চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ট্রফি ঘরে তুলল বায়ার্ন মিউনিখ
খেলা ডেস্ক
নিউজওয়ান২৪
প্রকাশিত : ১০:৪৮ এএম, ২৪ আগস্ট ২০২০ সোমবার
ছবি: সংগৃহীত
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ফ্রান্সের প্যারিস সেইন্ট জার্মেইনকে (পিএসজি) হারিয়ে ট্রেবল জিতলো জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখ।
পর্তুগালের লিসবনে ইউরোপের সেরা ক্লাব হওয়ার লড়াইটি ১-০ গোলে শেষ হয়। বায়ার্ন মিউনিখের জয়ের একমাত্র গোলটি করেন কিংসলে কোম্যান।
শুরু থেকেই আক্রমণের যায় পিএসজি ১৯ মিনিটে নেইমারের ব্যর্থতায় গোল মিস করে দলটি। এমবাপের কাছ থেকে ডি বক্সে বল পেয়ে জালে জড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার।
ম্যানুয়াল ন্যুয়ার এক পা ধরে দিয়ে কোনোমতে বলটা ফেরান। পরমুহূর্তেই টাচলাইন থেকে ফের বলটা আলতো ছুঁয়ে তুলেছিলেন নেইমার, এবারও ন্যুয়ারে রক্ষা।
২২ মিনিটে দুর্ভাগ্য বায়ার্নের। রবার্ট লেভানডোস্কির ডি বক্সের মধ্য থেকে নেয়া মাটি কামড়ানো শট লেগে যায় পোস্টে। পরের মিনিটেই সংঘবদ্ধ আক্রমণে ফের সুযোগ ছিল পিএসজির। কিন্তু অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার চেষ্টা একটুর জন্য পোস্টের ওপর দিয়ে চলে যায়।
৩২ মিনিটে বায়ার্নের সহজতম সুযোগটি নস্যাৎ করেন কেইলর নাভাস। জিনাব্রির ক্রস থেকে ডি বক্সে উড়ে আসা বল গোলরক্ষকের একদম সামনে থেকে হেড করেছিলেন লেভানডোস্কি, নাভাস ঠিকই বলটা ধরে ফেলেন।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন এমবাপে। আন্দার এরেরার পাস থেকে মাত্র ১০ গজ দূরে বল পেয়েও গোলরক্ষক বরাবর মেরে দেন ফরাসি স্ট্রাইকার।
দ্বিতীয়ার্ধে চড়াও হয়ে খেলতে থাকে বায়ার্ন। ৫৯ মিনিটে পেয়ে যায় কাঙ্খিত গোলের দেখাও। ২০ গজ দূর থেকে জশোয়া কিমিচের ক্রস থেকে দারুণ নিচু হেডে ডান দিকের পোস্ট দিয়ে বল জালে জড়ান ফরাসি মিডফিল্ডার কিংসলে কোম্যান। আর এতেই চ্যাম্পিন্স লিগে ৫০০ গোল ছুঁয়ে ফেলে বায়ার্ন।
১-০ গোলে পিছিয়ে পড়ার পর মরিয়া হয়ে চেষ্টা করতে থাকে পিএসজি। বেশ কয়েকটি সম্ভাবনাও তৈরি করে। ৬৬ মিনিটে ফের সুযোগ নষ্ট করেন এমবাপে। ডি মারিয়ার বাড়ানো বলটায় পা লাগাতে পারলেই গোলটা হয়ে যেতে পারতো। তিন মিনিট পর মার্কিনহোসের মাটি কামড়ানো শট পা দিয়ে ঠেকিয়ে দেন ন্যুয়ার।
৮৩ মিনিটে পিএসজি রক্ষণ ভেঙে বক্সের ভেতর ঢুকে পড়ছিলেন লেভানদোস্কি। একা গোলরক্ষককে বিপদ থেকে বাঁচাতে পোলিশ স্ট্রাইকারকে পা ধরে টান দেন ডিয়েগো সিলভা, দেখেন হলুদ কার্ড। বক্সের খুব কাছে থেকে স্পট কিক নিয়ে পোস্টের বাইরে বল পাঠান কৌতিনহো।
অতিরিক্ত সময়ের প্রথম মিনিটে লেভানদোস্কি পিএসজির বক্সে পড়ে গেলেও পেনাল্টি দেননি রেফারি। পাল্টা আক্রমণে বরং গোল শোধের দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিল পিএসজি। বক্সের মধ্যে দারুণভাবে বলটা নিয়ন্ত্রণে রেখেছিলেন নেইমার, রক্ষণের চাপের মধ্যেও কোনোমতে বাঁকানো শট নেন। সেটি একটুর জন্য পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়। শেষ বাঁশির আগে সেটাই ছিল পিএসজির শেষ সুযোগ।
আর এতেই ক্লাবের ৫০ বছরের ইতিহাসে প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠে শিরোপা ছুঁয়ে দেখতে পারলো না পিএসজি। এতদিন দলটির সর্বোচ্চ সাফল্য ছিল ১৯৯৪-৯৫ মৌসুমে ইউসিএল সেমিফাইনাল খেলা।
এদিকে ক্লাবের ইতিহাসে দ্বিতীয়বার ট্রেবল জয়ের হাতছানি বায়ার্ন মিউনিখের সামনে। পুরো টুর্নামেন্টে দাপট দেখিয়েই ফাইনালে উঠেছে বাভারিয়ানরা। এর আগে পাঁচ বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জিতেছে বায়ার্ন। ১৯৭৪, ১৯৭৫, ১৯৭৬, ২০০১ ও ২০১৩ সালে ট্রফি হাতে উল্লাস করেছিল জার্মান দলটি।
সাত বছর পর আরেকবার শিরোপা নিজেদের করে নিলো টমাস মুলার- রবার্ত লেভানদোভস্কিরা।