১৩ গুণে গুণান্বিত আদর্শ ব্যাচেলরা
নিউজ ওয়ান টুয়েন্টি ফোর ডেস্ক
নিউজওয়ান২৪.কম
প্রকাশিত : ০৩:৪৮ পিএম, ২৩ অক্টোবর ২০১৭ সোমবার

ফাইল ছবি
আমাদের সমাজে অনেকেই ব্যাচেলর, কিন্তু আদর্শ ব্যাচেলর হতে হলে কিছু গুন থাকতে হয়। আপনি কি নিজেকে আদর্শ ব্যাচেলর মনে করেন? মনে করলে মিলিয়ে নিন নিচের লেখাগুলোর সাথে আপনার গুণাবলি।
১. আদর্শ ব্যাচেলরেরা মনে করেন, কাপড় কাচা সাবান কিংবা ডিটারজেন্টের বিকল্প বডি স্প্রে। আদর্শ ব্যাচেলরেরা সাধারণত মাসে এক দিন কাপড় ধোন। বিশেষ ক্ষেত্রে দুই দিন পর্যন্ত হতে পারে।
২. কাপড় ধুতে কাপড় কাচা সাবান কিংবা ডিটারজেন্টে আদর্শ ব্যাচেলরদের বিশ্বাস নেই। তারা হাতের কাছে যে সাবান পান, সেটা দিয়েই কাপড় ধোন।
৩. আদর্শ ব্যাচেলরেরা প্রায় প্রতিদিনই শ্যাম্পু কিনতে ভুলে যান এবং গোসল করার সময় শাওয়ারের নিচে দাড়ানোর পর তাদের মনে পড়ে, আজ শ্যাম্পু কেনারকথা ছিল।
৪. আদর্শ ব্যাচেলরদের পকেট সব সময় ফাকা থাকে। মাসে দু-একবার যে টাকা পান, সেটা পাওয়ার দু-এক দিনের মধ্যেই শেষ করাকে তারা পবিত্র দায়িত্ব ও কর্তব্য বলে মনে করেন।
৫. আদর্শ ব্যাচেলর কখনো খাবারদাবারের স্বাদ নিয়ে অভিযোগ করেন না। খাবার খেতে পারাটাই তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ, লবণ কম হলো না ঝাল বেশি হলো, এসব নিয়ে তাদের অভিযোগ নেই। কারণ, লবণ কম কিংবা ঝাল যে বেশি হয়েছে, এটা তারা বুঝতেও পারেন না।
৬. আদর্শ ব্যাচেলরেরা যাদের শ্রদ্ধা-ভক্তি করেন, তাদের মধ্যে এক নম্বর স্থানে থাকে মুরগি। কারণ, তারা বিশ্বাস করেন, এই প্রাণীটি ডিম না পাড়লে তাদের অনেক বেলা না খেয়ে থাকতে হতো।
৭. আদর্শ ব্যাচেলরেরা ভাত বা খিচুড়ি, ডিমভাজি, ভর্তা ছাড়া আর কিছু রান্না করতে জানেন না। তাদের সেটা প্রয়োজনও হয় না।
৮. নতুন কেউ বাসায় এলে তাকে ঘরে ঢোকানোর আগে আদর্শ ব্যাচেলরদের জাতীয় উক্তি থাকে, ‘দোস্ত/ভাই, কিছু মনে করবেন না। ঘরের অবস্থা তেমন সুবিধার নয়। আজকে গোছানোরই টাইম পাই নাই।’
৯. রাতে ফেসবুকে কেউ খাবারের ছবি আপলোড করলে আদর্শ ব্যাচেলরেরা কড়া ভাষায় সেটার সমালোচনা করেন। ছবির খাবার বেশি ভালো হলে সমালোচনা করেই তারা ক্ষান্ত হন না, রাতে খাবারের ছবি আপলোডকারীকে একরাশ অভিশাপ দিয়ে প্রতিবাদী স্ট্যাটাসও দেন।
১০. নতুন কোনো মেয়ের সঙ্গে পরিচিত হলে আদর্শ ব্যাচেলরেরা প্রথমেই ভাবেন, ইশ্, এই মেয়েটা যদি তার প্রেমিকা হতো! কিছুক্ষণ পর ভাবেন, এই মেয়েটা যদি তার ভালো বন্ধু হতো! একটু পর ভাবেন, ইশ্, গার্লফ্রেন্ড বা বন্ধুত্ব কিছুই লাগবে না, শুধু যদি মেয়েটার বয়ফ্রেন্ড না থাকত!
১১. আদর্শ ব্যাচেলরেরা প্রেমিকা না থাকার সময় প্রেমিকা নেই বলে আফসোস করেন। কোনো কারণে ভুলবশত কপালে একটা প্রেমিকা জুটলে তাদের যদি প্রেমিকা না থাকত, এই ভেবে আফসোস করেন।
১২. একজন আদর্শ ব্যাচেলর কমপক্ষে তিন ধরনের তাসখেলায় পারদর্শী হন।
১৩. আদর্শ ব্যাচেলরেরা দিনে কমপক্ষে একবার করে গোপনে বা প্রকাশ্যে বাড়িওয়ালাদের গালাগালি করেন এবং সামনাসামনি অনেকে শ্রদ্ধা-ভক্তি করেন।