NewsOne24

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক শক্তিশালী করতে চান রাজাপাকসে

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিউজওয়ান২৪

প্রকাশিত : ০৮:৫০ পিএম, ১৯ মার্চ ২০২১ শুক্রবার

শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে সবার প্রতি হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে স্বাগত জানান- পিআইডি

শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে সবার প্রতি হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে স্বাগত জানান- পিআইডি

বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক শক্তিশালী করার ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেছেন সফররত শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে।

শুক্রবার ঢাকায় আসার পর এক টুইটে তিনি বলেন, উভয় দেশের পারস্পরিক স্বার্থে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক শক্তিশালী করতে তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের সঙ্গে কাজ করতে চান।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে অংশ নেয়া বিশ্বনেতাদের মধ্যে শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী দ্বিতীয়।

মাহিন্দা রাজাপাকসে বলেন, আমি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানের অংশ হতে পেরে সম্মানিত এবং পরের দুইদিনের উৎসব এবং আলোচনার প্রত্যাশায় রয়েছি।

বিকেলে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী।

সন্ধ্যায় তিনি হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের গ্র্যান্ড বল রুমে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং ভোজ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে শনিবার শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী রাজাপাকসে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করবেন। দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক শেষে উভয় দেশের মধ্যে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। উভয় নেতা স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। বিকেলে তিনি বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

এর আগে শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী, তার স্ত্রী ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের নিয়ে শ্রীলংকান এয়ারলাইন্সের ভিভিআইপি বিমানটি সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখানে তাকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মাহিন্দা রাজপাকসেকে নিয়ে শেখ হাসিনা অভ্যর্থনা মঞ্চে পৌঁছালে তিন বাহিনীর সুসজ্জিত একটি দল এ সময় গার্ড অব অনার দেয়। এ সময় বিমানবন্দরে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, বেসামরিক ও সামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিমানবন্দর থেকে সফররত শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে যান।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশের ১০ দিনব্যাপী আয়োজনের সূচনা হয়েছে গত ১৭ মার্চ জাতির জনকের জন্মদিনে।

প্রতিবেশী পাঁচ দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা বাংলাদেশের এ উদযাপনের সঙ্গী হচ্ছেন। প্রথমদিন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ প্রথম বিশ্বনেতা হিসেবে এই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন।

মাহিন্দা রাজপাকসের সফর শেষে নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারী ২২ মার্চ, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং ২৪ মার্চ এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে ঢাকায় আসবেন।