সাকিব ‘ভক্ত’ জেসিয়া
শোবিজ ডেস্ক
নিউজওয়ান২৪.কম
প্রকাশিত : ১২:৫৬ পিএম, ২০ অক্টোবর ২০১৭ শুক্রবার
ফাইল ছবি
চীনের শিমেলং ওশান কিংডমে ৩১ অক্টোবর ‘মিস ওয়ার্ল্ড’-এর ৬৭তম আসরের উদ্বোধনী হবে। সেদিন মিস ওয়ার্ল্ডে অংশ নেওয়া দেশগুলোকে স্বাগত জানানো হবে। বাংলাদেশ থেকে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য আজ বৃহস্পতিবার রাতে চীনে রওনা হচ্ছেন ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ জেসিয়া ইসলাম। আগামী ১৮ নভেম্বর স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় চীনের সানাইয়া শহরে শুরু হবে ৬৭তম ‘মিস ওয়ার্ল্ড’-এর চূড়ান্ত অনুষ্ঠান। ঢাকা ছাড়ার আগে প্রতিযোগিতার পূর্বপ্রস্তুতি ও অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলেছেন জেসিয়া।
আর কয়েক ঘণ্টা পরেই তো চীনে উড়াল দিতে হবে। এরপরেই শুরু হবে আসল প্রতিযোগিতা। প্রস্তুতি কেমন?
রাত সাড়ে বারোটায় আমার ফ্লাইট। প্রস্তুতি সব মিলিয়ে ভালোই বলা যায়। নিজেকে কীভাবে উপস্থাপন করতে হয়, মঞ্চে কীভাবে কথা বলতে হবে—এসব বিষয়ে এখানে আমার প্রশিক্ষণ হয়েছে। এছাড়া নাচ আর স্পোর্টসও শিখেছি। ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ প্রতিযোগিতায় উপস্থাপনের জন্য তিনটি বাংলা গানের সঙ্গে নাচ তুলেছি। এর মধ্যে লোকগানও রয়েছে। তবে এখনো তো হাতে প্রায় এক মাসের মতো সময় আছে। আশা করি, চীনে গিয়ে সব বিষয়ে আরও ভালো প্রশিক্ষণ হবে। এখানে আমার প্রস্তুতিতে কোনো ফাঁকফোকর থাকলে তা সেখানে গিয়ে কাটিয়ে ওঠা যাবে।
নাচ কি ছোটবেলা থেকেই শিখতেন?
আগে অল্প কিছু নাচ শিখেছি। কিন্তু ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতায় নাম লেখানোর পর এটি নিয়ে সিরিয়াস হয়েছি। ভালো লাগছে। এখানে এসে অনেক কিছুই নতুন শিখেছি, নতুন অভিজ্ঞতা হয়েছে। এই বিষয়কে আমি খুব ইতিবাচকভাবে দেখছি।
‘মিস ওয়ার্ল্ড’ প্রতিযোগিতার কোন বিভাগে আপনার প্রস্তুতি সবচেয়ে ভালো হয়েছে? আপনি সবচেয়ে আত্মবিশ্বাসী কোন বিভাগে?
অবশ্যই ‘টপ মডেল’ বিভাগে। কারণ, মডেলিং আমি খুব ভালোবাসি। দেড়-দুই বছর ধরে বাংলাদেশে পেশাদার মডেল হিসেবে কাজ করছি। আমার জন্য তাই এই বিভাগে লড়াই করাটা তুলনামূলকভাবে সহজ। এছাড়া সেখানে আমাকে ‘ট্যালেন্ট’, ‘মাল্টিমিডিয়া’, ‘স্পোর্টস’, ‘বিউটি উইথ আ পারপাস’ এবং শীর্ষ ৪০-এ পৌঁছাতে পারলে ‘হেড টু হেড চ্যালেঞ্জেস’ বিভাগে লড়তে হবে।
আচ্ছা, স্পোর্টসের ওপরও তো প্রতিযোগিতায় কিছু টাস্ক থাকবে। আপনার পছন্দের খেলা কোনটি?
আমার প্রিয় খেলা ক্রিকেট। বাংলাদেশের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান আমার সবচেয়ে পছন্দের ক্রিকেটার। আমি সাকিবের ভক্ত।
‘মিস ওয়ার্ল্ড’-এর মঞ্চে যে পোশাকটি পরে উঠবেন, সেটি দেখেছেন?
হ্যাঁ। পিচ রঙের একটি গাউন পরব। পোশাকটি খুব সুন্দর। আমার বেশ পছন্দ হয়েছে।
বিশ্বমঞ্চে দেশ ও দেশের ঐতিহ্যকে কীভাবে উপস্থাপন করবেন, এই বিষয়ে নিজস্ব কোনো পরিকল্পনা আছে?
‘মিস ওয়ার্ল্ড’ আসরে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতেই যাচ্ছি। আমি নিজের কথা, ব্যবহার, পোশাক সহ সব ক্ষেত্রেই বাংলাদেশকে উপস্থাপন করব। দেশ থেকে সেভাবেই সব প্রস্তুতি নিয়ে যাচ্ছি। সঙ্গে করে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পাটের তৈরি অনেক পণ্য নিয়ে যাব। নিজে সেখানে পরার জন্য পাহাড়িদের পোশাক থামি এবং পাটের তৈরি সালোয়ার-কামিজ ও জামদানি শাড়ি নিচ্ছি।
আপনার একটি পরিচিতিমূলক ভিডিও তৈরি অসম্পূর্ণ ছিল বলে সম্প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। সেটার কী খবর?
ভিডিওর কাজ শেষ হয়ে গেছে। কাজটা ঠিকঠাকভাবে শেষ করতে পেরেছি বলে ভালো লাগছে। এখন আর এখানে কোনো কাজ বাকি নেই। এখন শুধু সামনের প্রতিযোগিতা নিয়ে ভাবছি। সবার শুভকামনা চাই। আজ চীনে রওনা হচ্ছি। প্রতিযোগিতা শেষে দেশে ফিরব আগামী ১৯ নভেম্বর।