ঢাকায় এসে এ কী হলো ঐশীর!
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিউজ ওয়ান২ ৪
প্রকাশিত : ০৯:২০ এএম, ৭ অক্টোবর ২০১৮ রোববার
ফাইল ছবি
জান্নাতুল ফেরদৌসী ঐশী। সম্প্রতি ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ-২০১৮’ নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। গত রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রাজধানীর বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটির রাজদর্শন হলে গ্র্যান্ড ফিনালের পর তাকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করেন অনুষ্ঠানটির বিচারকগণ।
এরপর থেকে ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ-২০১৮’নিয়ে বিতর্ক যেন থামছেই না। প্রতিযোগী, বিচারক ও আয়োজকদের নানা প্রশ্নোত্তর নিয়ে দেদারসে হাসাহাসি হচ্ছে ফেসবুকে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে শোবিজেরও অনেকেই অনুষ্ঠানটি নিয়ে ভয়ংকর প্রশ্নও তুলেছেন।
তবে যে যাই বলুক, ঐশী হলেন এবারের বিজয়ী। তিনি পিরোজপুরে মেয়ে। একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন ঐশী। চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষা শেষ করে জুলাই মাসে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং-য়ের জন্য ঢাকায় এসেছিলেন তিনি। এরপর কৌতূহলী হয়ে সুন্দরী প্রতিযোগিতায় নিজ নামে আবেদন করে বসেন এই বিজয়ী।
পরে আসতে আসতে সামনের দিকে এগোতে থাকেন ঐশী। শেষমেশ গ্র্যান্ড ফিনালের চূড়ান্ত পর্বে জায়গা করে নেন এই সুন্দরী।
এদিকে, বিজয়ী হওয়ার পর নিজের পরিবার ও অতীত নিয়ে নিউজওয়ান২৪ এর সঙ্গে কথা বলেছেন ঐশী। তিনি জানান, পিরোজপুরের মাটিভাঙা এলাকায় বড় হয়েছেন ঐশী। বাবা আব্দুল হাই, বিশিষ্ট সমাজসেবী আর মা আফরোজা হোসনে আরা, একজন স্কুল শিক্ষিকা। তারা দুই বোন। বড় বোনের নাম শশী। চলতি বছরই মাটিভাঙা ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছেন তিনি। পরে রাজধানী ঢাকায় এসে এক আত্মীয়ের বাসায় থেকে কোচিং করছিলেন ঐশী।
‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ-২০১৮’ প্রসঙ্গে ঐশী বলেন, কাকতালীয়ভাবেই এসেছেন এই প্রতিযোগিতায়। স্বপ্ন ছিল ভালো কোথাও ভর্তি হয়ে বাবা-মায়ের মুখ উজ্জ্বল করবো। তাই শুরু করেছিলাম আইএলটিএস কোচিংও। তবে এর মধ্যে সব কিছু অন্যরকম হয়ে গেলো।
তিনি আরো বলেন, বরিশালের একটি মফস্বল থেকে এসে এই সাফল্য আমার কাছে অনেক বড় স্বপ্নজয়ের। এর মাধ্যমে অনেক বড় দায়িত্বও আমার কাঁধে এসেছে। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের সৌন্দর্য তুলে ধরার সুযোগ পেয়েছি আমি। আশা করছি নিজের দেশের শিল্প, সংস্কৃতি ও ইতিহাসকে মর্যাদার সঙ্গেই বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে পারবো।
এদিকে, মুকুট জয়ের পাশাপাশি বেস্ট অ্যাপিয়ারেন্স অ্যাওয়ার্ডও পেয়েছেন ঐশী। এখন বিশ্ব সুন্দরীর আসরে বাংলাদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন তিনি।
নিউজওয়ান২৪/জেডএস