কুয়েতে পাপুলের সাজা বেড়ে সাত বছর
ডেস্ক রির্পোট
নিউজওয়ান২৪
প্রকাশিত : ০৯:১৩ পিএম, ২৬ এপ্রিল ২০২১ সোমবার
ফাইল ছবি
কুয়েতে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে করাগারে থাকা বাংলাদেশের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম ওরফে পাপুলের কারাদণ্ড চার বছর থেকে বাড়িয়ে সাত বছর করেছেন দেশটির একটি আপিল আদালত।
সোমবার কুয়েতের ওই আপিল আদালত তার কারাদণ্ডাদেশ তিন বছর বাড়িয়ে আদেশ দেন। এছাড়া তাকে ২০ লাখ কুয়েতি দিনারের অর্থদণ্ডও করা হয়েছে। খবর আরবি দৈনিক আল কাবাস ও আরব টাইমসের।
কুয়েতে পাপুলের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে। এর একটি ঘুষ লেনদেন ও মানব পাচারের অভিযোগে এবং অন্যটি করা হয় অর্থ পাচারের অভিযোগে। এর মধ্যে ঘুষ লেনদেনের দায়ে আগেই তার চার বছরের কারাদণ্ডাদেশ হয়। একই মামলায় এবার মানব পাচারের দায়ে আদালত ৩ বছর কারাদণ্ড দিলেন। তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের মামলাটি এখনো বিচারাধীন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বরাত দিয়ে আরব টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, আপিল আদালত সোমবার মানব পাচারের মামলায় পাপুলের পাশাপাশি আরও তিনজনকে কারাদণ্ডাদেশ দেন। তারা হলেন- দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরখাস্ত হওয়া আন্ডারসেক্রেটারি জেনারেল শেখ মাজেন আল জারাহ, কুয়েতের সাবেক সাংসদ সালাহ খুরশিদ ও কুয়েতের একজন সরকারি কর্মকর্তা। তাদের সাত বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। তবে কুয়েতের বর্তমান সংসদ সদস্য সাদুন হামাদকে ওই মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের সাবেক স্বতন্ত্র সাংসদ ও কুয়েতের রেসিডেন্ট পারমিটধারী ব্যবসায়ী পাপুলকে গত ৬ জুন মানবপাচার, ভিসা জালিয়াতি ও অর্থপাচারের অভিযোগে কুয়েত সিটির বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে দেশটির পুলিশ। সে দেশের অপরাধ তদন্ত সংস্থা তার বিরুদ্ধে মানব পাচার ও প্রায় ৫৩ মিলিয়ন কুয়েতি দিনার (প্রায় ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা) পাচারের বিষয়ে তথ্য প্রমাণ পাওয়ার পর এবং জামিনের আবেদন নাকচ হওয়ার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এ ছাড়া তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে তল্লাশি চালিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও প্রমাণ সংগ্রহ করে কুয়েতের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরপর ১৭ সেপ্টেম্বর পাপলুর মামলার বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু হয়।
এরপর এ বছরের ২৮ জানুয়ারি অর্থ ও মানবপাচারের মামলায় ঘুষ লেনদেনের দায়ে পাপুলকে চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সঙ্গে পাপুলের কাজে সহায়তাকারী কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক কর্মকর্তা মাজেন আল জাররাহসহ কুয়েতি দুই কর্মকর্তাকেও চার বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।
রায়ে পাপুলসহ দণ্ডিতদের প্রত্যেককে ১৯ লাখ কুয়েতি দিনার অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়।