জাতীয় সংসদের সামনে স্পিডব্রেকার ‘ভয়ঙ্কর’, নগরবাসীর ক্ষোভ
নিউজ ডেস্ক
নিউজওয়ান২৪
প্রকাশিত : ০৮:৪১ পিএম, ১৭ মার্চ ২০২১ বুধবার

ছবি : সংগৃহীত
রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যভিনিউ একটি ব্যস্ততম সড়ক। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার গাড়ি চলাচল করে। এই সড়কের দুপাশেই রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। একপাশে জাতীয় সংসদ ভবন ও অন্য পাশে সংসদ সদস্যদের বাস ভবন, সেচ ভবন, রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয়সহ বেশ কিছু সরকারি ভবন।
ব্যস্ততম এই রাস্তায় নতুন করে তৈরি করা স্পিডব্রেকার নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এ সড়কে চলাচলকারী নগরবাসী ও যানবাহন চালকরা।
বিভিন্ন বাহনের চালক ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্পিডব্রেকারের কারণে ছোট আকারের গাড়ি, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, রিকশা ও মোটরসাইকেল চালকেরা বেশি ভোগেন।
আর মাল্টিপল স্পিডব্রেকার পার হওয়ার সময় প্রায় সব ধরনের বাহনের যাত্রী ও চালকেরা অতিরিক্ত ঝাঁকুনির শিকার হন। যা মানিক মিয়া অ্যভিনিউতে তৈরি এই স্পিডব্রেকারগুলোতে সবচেয়ে বেশি। এই পথে যানবাহনে বিশেষ করে সিএনজি অটোরিক্সায় বা ছোট আকারের অ্যাম্বুলেন্সে কোনো রোগী- যেমন সদ্য অপারেশনের রোগী নিয়ে গেলে কী অবস্থা হয় তা ভুক্তেভোগীরা জানেন।
রাইড শেয়ার করা মোটরসাইকেল চালক আলমগীর হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, আমার বাসা লালমাটিয়া হওয়ায় প্রায় প্রতিদিনই যাত্রী নিয়ে এই সড়কে চলাচল করতে হয়। সম্প্রতি এ সড়কে যেই স্পিডব্রেকার তৈরি করা হয়েছে, তা আসলে স্পিডব্রেকার নয়। এটা দুর্ঘটনার ফাঁদ। এই সড়কে দুটো করে বড় স্পিডব্রেকার থাকলে ঠিক হয়। কিন্তু সেগুলোর আগেই আবার ছোট আরো দুটি স্পিডব্রেকার তৈরি করা হয়েছে। যেগুলোতে পরপর পাঁচটি বাম্প দেওয়া হয়েছে। রাজধানীর অন্য স্পিডব্রেকারগুলোর তুলনায় এগুলো খুবই উঁচু। এই দিক দিয়ে যাত্রী নিয়ে যেতে বিশেষ করে নারী যাত্রী নিয়ে যেতে খুবই সমস্যায় পড়তে হয়।
সিএনজি চালক সাজ্জাদুল ইসলাম গণমাধ্যমকেকে বলেন, এই সড়কে চলতে গেলে যাত্রীদের সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া বেঁধে যায়। এর কারণ হলো এই স্পিডব্রেকারগুলো পার হতে গেলে বেশি ঝাঁকুনি লাগে। এতে করে যাত্রীরা আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়।
এ রুটে নতুন চলাচল করা চালকদের জন্য এই স্পিডব্রেকারগুলো ভয়ঙ্কর উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগে থেকে এই স্পিডব্রেকারগুলো সম্পর্কে ধারণা না থাকলে দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। নরমালি রাস্তায় স্পিডব্রেকার দেওয়া হয় গাড়ির গতি কমানোর জন্য। কিন্তু এই স্পিডব্রেকারগুলোতে গাড়ির গতি প্রায় শূন্যতে নিয়ে আসা লাগে। এরপরও পার হতে গেলে অসহনীয় ঝাঁকি লাগে। এতে করে যাত্রীরা চালকদের ওপর বিরক্ত হয়।
এই ব্যাপারে এক গণমাধ্যমকর্মী যোগাযোগ করে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা এএসএম মামুনের সঙ্গে। তিনি আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ হোসেনের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।
মাসুদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, স্পিডব্রেকারগুলো নিয়ে এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। আমরাও আমাদের মনিটরিংয়ে বেশি উঁচু এমন কিছু পাইনি। আর এ স্পিডব্রেকার তৈরির বিষয় আমরা দেখি না। আমরা শুধু মনিটরিং করি। এগুলোর নকশা বা কাজ সবই নগর ভবন থেকে করা হয়। এই ব্যাপারে নির্বাহী প্রকৌশলী শফিউল আলম ভালো বলতে পারবেন। আপনি তার সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
ডিএনসিসির নির্বাহী প্রকৌশলী শফিউল আলমকে ফোন দিলে তিনি তা রিসিভ করেননি। এমনকি মেসেজ দিলেও কোনো উত্তর না দেওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
নিউজওয়ান২৪.কম/আরএডব্লিউ