NewsOne24

প্রধান বিচারপতি কিভাবে বলেন দেশে আইনের শাসন নেই

তাজা খবর ডেস্ক

নিউজওয়ান২৪.কম

প্রকাশিত : ১২:১৫ এএম, ৯ মে ২০১৭ মঙ্গলবার | আপডেট: ১১:৫৮ পিএম, ১৪ মে ২০১৭ রোববার

সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা : ফাইল ফটো

সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা : ফাইল ফটো

দেশের প্রধান বিচারপতির উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রধান বিচারপতি কিভাবে বললেন দেশে আইনের শাসন নেই। বিচার বিভাগ যে স্বাধীন তার একটাই তো প্রমাণ আছে। একজন নেত্রীর একটা মামলায় যদি ১৪০ দিন সময় দেওয়া হয়। বিচার বিভাগ স্বাধীন বলেই তো এতোদিন সময় দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (০৮ মে) রাতে ১৫তম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা আছে বলেই তো এই সময়টা দেওয়া হয়েছে। না হলে তো দিতে পারতো না। আমাদের ওই ধরণের মানসিকতা থাকতো তাহলে নিশ্চই দিতে পারতো না। আমরা তো সেটা করনি। ইচ্ছামতো সময় দিয়ে যাচ্ছেন... দিয়েই যাচ্ছেন। কাজেই বিচার বিভাগ যে স্বাধীন এই একটা উদাহরণই যথেষ্ট।

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সম্পর্কে বলেন, আমাদের এখানে ৭৫০টি পত্রিকা, ৩৪টি টিভি রয়েছে। দেখলাম অ্যামিনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে এই দেশে বাক স্বাধীনতা নাই। যারা রিপোর্টটা করেছে তাদেরকে বলব এই টিভিতে বসে বসে দিনরাত আমাদের বিরুদ্ধে সমানে কথা বলা হচ্ছে। টক শো, আলোচনা একেবারে স্বাধীনভাবে কথা বলছে। আমাদের সমালোচনা যখন করা হয় কই কেউ কি তাদের গিয়ে গলা টিপে ধরেছে যে একথা বলা যাবে না।

তিনি বলেন, সংবাদপত্র লিখেই যাচ্ছে, হ্যাঁ কেউ যদি হলুদ সাংবাদিকতা করে, মিথ্যা অসত্য তথ্য দেয়, কারও যদি চরিত্র হনন করে নিশ্চই তারও অধিকার আছে যে সেখান থেকে নিজের উপর মিথ্যা দোষারোপ থেকে রক্ষা পাবার। সেটা নেবার অধিকার সকলেরই আছে।

এখানে একেবারে স্বাধীনতা নেই এটা যারা বলেন...এখানে আমাদের দেশে কিছু লোক আছে, এই লোকগুলি একসময় মনে করতো একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি এলে তাদের মূল্য বাড়বে, তারা একটা পতাকা পেতে পারেন, তারা একটা কিছু হতে পারেন। বা তাদের একটু তোষামদি, খোসামদি করা হয়। তাদের মূল্যটাও একটু বেশী থাকে।

আর গণতান্ত্রিক পরিবেশে তারা তাদের সুযোগটা কম থাকে। তাদের স্বাদ আছে ক্ষমতায় আসার, কিন্তু জনগণের কাছে ভোট চাওয়ার সাধ্য নাই। অনেকে চেষ্টাও করেছে দল গঠণের সারা পায়নি মানুষের কাছ থেকে। এটা যদি জনগণ সারা না দেয় তার দোষ কার। এরাই নানা কথা বলে বেড়াচ্ছে।

তিনি বলেন, কোনো সংসদ সদস্য বা সাধারণ ব্যক্তি কেউ যদি মানহানীর মামলা করে এটার দোষ কি ভাবে হয়। সে যদি অপরাধী না করে তাহলে মামলা মোকাবেলা করলেই সত্য বেরিয়ে আসবে। সেটাতো করতে পারবে না কারণ হলুদ সাংবাদিকতা করে ফেলেছে।

সমালোচকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বদনাম করা এটাই তাদের চরিত্র। মনে হচ্ছে বদনাম করতে পারলেই নাগরদোলার মতো ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। সেই আসায় তারা থাকে। সেই আসায় গুড়েবালি। এদেশে সেটা আর হবে না।

নিউজওয়ান২৪.কম