বাড়ির কাজ না করায় ৫ শিশুকে থুতু খাওয়ালেন শিক্ষক
ডেস্ক রিপোর্ট
নিউজওয়ান২৪
প্রকাশিত : ০৭:০২ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ শুক্রবার
ছবি: সংগৃহীত
পাঁচজন শিশুশিক্ষার্থীকে থুতু খাওয়ানোর অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় এ ঘটনায় বরখাস্ত করা হয়েছে ওই শিক্ষককে। বাড়ির কাজ জমা না দেওয়ার 'অপরাধে' এ ঘটনা ঘটিয়েছেন মোশারফ তালুকদার নামের এক স্কুল শিক্ষক। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি উপজেলার গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের শ্রীকালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোশারফ তালুকদার কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ওপর এমন অমানবিক ও অবমাননাকর কাণ্ড করেছেন।
এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে জেলা শিক্ষা অফিসারের বরাবরে অবমাননার শিকার শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। পরে ওই মোশাররফের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
অভিযোগে জানা গেছে, গত ৯ ফেব্রুয়ারি গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের শ্রীকালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক মোশারফ তালুকদার ৪র্থ শ্রেণির ক্লাস নিচ্ছিলেন। এসময় বাড়ির কাজ জমা না দেওয়ায় পাঁচ শিক্ষার্থীকে জোর করে থুতু খাওয়ান তিনি। ছুটির পর পাঁচ শিক্ষার্থী বাড়িতে গিয়ে নিজ নিজ অভিভাবকের কাছে স্কুলে শিক্ষকের দ্বারা এভাবে অবমাননার শিকার হওয়ার কথা জানায়। ঘটনা শুনে অভিভাবকরা বিদ্যালয়ে ছুটে যান। কিন্তু অভিযোগ জানাতে চাইলে স্কুল থেকে তাদের পরদিন আসতে বলা হয়। কিন্তু পরদিন অভিযুক্ত ওই শিক্ষক স্কুলে অনুপস্থিত থাকেন। এতে অভিভাবকেরা চরম ক্ষুব্ধ হন। এসময় ওই শিক্ষকের পক্ষে প্রধান শিক্ষক আ. হান্নান অভিভাবকদের কাছে ক্ষমা চান। এরপর গত বুধবার মোশারফ তালুকদারের বিরুদ্ধে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী পাঁচ শিক্ষার্থীর অভিভাবকেরা।
অভিযুক্ত শিক্ষক মোশারফ তালুকদার বলেন, ‘বিষয়টি এমন রূপ নেবে ভাবতে পারিনি। তবে তিলকে তাল বানানোর জন্য একটা পক্ষ মরিয়া হয়ে উঠেছে।’
তবে প্রধান শিক্ষক আ. হান্নান বলেন, ‘ঘটনার দিন আমি বিদ্যালয়ের কাজে উপজেলায় ছিলাম। পরে এ ঘটনার নিন্দা জানাই। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছে ওই শিক্ষকের হয়ে ক্ষমা চাই।’ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাহাবউদ্দিন বলেন, ‘কিছুদিন আগে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অন্য এক ঘটনায় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। আর নতুন ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেলে লিখিত অভিযোগ হাতে পাই। তাৎক্ষণিকভাবে ওই শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়। বিভাগীয় মামলাও নিয়েছি।’
উল্লেখ্য গত বছরের এপ্রিলে রংপুরের কাউনিয়ার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ উঠেছিল। প্রকাশিত খবরে জানা যায়, কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ চতুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জামাল উদ্দিন তার ক্লাসে পড়া না পারলে এক শিক্ষার্থীর থুতু অপর শিক্ষর্থীকে খেতে বাধ্য করতেন ।
নিউজওয়ান২৪.কম/আরকে