৪ ঘণ্টা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর পোস্তগোলা ব্রিজে যানচলাচল শুরু
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিউজ ওয়ান২ ৪
প্রকাশিত : ০১:১৩ পিএম, ২৬ অক্টোবর ২০১৮ শুক্রবার

ফাইল ছবি
দীর্ঘ প্রায় ৪ ঘণ্টা শ্রমিক-পুলিশ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর রাজধানীর পোস্তগোলা ব্রিজে যানচলাচল শুরু হয়েছে। তবে আপাতত কোনো যানবাহনের কাছ থেকে সেতু পারাপারের জন্য কোনো ধরনের টোল সংগ্রহ করা হচ্ছে না।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু উপস্থিত হয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে পুলিশ-শ্রমিক নেতাদের বৈঠকের পর টোল নেয়া স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পরে দুপুর ১২টার দিক থেকে যানচলাচল শুরু হয়।
তবে এখনো পোস্তগোলা ব্রিজ এলাকায় প্রচুর পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছেন। শ্রমিকরাও অবস্থান নিয়ে আছেন ওই এলাকায়।
স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ বলেন, সংষর্ঘ শুরুর পর থেকেই আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা করছিলাম। পরে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু ঘটনাস্থলে আসেন। এখানে আমরা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাসহ পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেছি।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আপাতত কোনো ধরনের টোল গ্রহণ ছাড়াই এই ব্রিজে যানবাহন চলাচল করতে পারবে। এই সিদ্ধান্ত আমরা টোল আদায় কর্তৃপক্ষকেও জানিয়েছি। এরপর যানচলাচল শুরু হয়েছে।
শ্রমিকরা বলছেন, ১৯৮৯ সালে তৈরি হয় এই সেতু। তখন বলা হয়েছিল, ২৫ বছর পর্যন্ত এই সেতুতে কোনো ধরনের টোল থাকবে না। কিন্তু শুরু থেকেই এই সেতুতে টোল নেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে হঠাৎ করে কয়েকগুণ করে টোল বাড়িয়ে দেয়া হয় গত ২২ অক্টোবর থেকে।
শ্রমিকরা বলছেন, আগে এই ব্রিজ পার হতে ট্রাকের জন্য ৩০ টাকা টোল দিতে হতো। আসতে-যেতে খরচ হতো ৬০ টাকা। কিন্তু আচমকা ব্রিজ পারাপারে টোল ২৪০ টাকা করা হয়েছে। এতে তাদের যেতে-আসতে এখন খরচ পড়বে ৪৮০ টাকা। অন্যান্য যানবাহনের টোলও প্রায় একই হারে বাড়ানো হয়েছে। ফলে পণ্য পরিবহন থেকে শুরু করে যাত্রী ভাড়া সবই বাড়বে।
এর আগে, শুক্রবার সকাল থেকেই পোস্তগোলা ব্রিজ এলাকায় শ্রমিক-পুলিশ দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে দুইজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
এছাড়া, আরো দু’জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। শ্রমিকরা বলছেন, তাদের অনেক শ্রমিক আহত হয়েছেন। অন্যদিকে পুলিশ জানিয়েছে, সংঘর্ষে তাদেরও শতাধিক সদস্য আহত হয়েছেন।
নিউজওয়ান২৪/জেডএস