ঢাকা, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪
সর্বশেষ:

মনির খানের পদত্যাগ নিয়ে যা বললেন রিয়াজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০:৫৬, ১০ ডিসেম্বর ২০১৮  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মনির খান রেবাবার বিএনপির থেকে পদত্যাগ করেছেন। সেদিন সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন। এর আগ পর্যন্ত দলটির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন তিনি। মূলত আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন না পেয়ে এমন সিদ্ধান্ত নেয় মনির খান।

তার এই পদত্যাগের একটি নিউজ নিজের ফেসবুকে শেয়ার করেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক রিয়াজ। তিনি তার ওই স্ট্যাটাসে লিখেছেন, আমি মানুষকে তাদের ব্যক্তিগত মতাদর্শের মাপকাঠিতে বিচার করি না। এই মানুষটিকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি। তিনি যেমন একজন ভালো শিল্পী, তেমনই ভালো মানুষ। কিন্তু এই মানুষটিকে তার এতো বছরের পরিশ্রমের কি প্রতিফল দেয়া হলো? তাও একজন ‘রাজাকারের’ জন্য? ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই বাংলাদেশে এক রাজাকারের মূল্য কি একজন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পীর চেয়ে বেশি? যারা একজন শিল্পীর এই অপমান করলো তারা এই দেশকে কি দেবে? জাতিকে কি দেবে? জাতির বিবেকের কাছে আমি এই প্রশ্ন রাখলাম।

এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সংম্মেলনে মনির খান বলেন, ত্রিশ বছর ধরে বিএনপির রাজনীতি করি। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে দলটিতে কোনো মূল্যায়ন পাইনি। অনেক আশা নিয়েই এবারের নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিই। কিন্তু আমার পরিবর্তে ঝিনাইদহ-৩ আসনে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মতিয়ার রহমানকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।

কণ্ঠশিল্পী মনির খান বলেন, আমি বাংলাদেশের একজন জাতীয় সংগীত শিল্পী। শহীদ জিয়ার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ও দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার আহ্বানে সাড়া দিয়ে জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠনের (জিসাস) মহাসচিব হিসেবে দলে যোগদান করি। পরবর্তীতে আমার সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে অনুপ্রাণিত হয়ে আমাকে জাসাসের সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপির সহ-সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচন করা হয়। সংগীত কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি আমি দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে খালেদা জিয়া আমার নির্বাচনী এলাকায় কাজ করার নির্দেশনা দেন। আমি সবসময় এলাকায় সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও জনসাধারণের পাশে থেকে আমার নির্বাচনী এলাকার জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করেছি।

এ সময় তিনি আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, আজ বিভিন্ন অজুহাতে আমার এলাকার জনগণকে এবং আমাকে জাতীয় নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেয়া হল। এমতাবস্থায় আমার নির্বাচনী এলাকার জনগণের প্রাণের দাবির সঙ্গে একাকার হয়ে আমি বিএনপির সব সাংগঠনিক পদ পদবি থেকে ইস্তফা দিলাম।

মনির খান বলেন, আমি জনগণের দাবিতে, আমার ভক্তদের দাবিতে রাজনীতির মাঠ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে আবার সঙ্গীতচর্চা শুরু করবো। মাঝখানে যে কটা দিন, যে কটা বছর রাজনীতির সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার পর কেটে গেছে, এটি আমার জীবনের অ্যাক্সিডেন্ট ছিলো। আমার ভুল ছিল। এই ভুলের জন্য আমি বাংলাদেশের সব মানুষের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।
 
তিনি আরো বলেন, আমি অতীতের ন্যায় আগামীতেও সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমার এলাকার জনগণ ও দেশবাসীর পাশে থাকব। আমি আজ থেকে কোনো দলের অন্তর্ভুক্ত নয়, একজন সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে পূর্বের ন্যায় সংগীত কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাব। আমি সবার দোয়া চাই। আমি গানের মানুষ প্রাণ খুলে গান গাইতে চাই।

নিউজওয়ান২৪/এএস