NewsOne24

উন্নয়নে রাজনৈতিক সীমানা বাধা হতে পারে না: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিউজওয়ান২৪

প্রকাশিত : ১২:৪৪ এএম, ১০ মার্চ ২০২১ বুধবার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা- পিআইডি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা- পিআইডি

রাজনৈতিক সীমানা যেন ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বাধা না হয় এমন মন্তব্য করে দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, রাজনৈতিক সীমাবদ্ধতা উন্নয়ন ও বাণিজ্যিক বাধা হতে পারে না। রাজনৈতিক সীমানা যেন দুই দেশের মধ্যে বাধা না হয় সে লক্ষ্যে কাজ করছে বাংলাদেশ-ভারত।

ভারতের সীমান্তে ফেনী নদীর ওপর নির্মিত বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে মৈত্রী সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। 

গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও দিল্লি থেকে একইভাবে যুক্ত হন।

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সেতুটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়।

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে ফেনী নদী। সেতুটি দুই দেশের বাণিজ্য বাড়াতে আরো সহায়তা করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই সেতুর মাধ্যমে সরাসরি চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের সঙ্গে যুক্ত হবে ত্রিপুরা। ভারতের ন্যাশনাল হাইওয়েস অ্যান্ড ইনফ্রাস্টাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড (এনএইচআইডিসিএল) এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তানিশ চন্দ্র আগারভাগ ইনপাকন প্রাইভেট লিমিটেডের তত্ত্বাবধানে ৮২.৫৭ কোটি টাকা ব্যয়ে রামগড়ের মহামুনিতে ২৮৬ একর জমির ওপর ‘মৈত্রী সেতু’ নির্মিত হয়েছে।

সেতুটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে শুধু বন্ধুত্বের বন্ধন নয় বরং দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধিতেও অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি এই সেতু আমাদের দুই দেশের মধ্যে শুধু সেতুবন্ধই রচনা করবে না, বরং ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিরাট অবদান রাখবে। শুধু চট্টগ্রাম বন্দর নয়, চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও ত্রিপুরাবাসী ব্যবহার করতে পারবেন। তাই আমি ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী এবং জনগণকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।

প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের সমর্থনের কথা তুলে ধরেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, আমরা ভুলি নাই ১৯৭১ সালে কীভাবে আমার জনগণকে আপনারা আশ্রয় দিয়েছিলেন, সমর্থন দিয়েছিলেন, সহযোগিতা করেছিলেন এবং আমরা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছিলাম। কাজেই আজকের দিনে আমি সবাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

এ সময় ত্রিপুরাবাসী ও মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।