দুর্যোগকালীন বাজেট সহায়তা দিতে আগ্রহী বিশ্বব্যাংক
পুঁজিবাজার ডেস্ক
নিউজওয়ান২৪.কম
প্রকাশিত : ০৬:০৪ পিএম, ১৫ আগস্ট ২০১৭ মঙ্গলবার
বাংলাদেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাজেট সহায়তা আকারে সহজ শর্তে ঋণ দিতে আগ্রহী বিশ্বব্যাংক। এজন্য প্রস্তাবনা দিয়েছে সংস্থাটি। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্রে জানা যায়, প্রস্তাবনা অনুযায়ী বিশ্বব্যাংকের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (আইডা) মাধ্যমে সর্বোচ্চ ২৫ কোটি ডলার অথবা বাংলাদেশের জিডিপির আকারের শূন্য দশমিক ৫ ভাগের সমান অর্থ নেওয়া যাবে। বাংলাদেশে প্রতিবছর আইডার মাধ্যমে যে ধারাবাহিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে তার বাইরে নতুন ভাবে এই ঋণ দিতে আগ্রহী সংস্থাটি।
ইআরডির কর্মকর্তা জানান, দেশে হঠাত্ প্রকৃতিক দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে এ ধরনের চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে সংস্থাটি। চুক্তির আওতায় বিভিন্ন দুর্যোগ যেমন, হঠাত্ বন্যা, ঘুর্ণিঝড়ে দ্রুত ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় প্রকল্পের মাধ্যমে এ ধরনের ঋণ পাওয়া যাবে। প্রস্তাবনা অনুযায়ী চুক্তির পরবর্তী তিন বছরের যে কোন সময়ে এই অর্থ বাংলাদেশ গ্রহণ করতে পারে। এই চুক্তি নবায়ন করার মাধ্যমে পরবর্তী তিন বছরেও এই অর্থ সংগ্রহ করা যাবে। এজন্য কোন কমিটমেন্ট ফি ধার্য হবে না। প্রস্তাবনার উপর অর্থমন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর মতামত চাওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাংক তিন বছরের জন্য ঋণ কর্মসূচি ঘোষণা করে। আইডা-১৭ কর্মসূচির আওতায় গত তিন অর্থবছরে (২০১৫-১৭) ৪ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে সংস্থাটি। চলতি অর্থবছর থেকে পরবর্তী তিন বছরের জন্য আইডা-১৮ এর বাইরে এ ধরনের ঋণ প্রস্তাব দিলো সংস্থটি। এ ধরনের ঋণের গুরুত্ব উল্লেখ করে বিশ্বব্যাংক বলছে, বাংলাদেশে প্রতিবছর বন্যা ও ঘুর্ণিঝড়ে ৩২০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হয়। যা মোট দেশজ উত্পাদনের (জিডিপি) ২ দশমিক ২ ভাগের সমান। এক পরিসংখ্যানে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০০০ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগে যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তার আর্থিক মূল্য ১০ বিলিয়ন ডলারের বেশি। কিন্তু এসয়ে দুর্যোগকবলিত মানুষদের ত্রাণ, পুনর্বাসন এবং যে পরিমাণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে তার পরিমাণ মাত্র ২ বিলিয়ন ডলার।
বিশ্বব্যাংকের তথ্যানুযায়ী আইডা থেকে সহজ শর্তে ঋণ গ্রহণকারী হিসেবে বাংলাদেশ অন্যতম। এর সুদ মাত্র শূন্য দশমিক ৭৫ ভাগ। আইডা তহবিল হতে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ঋণের প্রতিশ্রুতি এসেছে ২০১৫ সালে ১৯৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার। সেসময় অর্থছাড়ের পরিমাণ ছাড়িয়েছিলো ১শ কোটি ডলার। অন্যদিকে ২০১৬ সালে প্রতিশ্রুতি এসেছে এসেছে ১৫৬ কোটি ডলার। চলতি ২০১৭ সালে এ পর্যন্ত ১১৫ কোটি ২০ লাখ ডলারের সহায়তার প্রতিশ্রুতি এসেছে।
নিউজওয়ান২৪.কম