বাবা দিবস এবং এই আমি, আমরা
তৌহিদ জামান
নিউজওয়ান২৪.কম
প্রকাশিত : ০৪:২১ এএম, ১৯ জুন ২০১৬ রোববার | আপডেট: ০৪:০৫ পিএম, ২১ জুন ২০১৬ মঙ্গলবার

‘বাবা কতদিন কতদিন দেখি না তোমায়- কেউ বলে না আর খোকা আয় বুকে আয়...’
দেশের রকগুরু জেমসের দরাজকণ্ঠে যখনই শুনি ‘বাবা’ শিরোনামের এই গানটি, বিষাদে ভরে যায় গোটা দেহমন।
এই বিষ্যুদবার বন্ধু, ভাই সাংবাদিক মাসুদ আলমের বাবা মারা গেছেন। তিনি বলেছেন, বাবা মাথার উপর সুশীতল ছায়া হয়েছিলেন। তাঁর সুশীতল ছায়ায় এতদিন নিশ্চিন্তে ছিলেন। এখন বড্ড একা, তাঁকে ছাড়া মোটেও ভাল লাগে না...
ভাই, আপনার বেদনা, কষ্ট, যন্ত্রণা, মনোব্যথা, একাকীত্ব, স্নেহবঞ্চিত অবস্থা আমার আত্মস্থ।
কষ্টটা পুষেছি বেশকিছুকাল ধরে। বুকটা খা খা করতে করতে থেমে গেছে।
বাবার মুখটা মনে পড়ে না। মনে পড়ার মতো বুদ্ধিও ছিল না, স্মৃতি বলতে যা বোঝায়- তা হওয়ার মতো পরিস্থিতি তখনও তৈরি হয়নি।
১৯৭৭ সালের আগস্ট মাসে বাবা আমাদের ইহধাম ত্যাগ করেন। আমরা ক’ভাইবোন হই পিতৃহারা।
তখন কতইবা বয়স! ৬ বছরের এই আমি কীভাবে মনে করবো তাকে?
শুধু প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে- বাবা কখনও কি আমাকে বুকের মধ্যে জাপটে ধরে মুখে চুমু এঁকে দিতে? আদর করতে বুকের ধন মাণিক হিসেবে!
খুব ইচ্ছে করে, খুউব!!
তবে বড়াই করে বলতে পারি- তোমার সেই অভাব টের পাইনি। তুমি ছিলে কিংবা ছিলে না- তা আমার চলমান জীবনে তেমন কোনও প্রভাব ফেলেনি সেইভাবে।
তোমার সেই অভাব পূরণে রেখে গেছো তোমার বড়ছেলেকে, আমার মিয়াভাইকে।
উনার স্নেহ ভালবাসা আদর যত্ন সবকিছুই রয়েছে গোটা সময় ধরে।
তোমার মৃত্যুর আগ থেকেই তার ছায়াতলে রয়েছি;
মিয়াভাই আর বড়ভাবীর কল্যাণে এখনও সেই অভাবটা বড় আকারে বোধ হয়নি।
বাবা দিবসে তোমাকে সালাম। এই সুন্দর ধরণিতে এসেছি তোমার কল্যাণে। আর মিয়াভাই-ভাবীর কল্যাণে উপভোগ করছি জীবনটা- সেলুট এই দম্পতিকে। তাদের স্নেহমাখা সময়ের জন্যে !
প্রতি বছরের জুন মাসের তৃতীয় রবিবার বিশ্ব জুড়ে পালিত হয় বাবা দিবস। সে হিসেবে আমাদের দেশে এ বছর ১৯ জুন বিশ্ব বাবা দিবস।
লেখক: যশোরবাসী সাংবাদিক
নিউজওয়ান২৪.কম/একে