পৃথিবীর সেরা দশ মসজিদ
নিউজ ডেস্ক
নিউজ ওয়ান২ ৪
প্রকাশিত : ০২:১০ পিএম, ৫ অক্টোবর ২০১৮ শুক্রবার
ফাইল ছবি
বিশ্বসেরা স্থাপনাগুলো নিয়ে জনমনে আগ্রহের কমতি নেই। বিভিন্ন দেশে অতি আশ্চর্যসম্পন্ন স্থাপনাগুলোর মধ্যে রয়েছে মসজিদও। মুসলিম প্রধান দেশগুলোতে মসজিদের গুরুত্ব অপরিসীম। বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের সংখ্যা অন্যান্য ধর্মালম্বীদের চেয়ে বেশি হওয়ার কারণে বিভিন্ন দেশেই গড়ে উঠেছে সেরা মসজিদগুলো। সেরা দশটি মসজিদ সম্পর্কে নিশ্চয় আপনি জানতে চান! জেনে নিন-
১০. বায়তুল মোকাররম, ঢাকা:
বিশ্বসেরা মসজিদের সেরা দশে রয়েছে বাংলাদেশের ঢাকায় অবস্থিত বায়তুল মোকাররম। ১৯৬৮ সালে এই মসজিদটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। সুন্দর বাগান এবং পুকুরবেষ্টিত ইসলামী স্থাপত্য নকশায় নির্মিত হয়েছে মসজিদটি। ৪০ হাজার মানুষের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে এতে।
৯. দিল্লির জামে মসজিদ, ভারত:
এই জামে মসজিদটি ভারতের দিল্লিতে অবস্থিত। ইতিহাসে জায়গা করে নেয়া এই মসজিদটি বর্তমানে পর্যটকদের দর্শণীয় একটি স্থান হিসেবে বিবেচিত। জামে মসজিদটি ‘মসজিদ ই জাহান নুমা’ নামেও পরিচিত। ১৬৫৬ সালে নির্মিত এই জামে মসজিদের ধারণ ক্ষমতা ২৫ হাজার।
৮. শেখ জায়েদ মসজিদ, সংযুক্ত আরব আমিরাত:
শেখ জায়েদ মসজিদ সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবু ধাবিতে অবস্থিত। ২০০৭ সালে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হয় এটি। বিশ্বের সবচেয়ে বড় মসজিদগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে বিবেচিত এটি। ৮২টি সাদা গম্ববুজবিশিষ্ট এই স্থাপত্যটি মুহূর্তে যে কারো নজর কারতে প্রস্তুত। যথারীতি এখানেও পর্যটকের আনাগোনা চলতেই থাকে।
৭. বাদশাহী মসজিদ, লাহোর, পাকিস্তান:
বাদশাহী মসজিদ পাকিস্তানের লাহোরে অবস্থিত। অনেক পুরানো এই মসজিদটি ১৬৭৩ সালে চালু হয়। এই স্থাপনাটি পুরানো হলেও নিজ সৌন্দর্যতা এখনো ধরে রেখেছে। বিশাল বাগান দ্বারা বেষ্টিত এই মসজিদের ধারণ ক্ষমতা ২০ হাজারেরও বেশি।
৬. ফয়সাল মসজিদ, ইসলামাবাদ, পাকিস্তান:
ফয়সাল মসজিদ ইসলামাবাদের ঐতিহ্যবাহী মার্গল পাহাড়ের কাছে অবস্থিত। এই মসজিদ তুর্কি স্থপতি দ্বারা ডিজাইন করা হয়। অত্যন্ত সুন্দর এই মসজিদটি রাতে তার রুপের মাধুর্যতা ছড়ায়। পাকিস্তানের জাতীয় প্রতীকের আদলে নির্মিত হয়েছে রফয়সাল মসজিদ। ইসলামাবাদের মতো সবচেয়ে সুন্দর শহরে অবস্থিত এটি। পর্যটকদের জন্যও প্রধান আকর্ষণীয় কেন্দ্র এটি।
৫. হাসান মসজিদ, মরক্কো:
হাসান মসজিদ মরক্কোতে অবস্থিত। ১৯৯৩ সালে এটি চালু হয়। এর মিনারের উচ্চতা ৬৮৯ ফুট। সর্বোচ্চ ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন এই মসজিদে ১ লাখ ৫ হাজার মানুষ এক কাতারে দাড়িয়ে নামাজ আদায় করতে পারবে।
৪. ইস্তিকাল মসজিদ, জাকার্তা, ইন্দোনেশিয়া:
৯৫ হাজার বর্গমিটার বিস্তৃত ইস্তিকাল মসজিদ ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় অবস্থিত। এই মসজিদে ২ লাখ মানুষ একসঙ্গে ইবাদত আদায় করতে পারবে। মসজিদের কাছেই রয়েছে চমৎকার একটি পুকুর। এটি দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম মসজিদ হিসেবে বিবেচিত।
৩. ইমাম রেজা শ্রাইন, ইরান:
ইরানের মাশহাদে অবস্থিত এটি। এটি একটি মাজার হলেও এর প্রাঙ্গনে মসজিদ রয়েছে। পুরো মাজারটিতে মানুষের ধারণক্ষমতা ৬ লাখ।
২. আল মসজিদ আল-নবাবী:
হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর উদ্যোগে এই মসজিদটি নির্মিত হয়। সৌদি আরবের মদীনা শহরের প্রথম মসজিদ এটি। এই মসজিদের বর্তমান ধারণ ক্ষমতা ৬ লাখ। যা হজ্জ্ব মৌসুমে ১ মিলিয়নে বৃদ্ধি পায়। মুসলমানদের জন্য দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পবিত্র স্থান এটি।
১. মসজিদ আল-হারাম:
সৌদি আরবে মক্কায় (মক্কা) অবস্থিত মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে পবিত্র স্থান হলো মসজিদ আল-হারাম। এই পবিত্রতম স্থানেই কাবা শরীফের অবস্থান যা প্রথম আদম (আঃ) কর্তৃক নির্মিত হয়েছিলো। পরবর্তীতে নবী ইব্রাহিম এবং তার পুত্র নবী ইসমাইল দ্বারা এই মসজিদটির পুনঃনির্মাণ করা হয়। সর্বাধিক ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন এই মসজিদে ৯ লাখেরও বেশি মানুষ একসঙ্গে বিচরণ করতে পারে। এই মসজিদে অবস্থিত কাবা শরীফের চারপাশে ঘুরেই পবিত্র হজ্জ্ব সম্পন্ন করা হয়।
নিউজওয়ান২৪/জেডএস