NewsOne24

যে দোয়া

আরশের ধনভাণ্ডার থেকে নাজিলকৃত 

নিউজ ডেস্ক

নিউজ ওয়ান২ ৪

প্রকাশিত : ১০:৩২ এএম, ১২ অক্টোবর ২০১৮ শুক্রবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

 

সাধ্যাতীত কাজ দ্বারা কাউকে কষ্ট দেয়া মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালার নীতি বিরোধী কাজ। আর তা তিনি আয়াত নাজিল করে বান্দাকে আশ্বস্ত করেছেন।

সূরা বাকারার সর্বশেষ আয়াতে এ কথার নিশ্চয়তা বিধান করা হয়েছে যে- কোনো ব্যক্তিকে তার সাধ্যাতীত কষ্ট দেয়ার ইচ্ছা মহান আল্লাহ তায়ালার নেই। 

পূর্ববর্তী আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেছিলেন যে, বান্দার অন্তরে যা আছে, তা প্রকাশ করুক কিংবা গোপন রাখুক; সর্বাবস্থায় আল্লাহ তায়ালা বান্দার কাছ থেকে হিসাব নেবেন। আর তা শুনে সাহাবায়ে কেরাম পেরেশান হয়ে যান।

মূলত আয়াতের উদ্দেশ্য ছিল যে, বান্দা স্বেচ্ছায় যেসব কাজ করবে, মহান আল্লাহ তায়ালা তার হিসাব নেবেন। অনিচ্ছাকৃত কু-চিন্তা ও ত্রুটি বিচ্যুতি এর অন্তর্ভূক্ত ছিল না।

সাহাবায়ে কেরামের পেরেশানিতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আয়াতের ভাব-ভাষা জানা সত্ত্বেও মহান আল্লাহর ওহির অপেক্ষায় ছিলেন। অতঃপর মহান আল্লাহ তায়ালা আয়াত নাজিল করেন-

আয়াতের অনুবাদ-

সূরায়ে বাকারার ২৮৬নং আয়াতে মহান আল্লাহ তাআলা বান্দাকে এ নিশ্চয়তা প্রদান করেন যে, তিনি কোনো বান্দাকে তার সাধ্যের বাইরে কোনো অতিরিক্ত দায়িত্ব দেন না। এটা মহান আল্লাহর নীতি বিরোধী কাজ। আর এ আয়াতের মাধ্যমেই শেষ হয় সূরা বাকারা।

এ আয়াতের শেষে বান্দাকে তার কাছে ক্ষমা ও দয়া প্রার্থনা ভাব-ভঙ্গি শিখিয়েছেন। আর এ আয়াতসহ আগের আয়াতের রয়েছে অনেক গুরুত্ব ও ফজিলত।

সূরা বাকারার সর্বশেষ আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা মুসলিমদেরকে একটি বিশেষ দোয়া শিখিয়েছেন। যাতে ভুল-ভ্রান্তিবশতঃ কোনো কাজ হয়ে যাওয়ার পর তা থেকে ক্ষমা প্রার্থনার পদ্ধতি রয়েছে। যাতে ভুল-ভ্রান্তির কারণে পূর্ববর্তী নবিদের উম্মতের মতো শাস্তিতে পতিত হতে না হয়। আর দোয়াটি হলো-

رَبَّنَا لاَ تُؤَاخِذْنَا إِن نَّسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا
رَبَّنَا وَلاَ تَحْمِلْ عَلَيْنَا إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهُ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِنَا
رَبَّنَا وَلاَ تُحَمِّلْنَا مَا لاَ طَاقَةَ لَنَا بِهِ
وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا
أَنتَ مَوْلاَنَا فَانصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ

সূরা বাকারার ২৮৫ ও ২৮৬ আয়াতদ্বরে ফজিলত বর্ণনা করতে গিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, কেউ রাতের বেলায় এ আয়াত দু’টি পাঠ করলে তা তার জন্য যথেষ্ট।’ (বুখারি, মুসলিম, আবু দাউদ, মুসনাদে আহমদ)

অন্য হাদিসে প্রিয়নবী ঘোষণা করেন, ‘সূরাহ বাকারার শেষ আয়াতগুলো আমাকে আরশের ধনভাণ্ডার থেকে দেয়া হয়েছে। আমার আগে আর কোনো নবিকে এগুলো দেয়া হয়নি।’ (মুসনাদে আহমদ, বায়হাকি)

অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘মিরাজের সময় মহান আল্লাহ তায়ালা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে তিনটি জিনিস দেয়া হয়-

> ৫ ওয়াক্ত নামাজ;

> সূরাহ বাকারার শেষ আয়াতগুলো এবং

> তাওহিদের অনুসারীদের সব পাপের ক্ষমা।’ (মুসলিম, তিরমিজি, নাসাঈ, মুসনাদে আহমদ)

হজরত নোমান ইবনে বশির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আসমান জমিন সৃষ্টির দু’হাজার বছর আগে আল্লাহ তায়ালা লিখে রেখেছেন যে, সূরা বাকারার শেষ দু’আয়াত যে ঘরে ৩দিন পাঠ করা হবে, সে ঘরের কাছে শয়তান আসতে পারবে না।’ (বাগবি- তাফসিরে মাজহারি)

মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহকে সূরা বাকারার শেষ আয়াতগুলো নিয়মিত আমল করার তৌফিক দান করুন। আল্লাহুম্মা আমিন।

নিউজওয়ান২৪/আরএডব্লিউ