NewsOne24

পরলোকে ‘ডেটলাইন বাংলাদেশ: নাইন্টিন সেভেন্টিওয়ান’ লেখক শনবার্গ

ইত্যাদি ডেস্ক

নিউজওয়ান২৪.কম

প্রকাশিত : ০১:১৭ পিএম, ১০ জুলাই ২০১৬ রোববার

বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সিডনি শনবার্গ, ১৯৭২ সালের এপ্রিলে

বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সিডনি শনবার্গ, ১৯৭২ সালের এপ্রিলে

৮২ বছর বয়সে মারা গেলেন পুলিৎজার পুরস্কার জয়ী নিউ ইয়র্ক টাইমসের রিপোর্টার সিডনি শনবার্গ। বাংলাদেশ ও বাঙালির সুহৃদ এই সাংবাদিক একাত্তরে বাংলাদেশে পাকিস্তানিদের ঘটানো নির্মম গণহত্যার খবর বিশ্বজুড়ে প্রকাশের অন্যতম সূত্র ছিলেন তিনি।

শনিবার নিউ ইয়র্কের পগকিপসি শহরে মারা যান তিনি। তার তার আগে মঙ্গলবার হৃদরোগে আক্রান্ত হন। পেশাগত ক্ষেত্রে পুলিৎজার ছাড়াও জর্জ পোল্ক মেমোরিয়াল পুরস্কাসহ সাংবাদিকতার অনেক সম্মানজনক পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।

১৯৭৫ এ কম্বোডিয়ায় গণহত্যার সংবাদ সংগ্রহের জন্য পুলিৎজার পুরস্কার পাওয়া এই মার্কিন সাংবাদিক একাত্তরে বাংলাদেশে পাকিস্তানিদের গণহত্যার বিবরণও বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরেছিলেন। ওই সময়টায় নিউ ইয়র্ক টাইমসের দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া বিষয়ক প্রতিনিধি ছিলেন তিনি।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ‘ডেটলাইন বাংলাদেশ: নাইন্টিন সেভেন্টিওয়ান’ শিরোনামে একটি বই রয়েছে তার।

একাত্তের বাংলােদেশ পািকস্তািন হানাদরেদর ভয়বহ উম্মত্ততার সময়টায় সিডনি শনবার্গ ঢাকায় ছিলেন; প্রত্যক্ষ করেন ২৫ মার্চের পৈশাচিক গণহত্যা। এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় পাকিস্তান সরকার তাকে বহিষ্কার করে।

তবে বহিষ্কৃত হলেও যুদ্ধক্ষেত্র থেকে দূরে সরে যাননি শনবার্গ। নিউ ইয়র্ক টাইমসের দিল্লি ব্যুরো চিফ হিসেবে বারবার ফিরে আসেন সীমান্ত এলাকায়। কখনো মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে ঢুকে পড়েন মুক্তাঞ্চলে, প্রত্যক্ষ করেন মুক্তিবাহিনীর দুঃসাহসিক সব অপারেশন, ঘুরে দেখেন শরণার্থী শিবির।

মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের লগ্নে মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর সম্মিলিত অভিযানের সঙ্গী হয়ে যশোর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন শনবার্গ। এরপর ১৬ ডিসেম্বর রেসকোর্সে বাঙালির বিজয়ের সাক্ষী হন তিনি।

পরবর্তীতে ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ার যুদ্ধের খবর সংগ্রহেও অসাধারণ পেশাদারিত্বের স্বাক্ষর রাখেন।

নিউজওয়ান২৪.কম/আরকে