NewsOne24

আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুতে জেমসের হৃদয়ে ‘রক্তক্ষরণ’

শোবিজ ডেস্ক

নিউজ ওয়ান২ ৪

প্রকাশিত : ০৮:২০ পিএম, ১৮ অক্টোবর ২০১৮ বৃহস্পতিবার

জেমস ও আইয়ুব বাচ্চু। ফাইল ছবি

জেমস ও আইয়ুব বাচ্চু। ফাইল ছবি


না ফেরার দেশে চলে গেছেন বাংলা সঙ্গীতের কিংবদন্তি আইয়ুব বাচ্চু। তাকে নিয়ে অনেকেই অনেক মন্তব্য করছেন। আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুতে দু:খ প্রকাশ করেছেন দেশের আরেক কিংবদন্তি শিল্পী জেমস।

বর্তমানে রাষ্ট্রীয় একটি অনুষ্ঠানের কনসার্টে অংশ নিতে বরগুনায় অবস্থান করছেন জেমস। আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুর খবরটা সেখানেই পান তিনি। বন্ধ করে দেন অনুষ্ঠানের সাউন্ডচেক আর প্র্যাকটিস পর্ব। বিমর্ষ হয়ে পড়েন তিনি। হৃদয়ে ঘটে যায় রক্তক্ষরণ।

জেমস বলেন, তিনি বাংলা সঙ্গীতের কিংবদন্তি। ১৯৮০ সালের শুরুর দিকে আমাদের পরিচয়। এরপর দীর্ঘ প্রায় ৪০ বছর আমরা একে অপরের সুখে-দুঃখে মানে-অভিমানে কাটিয়েছি। একসঙ্গে প্রচুর শো করেছি, গান করেছি, দেশ-বিদেশে ঘুরেছি। উনি হঠাৎ এভাবে আমাদের সবাইকে ছেড়ে চলে যাবেন, খবরটা শুনে মানতে পারছি না। রক সংগীতে তার যে অবদান সেটা এই জাতি চিরদিন মনে রাখবে বলেই বিশ্বাস করি।

তিনি বলেন, উনি অত্যন্ত উদার মনের মানুষ ছিলেন। প্রচণ্ড রসাত্মবোধ ছিল তার মধ্যে। ওনার সঙ্গে আমার যে সম্পর্কটা সেটা আসলে বলে বোঝানো যাবে না। বিভিন্ন সময়ে কারণে-অকারণে আমরা একজন আরেকজনের পাশে ছিলাম। সম্পর্কের এই গভীরতার কথা কখনো বোঝাতে পারবো না। কেউ হয়তো জানবেও না আমাদের হৃদয়ে একে অপরের জন্য কতটা জায়গা।

শিল্পী জেমস বলেন, আমাদের মধ্যে একটা সুস্থ প্রতিযোগিতা ছিল। এটা ভালো গান তৈরির প্রতিযোগিতা। এখানে ব্যক্তিগত কোনো জেলাসি ছিল না। আপনারা হয়তো অনেকেই দেখেছেন, আমাদের যখন যেখানে দেখা হয়েছে চারপাশ অগ্রাহ্য করে একে অপরকে জড়িয়ে ধরেছি পরম ভালোবাসায়। আড্ডায় মেতেছি। এসব টান কিংবা হিডেন সম্পর্কের বিষয়গুলো ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। করতেও চাই না।

জেমস আরো বলেন, আমি এখন বরগুনা আছি। এটা আমার জন্য দুর্ভাগ্যজনক। ঢাকায় থাকলে ছুটে যেতে পারতাম। বরগুনা স্টেডিয়ামে আজ সন্ধ্যায় একটি রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে গাইতে হচ্ছে। আমি খবরটি পেয়েই মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের (আসাদুজ্জামান নূর) সঙ্গে কথা বলেছি। সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আজকের কনসার্টটি উনাকে (আইয়ুব বাচ্চু) ডেডিকেটেড করে করব। কতটা প্রাণখুলে গাইতে পারব জানি না।

বাংলাদেশে রক ইতিহাসের দ্বৈরথ বলা হয় আইয়ুব বাচ্চু-জেমসকে। প্রায় তিন দশক তারা দুজনে মিলে শাসন করেছেন দুই বাংলার রক কিংবা ব্যান্ড সঙ্গীত। দুজনার শুরুটাও চট্টগ্রাম থেকেই। চার দশকে একসঙ্গে অসংখ্য শো আর অ্যালবাম করেছেন তারা।

প্রসঙ্গত, ব্যান্ড সঙ্গীতের কিংবদন্তি শিল্পী আইয়ুব বাচ্চু বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর।

আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। পাশাপাশি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান তিনি।

নিউজওয়ান২৪/এমএম