সবুজের সমারোহ ‘পানতুমাই’
ফিচার ডেস্ক
নিউজ ওয়ান২ ৪
প্রকাশিত : ০৭:৫০ পিএম, ২২ অক্টোবর ২০১৮ সোমবার

ছবি সংগৃহীত
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলা একটি গ্রামের নাম হচ্ছে পানতুমাই। পিয়াইন নদীর পাড়ে অপরূপ সৌন্দর্য বুকে নিয়ে বেড়ে ওঠা গ্রাম পানতুমাই। ওপাড়েই ভারতের মেঘালয় রাজ্য। মেঘালয়ের আকাশ ছোঁয়া পাহাড় আর ঘন সবুজ বিটপীর মাঝ থেকে সাদা শাড়ীর আচল বিছিয়ে নেমে এসেছে স্বচ্ছ জলের ঝর্না। যার স্থানীয় নাম ‘ফাটাছড়ির ঝর্না’ আর আমাদের এখানে পরিচিত ‘পানতুমাই ঝর্না’ নামে। কেউ কেউ আবার ডাকেন ‘বড়হিল ঝর্না’ বলেও ।
পিয়াইনের পাড়ে দাঁড়ালেই উপভোগ করতে পারেন ঝর্নার অপরূপ সৌন্দর্য আর দেখতে পাবেন পিয়াইনের স্বচ্ছ জলে ফাটাছড়ির নজরকাড়া প্রতিচ্ছবি। ভৌগলিক কারনেই ঝর্নাটি ভারতে অবস্থিত এবং বাংলাদেশিদের দূর থেকেই অবলোকন করতে হয় এর সৌন্দর্য। কাছে থেকে দেখবার কোন উপায় নেই।
শীতে এই ঝর্নায় পানি থাকেনা বললেই চলে। এই ঝর্নার আসল যৌবনবতী রূপ দেখতে আপনাকে আসতে হবে বর্ষাকালে। বর্ষার পরবর্তী দু মাস এ ঝরনা প্রাণ ফিরে পায়।
কিভাবে যাবেন
সিলেটের আম্বরখানা পয়েন্ট থেকে সিএনজি নিয়ে যাবেন গোয়াইনঘাট থানা সংলগ্ন বাজারে। ভাড়া পড়বে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা। সেখান থেকে আরেকটি সিএনজিতে পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের পাংথুমাই বা পানতুমাই যেতে ভাড়া লাগে মাত্র ১৫০ থেকে ২০০ টাকা।
পানতুমাইয়ে কোনো খাবার হোটেল বা থাকার ব্যবস্থা নেই সুতরাং শুকনা খাবার অবশ্যই সঙ্গে রাখতে হবে। রাতে থাকতে চাইলে স্থানীয়দের সহায়তা নিয়ে থাকতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার ২০০-৩০০ টাকা ব্যয় হতে পারে।
সতর্কতা
পাশেই বিএসএফের ক্যাম্প, বরই গাছের সারি দিয়ে এখানে দুই দেশের সীমানা ভাগ করা। এখানে বিজিবির কোনো চৌকি নেই, তাই সীমানার কাছাকাছি যাওয়া বিপদজনক। কাছাকাছি না গিয়েও ঝর্ণাটির মোহনীয় সৌন্দর্য রস উপভোগ করতে পারবেন প্রাণভরে।
পানতুমাই, বিছানাকান্দি এবং লক্ষণছড়া একই রুটে হওয়ায় চাইলেই নৌকা ভাড়া করে সবগুলো জায়গা একই দিনে ঘুরে আসতে পারেন।
নিউজওয়ান২৪/এমএম