হেলিকপ্টার তৈরি করছেন বরগুনার সোহেল
গেরামের খবর
নিউজওয়ান২৪.কম
প্রকাশিত : ১১:৪৬ পিএম, ১০ জুলাই ২০১৭ সোমবার

পেশায় একজন মোটর মেকানিক সোহেল রানা হাওলাদার, বয়স ৩২ বছর। বরগুনার পুরাকাটা ফেরিঘাটে মোটরসাইকেল মেকানিকের কাজ করেন তিনি। মাস ছয়েক আগে মোটরসাইকেলের পুরনো বডি ব্যবহার করে দ্রুত গতিসম্পন্ন স্পিডবোট তৈরি করে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন।
এবার তিনি নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করেছেন হেলিকপ্টার। বরগুনা সদর উপজেলার ৬ নং বুড়িরচর ইউনিয়নের পুরাকাটা গ্রামের বাসিন্দা মো. ফরিদ হাওলাদারের ছেলে সোহেল রানা। চার ভাই বোনের মধ্যে সোহেল সবার বড়। অর্থাভাবে খুব বেশি লেখাপড়া করতে পারেননি তিনি। ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেন তিনি।
প্রথম জীবনে ট্রলারে মানুষ পারাপার করে শুরু হয় তার কর্ম জীবন। কিছুদিন পর ট্রলার ডাকাতি হয়ে গেলে শুরু করেন মেকানিকের কাজ। বরগুনা পুরাকাটায় গড়ে তোলেন ‘মায়ের দোয়া’ নামে একটি মোটরসাইকেল সার্ভিস সেন্টার।
সোহেল রানা জানায়, ইতোমধ্যে ১৫ হাজার টাকা খরচ করেছেন তার হেলিকপ্টারের বডি ও পাখা তৈরির কাজে। আর মেশিন কেনার টাকা না থাকায় তার আবিষ্কৃত স্পিডবোটের মেশিন খুলে হেলিকপ্টারে লাগিয়ে পরীক্ষামূলক উড্ডয়নের চেষ্টায় ভালোভাবে সফল হতে পারেননি তিনি। তার এই প্রযুক্তিতে হেলিকপ্টার আকাশে উড়াতে হলে উন্নত পাখা ও মেশিনসহ আরো কিছু যন্ত্রাংশ দরকার। কিন্তু টাকার অভাবে সেসব যন্ত্রাংশ কিনতে পারছেন না।
সোহেল রানার মা রেনু বেগম বলেন, এর আগে স্পিডবোট তৈরি করতে গিয়ে অনেকের বাজে কথা শুনতে হয়েছে তার ছেলেকে। তয় স্পিডবোট তৈরির পর অনেকেই ভরসা পাইছে সোহেল আরো কিছু তৈরি করতে পারবে। আর হেলিকপ্টারের পাঙ্খা যখন ঘুরছে তখন মনডা খুইলা কান্দন আইছে, তহন মনে হইছে অরে যদি পরালেহা করাইতে পারতাম।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসক ড. বশিরুল আলম বলেন, বিষয়টি ইতোমধ্যে শুনেছি। তবে লিখিতভাবে সাহায্য চাইলে বরগুনা জেলা প্রশাসন অবশ্যই তার পাশে থাকবে।
নিউজওয়ান২৪.কম