স্বর্ণ পাচারে সহায় বিমানবন্দরেরই কর্মীরাই
নিউজ ওয়ান টুয়েন্টি ফোর ডেস্ক
নিউজওয়ান২৪.কম
প্রকাশিত : ০৩:২৫ পিএম, ২৬ অক্টোবর ২০১৭ বৃহস্পতিবার

ফাইল ছবি
সকল সংস্থার চোখ ফাঁকি দিয়েই শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে স্বর্ণের চোরাচালান বাইরে আসছে মূলত বিমানবন্দরের কতিপয় কর্মচারীর সহযোগিতায়। গতরাতে সোয়া ৯ কেজি স্বর্ণের চালান বাইরে বের হয়ে আসে বিমানবন্দরের ক্যাটারিং শাখার কর্মচারী মীর হোসেনের সহায়তায়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপ-কমিশনার (ডিসি, উত্তর) শেখ নাজমুল আলম।
নামজুল জানান, এরআগেও মীর হোসেনের সহযোগিতায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার চোখ ফাঁকি দিয়ে সফলভাবে বেশ কয়েকটি চালান বের হয়েছে বিমানবন্দর থেকে।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে সোয়া ৯ কেজি স্বর্ণের চালান বের করে আনার পর বিমানবন্দর গোলচত্ত্বর এলাকা থেকে মীর হোসেনসহ তিনজনকে আটক করে ডিবি। আটক অপর দু’জন হলেন- ফারুক আহম্মেদ ও শাহিন।
নামজুল বলেন, পরশু রাতে আমাদের কাছে খবর ছিল স্বর্ণের একটি বড় চালান বিমানবন্দরের হ্যাঙ্গার গেট দিয়ে বের হয়ে যাবে। ডিবির সদস্যরা বিমানবন্দর গোলচত্বর এলাকায় অবস্থান করছিল, রাত সাড়ে ১০টার দিকে একটি প্রাইভেটকার আসে। কারটি তল্লাশি করলে চারটি স্কেলের বার থেকে মোট ৮০টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়; যার বাজারমূল্য প্রায় ৪ কোটি টাকা।
আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জেনেছে, তারা বহুদিন ধরে স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত এবং এই প্রথমবার তারা ধরা পড়ল।
পুলিশ বলছে, দুবাই থেকে আসা রিজেন্স এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে আসা এই চালানের মধ্যে ফারুকের কিছু স্বর্ণ রয়েছে। মীর হোসেন বিমানবন্দর থেকে স্বর্ণ বের করে দিতে সহায়তা করেন আর শাহিন গাড়ির চালক।
স্বর্ণগুলোর প্রকৃত গন্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গাড়িটি নিয়ে তারা কাওলার দিকে যাচ্ছিলেন। সেখান থেকে অন্য কেউ স্বর্ণগুলো নিত। প্রকৃত গন্তব্য সম্পর্কে তারা কেউ জানাতে পারেননি।
তাদের কাছ থেকে তিনটি মোবাইল জব্দ করা হয়েছে জানিয়ে নাজমুল বলেন, কিন্তু মোবাইলে এ বিষয়ক কোনো কথোপকথন পাওয়া যায়নি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম উইচ্যাটের মাধ্যমে তারা এ সংক্রান্ত যোগাযোগ করতেন।
স্বর্ণ চোরাচালানের চক্রের বিভিন্ন ধাপে জড়িত বেশ ক’জনের নামও জেনেছে পুলিশ। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।