ডিএনসিসির ১৮ ওয়ার্ডের উন্নয়নে চার হাজার ২৫ কোটি টাকার প্রকল্প
নিউজ ডেস্ক
নিউজওয়ান২৪
প্রকাশিত : ১১:২৫ এএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ মঙ্গলবার
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) - ফাইল ফটো
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) নতুনভাবে অন্তর্ভুক্ত হওয়া ১৮টি ওয়ার্ড উন্নয়নের ছোঁয়া পাবে।
এজন্য ‘ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নতুনভাবে অন্তর্ভুক্ত ১৮টি ওয়ার্ডেও সড়ক অবকাঠামো ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার নির্মাণ ও উন্নয়ন’ নামের একটি প্রকল্প হাতে নিচ্ছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। এতে খরচ ধরা হয়েছে ৪ হাজার ২৫ কোটি ৬২ লাখ টাকা।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এটি বাস্তবায়িত হলে সম্প্রসারিত এলাকায় যান ও পথচারী চলাচলের সুবিধা হবে। রাস্তায় পরিবেশবান্ধব উন্নত প্রযুক্তির ১২ হাজার ২১৮টি এলইডি বাতি স্থাপনের মাধ্যমে কার্বণ নিঃসরণ ও বিদ্যুতের অপচয়ও কমে যাবে।
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ২০১১ সালের ৪ ডিসেম্বর ঢাকা সিটি করপোরেশনকে (ডিসিসি) দুইটি অংশে বিভক্ত করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) সৃষ্টি করা হয়। ২০১৬ সালের ২৮ জুন বাংলাদেশ গেজেট প্রজ্ঞাপন এসআরও নং ২০১ আইন ২০১৬ দ্বারা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতায় উত্তর পশ্চিমে অবস্থিত হরিরামপুর ইউনিয়ন এবং পূর্বাঞ্চলের উত্তরখান, দক্ষিণখান, বাড্ডা, বারাইদ, ডুমনি, সাঁতারকুল ও ভাটারা ইউনিয়নের এলাকাগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ফলে ডিএনসিসির এলাকা ১১৪.৫৬ বর্গ কিলোমিটার এবং জনসংখ্যা ১.৫ গুণ বৃদ্ধি পায়।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের এয়ারপোর্ট রোড ও প্রগতি স্মরণী সংলগ্ন ৭টি ইউনিয়নের পশ্চিমাংশ ও উত্তরা আবাসিক এলাকা সংলগ্ন হরিরামপুর ইউনিয়ন তুলনামূলকভাবে অধিক ঘনবসতিপূর্ণ। অধিকাংশ ইউনিয়নের বিদ্যমান রাস্তা ও রাস্তার পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থাদি অপর্যাপ্ত হওয়ায় অল্প বৃষ্টিপাতে রাস্তার জলাবদ্ধতা এবং যানজটের সৃষ্টি হয়। অধিকাংশ রাস্তায় রাতে কোন বৈদ্যুতিক আলো না থাকায় রাতের বেলায় চলাচলের ক্ষেত্রে নিরাপত্তাহীনতা হয়। বিদ্যমান খালগুলি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ক্রমেই সংকুচিত হওয়ায় পানি নিস্কাশন বিঘ্নিত হচ্ছে। এজন্য উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতায় নতুনভাবে অন্তুর্ভুক্ত ১৮টি ওয়ার্ড এবং ৮টি ইউনিয়নের জনসাধারণের নাগরিক সুবিধাদি সৃষ্টির জন্য এই প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে।
প্রকল্পের মূল কার্যক্রম হচ্ছে- ৬৯.৪৮ একর ভূমি অধিগ্রহণ, ১৮২.৭৮ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ ও উন্নয়ন, ২৩৩.৯৭ কিলোমিটার নর্দমা নির্মাণ ও উন্নয়ন, ২৮.৫১ কিলোমিটার খল উন্নয়ন, স্থাপনার ক্ষতিপূরণ এবং এলইডি বৈদ্যুতিক বাতি স্থাপন।
পরিকল্পনা কমিশনের একাধিক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রকল্পটির প্রস্তাব পাওয়ার পর ২০১৯ সালের ১৭ জুন প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় দেওয়া সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) পুনর্গঠন করা হয়েছে। ফলে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) আগামী একনেক সভায় উপস্থাপন করা হবে। অনুমোদন পেলে ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।’
প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য শামীমা নার্গিস সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রস্তাবিত প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সম্প্রসারিত এলাকার ১৮২.৭৮ কিলোমিটার সড়ক নেটওয়ার্ক ও ২৩৩.৯৭ কিলোমিটার নর্দমা নির্মাণ হবে। এছাড়াও ২৮.৫১ কিলোমিটার খাল উন্নয়নের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা নিরসন, সম্প্রসারিত এলাকায় যান ও পথচারী চলাচলের সুবিধার্থে রাস্তায় পরিবেশবান্ধব উন্নত প্রযুক্তির এলইডি বাতি স্থাপন করে কার্বন নিঃসরণ ও বিদ্যুৎ খরচ কম করা হবে।’ এর ফলে নগরবাসী কাঙ্ক্ষিত নাগরিক সেবা লাভ করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
নিউজওয়ান২৪.কম/এমজেড