আসলাম চৌধুরীর গ্রেফতারে কষ্টে আছে ইসরাইল!
তামিম রায়হান
নিউজওয়ান24.কম
প্রকাশিত : ১২:০৩ পিএম, ১৭ মে ২০১৬ মঙ্গলবার | আপডেট: ০২:২৮ পিএম, ২০ মে ২০১৬ শুক্রবার
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী যখন কাতারে এসেছিলেন, সংবাদকর্মী হিসেবে তখন দেখেছি, কাতারে বিএনপির এক অনুষ্ঠানে তিনি হাসিমুখে কয়েক মাসের মধ্যে সরকার পতনের সুসংবাদ দিয়ে অবুঝ কর্মীদের হাততালি কুড়িয়েছেন।
সেই আসলাম চৌধুরী ইসরাইলের ক্ষমতাসীন লিকুদ পার্টির নেতা মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে ভারতে ঘুরেছেন, রেস্তোরাঁয় খেয়েছেন, গল্প-গুজব করেছেন- এমন খবরে মর্মাহত হয়েছি।
বিএনপি নেতা ছাই, একজন বাংলাদেশি অথবা অন্তত একজন মুসলমান হিসেবে এক ইহুদী নেতার সঙ্গে তার এমন মাখামাখি লজ্জাজনক, দুঃখজনক। নূন্যতম মানবিক বোধ ও বিবেচনা থাকলে বিএনপি তাদের এই নেতাকে দল থেকে বহিষ্কৃত করতো।
ফিলিস্তিন আমাদের আবেগ, আমাদের ভালোবাসা। প্রথম কিবলার ওই পবিত্র ভূমিতে যারা রক্তাক্ত বর্বরতা চালায় প্রতিনিয়ত, সেই ইহুদি ইসরাইলি ক্ষমতাসীন দলের এক নেতার সঙ্গে আসলাম চৌধুরীর পরিচয় ও সম্পর্ক গোটা বিএনপিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। বিশেষ করে ইসরাইলি ওই নেতা সাফাদি যখন ফেসবুকে তার নিজের পাতায় এসব ছবি উল্লাসভরে প্রকাশ করেন, তখন বোঝা যায়, কেবল খাওয়া দাওয়া কিংবা ঘোরাঘুরি নয়, তাদের মধ্যে সম্পর্ক ভিন্ন উদ্দেশে নিবেদিত। এই ভিন্ন উদ্দেশ্য বাংলাদেশের জন্য উদ্বেগজনক। আসলাম চৌধুরীর গ্রেফতারে কষ্ট পেয়েছে ইসরাইল। তাকে নিয়ে দরদভরা খবর আর মন্তব্য ছাপা হয়েছে ইসরাইলি সংবাদমাধ্যমে।
আওয়ামী লীগের থিউরিতে নয়, ধর্মপ্রাণ মুসলমান এবং মানবিক মানুষ হিসেবে ইসরাইলের সঙ্গে যে কোনও সম্পর্ক আমার কাছে ঘৃণ্য এবং নিন্দিত। পুরো বিএনপি তাই এখন এমনই ঘৃণা এবং নিন্দার সময় পার করছে। আমার কোনও রাজনৈতিক মতবাদ নেই, দলও নেই। তারপরও নির্দ্বিধায় বলি, সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের কথা না বলে বরং এক ইসরাইলির সঙ্গে সম্পর্কের অভিযোগে যদি পুলিশ আসলাম চৌধুরীকে গ্রেফতার করতো, তবে আমরা আরও বেশি খুশি হতাম।
তবুও পুলিশকে ধন্যবাদ। আসলাম চৌধুরীর জন্য ঘৃণা, বিএনপির জন্য করুণা।
তামিম রায়হান: কাতার প্রবাসী তরুণ সাংবাদিক ও লেখক
নিউজওয়ান২৪.কম/একে