NewsOne24

চট্টগ্রামে মাশরাফিরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিউজ ওয়ান২ ৪

প্রকাশিত : ০৯:৩৩ এএম, ২৩ অক্টোবর ২০১৮ মঙ্গলবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ দারুণ জয় তুলে নিয়েছে। মিরপুর শেরেবাংলা মাঠে ইমরুল কায়েসের সেঞ্চুরিতে টাইগাররা পেয়েছে ২৮ রানের দাপুটে জয়। তবে সিরিজের শেষ দুই ম্যাচ চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। যা মাঠে গড়াবে আগামীকাল।

আর শেষ ম্যাচ ২৬ অক্টোবর। দুটি ম্যাচই বাংলাদেশের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। দ্বিতীয় ম্যাচে জয় পেলেই সিরিজ নিশ্চিত হবে বাংলাদেশের। সেটি হলে ঘরের মাঠে দুই বছর পর ওয়ানডে সিরিজ জয়ের স্বাদ পাবে টাইগাররা। আর ৩ বছর পর দেশের মাটিতে পাবে কোনো দলকে হোয়াইটওয়াশ করার সুযোগও। সেই লক্ষ্য নিয়ে গতকাল বিকালে চট্টগ্রামে পৌঁছে বাংলাদেশ দল।

একই ফ্লাইটে চট্টগ্রামে পৌঁছে জিম্বাবুয়েও। তাদের লক্ষ্য সিরিজে সমতা ফেরানো। গোটা দলই সুস্থভাবে চট্টগ্রামে গেছে বলে নিশ্চিত করেন টাইগারদের লজিস্টিক ম্যানেজার দেবব্রত পাল। তিনি বলেন, ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফসহ সবাই ভালো আছে। সুস্থভাবেই সবাই চট্টগ্রামে এসেছে। আসার পথে কোনো সমস্যা হয়নি।

মাশরাফি বিন মুর্তজার দল শেষ সিরিজ জয় পেয়েছে এ বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বিদেশের মাটিতে। তবে দেশের মাটিতে শেষ সিরিজ জিতেছিল ২০১৬তে আফগানিস্তানের বিপক্ষে। অন্যদিকে ওয়ানডে সিরিজে বিদেশের মাটিতে প্রতিপক্ষ দলকে শেষবার হোয়াইটওয়াশের স্বাদ দিয়েছিল ২০০৯ সালে। সেবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টাইগাররা হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডোবায় স্বাগতিকদের। তবে দেশের মাটিতে ২০১৫তে জিম্বাবুয়েকে ৩-০তে হোয়াইটওয়াশ করেছিল মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।

তাই দেশে আবারো সুযোগ এসেছে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করে সিরিজ শেষ করার। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে ৬৯টি। সেখানে জয় ২২টিতে। আর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৬ সিরিজের মধ্যে টাইগারদের জয় ৯টিতে। ২০০১ এর পর থেকে দেশের মাটিতে আফ্রিকার এই দলটির বিপক্ষে আর কোনো সিরিজই হারেনি টাইগাররা। এবারো  সেই ধারাবাহিকতা ধরেই রাখাই মাশরাফি বিন মুর্তজার দলের অন্যতম লক্ষ্য। 

সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল নেই দলে। এই দুই তারকা ক্রিকেটার ছাড়া বড় পরীক্ষাই দিতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। তবে তারা না থাকায় সুযোগ এসেছে তরুণ ও নতুনদের পরখ করে নেয়ার। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দলে মাশরাফি, মুশফিক, মাহমুদুল্লাহ ও ইমরুল ছাড়া বাকি সবাই নতুন ও তরুণ। এদের মধ্যে প্রথম ম্যাচে অভিষেক হয়েছে ফজলে রাব্বি মাহমুদের।

কিন্তু প্রথম ম্যাচেই তিনি আউট হয়েছেন ০ রানে। তাই সিরিজের শেষ দুই ম্যাচ তার জন্য নিজেকে প্রমাণ করার বড় চ্যালেঞ্জ। অন্যদিকে জাতীয় দলের অনেক সম্ভাবনা নিয়ে অভিষেক হয়েছিল পেস অলরাউন্ডার সাইফুদ্দিনের। কিন্তু নিজেকে সেই ভাবে মেলে ধরতে পারছিলেন না। তবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে হেসেছে তার ব্যাট। ইমরুলের সঙ্গে সপ্তম উইকেটে গড়েছেন ১২৭ রানের রেকর্ড জুটি। এমনকি প্রস্তুতি ম্যাচে বিসিবি একাদশের হয়ে ৩ উইকেট নিয়ে তার বোলিং সামর্থ্যেরও প্রমাণ রেখেছেন। 

প্রথম ম্যাচে ১৪৪ রান করে ইমরুল নিজেকে আরো একবার প্রমাণ করেছেন। দল ১৩৯ রানে ৬ উইকেট হারালে সাইফুদ্দিনকে নিয়ে লড়াই করে যান ইমরুল। নিজের ১০ বছরের ক্যারিয়ারে তুলে নেন তৃতীয় সেঞ্চুরি। ব্যক্তিগত ইনিংসের হিসেব ধরলে তারটি টাইগারদের চতুর্থ সর্বোচ্চ।

তামিম ইকবালের পরিবর্তে ওপেনিংয়ে দায়িত্ব পাওয়া লিটন দাস প্রথম ম্যাচে ছিলেন ভীষণ নড়বড়ে। তাই এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে সেঞ্চুরি হাঁকানো এই ব্যাটসম্যানের চ্যালেঞ্জ এখন ধারাবাহিকতা ধরে রাখা।

নিউজওয়ান২৪/জেডএস