যা করেছে বলে ভুয়া খবর দেন মীর। ওই বছরের ২২ মার্চ তিনি ইউনিভার্সিটি অব আরিজোনা ক্যাম্পাসে বোমা ও গোলাগুলির মিথ্যা খবরও দেন পুলিশকে।

ধূরন্ধর এই অভিবাসী তরুণ ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে এফবিআই, সিআইএ ও মার্কিন প্রশাসনকে ফোন করে এ ধরনের কমপক্ষে ৫০টি মিথ্যা খবর দিয়ে বিভ্রান্ত করেন বলে জানা গেছে।

মীর ইসলামের এহেন কর্মকণে।ডর সূত্রে কোনো কোনো স্থানে সোয়াট বাহিনীকেও অভিযানে পাঠানো হয় বলে জানান অ্যাটর্নি চ্যানিং।

তিনি জানান, প্রবাসী এ বাংলাদেশির বিরুদ্ধে অনলাইন থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষের সোশাল সিকিউরিটি নম্বর চুরি করে তা অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগও আদালতে প্রমাণিত হয়েছে।

আন্ডারগ্রাউন্ড নাজি নামের একটি গ্রুপের পরিচয় দিয়ে সে বিপুল সংখ্যক মানুষের সোশাল সিকিউরিটি নম্বর চুরি করে তা অনলাইনে ছড়িয়ে দেয়। এসব ঘটনায় তার সহযোগী হিসেবে ক্যালিফোর্নিয়া, ভার্জিনিয়া ও ফিনল্যান্ড থেকে আরও চার যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান চ্যানিং।

নিউজওয়ান২৪.কম/এসএল