ঢাকা, ২১ এপ্রিল, ২০২৫
সর্বশেষ:

সমুদ্রের নীচে ‘ডাক বাক্স’

বিশ্ব সংবাদ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০:৫৮, ২৪ নভেম্বর ২০১৮  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ই-মেল, মেসেজ, হোয়াটস্যাপ কিংবা ম্যাসেঞ্জারের মতো দ্রুত প্রযুক্তির যুগে আজকাল চিঠি লেখার প্রচলন নেই বললেই চলে। শুধুমাত্র দাপ্তরিক কাজেই চিঠিপত্র বিলি হয় এখন। প্রযুক্তির প্রসারে টেলিগ্রামের প্রয়োজনীয়তা বন্ধ হয়ে গেছে অনেক আগে। লাল রঙের, গোল মাথাওয়ালা ছোট থামের মতো দেখতে সেই ডাক বাক্স যা একটা সময় শহরের অলিতে গলিতে দেখা যেত, তা এখন বিলুপ্তির পথে।

তবে এমন পরিস্থিতিতেও একটি ডাক বাক্স হয়ে উঠেছে হাজার হাজার পর্যটকদের মূল আকর্ষণ। হাজার হাজার চিঠি নিয়মিত জমা পড়ে এই বাক্সে। এই বাক্সে চিঠি ফেলতে দূর-দূরান্ত থেকে হাজার হাজার পর্যটকরা ছুটে আসেন প্রতি বছর। তবে এটা শহরের কোনও প্রান্তে দাঁড়ানো সাধারন ডাক বাক্স নয়। এর অবস্থান গভীর সমুদ্রের নীচে। 

ব্যতিক্রমী এই ডাক বাক্সটি রয়েছে জাপানের সুসামি শহরে। এখানে বসবাস করেন প্রায় পাঁচ হাজার মৎসজীবী মানুষ। ১৯৯৯ সালের এপ্রিলে এখানে ‘কুমানোকোদো’ ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে পর্যটন প্রসারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। আর সেই সময় এক প্রবীণ পোস্টমাস্টারের পরামর্শ অনুযায়ী ‘ডিপ সি ডাইভিং’-এর কাঠামো গড়ে তোলা হয়। এরই প্রধান অনুঅঙ্গ হিসাবে সমুদ্রের গভীরে বসানো হয় ‘আন্ডার ওয়াটার পোস্টবক্স’।

সমুদ্র সৈকত থেকে ১০ মিটার দূরে এবং ৩২ ফুট গভীরে বসানো হয় ডাক বাক্সটি। জানা গেছে, ১৯৯৯ থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৩৬ হাজার চিঠি পড়েছে এই ডাক বাক্সে। পানির নীচে চিঠি পোস্টের জন্য এখানকার দোকানেই পাওয়া যায় ওয়াটারপ্রুফ কাগজ, খাম আর বিশেষ মার্কার পেন। এই মার্কার পেন দিয়ে ওয়াটারপ্রুফ কাগজে চিঠি লিখে পানির নীচে গিয়ে নিজেদের চিঠি খুব আগ্রহের সঙ্গে পোস্ট করেন পর্যটকরা। 

নির্দিষ্ট সময় পর পর পোস্টাল ডাইভাররা সেই চিঠিগুলি তুলে এনে সেগুলিকে পাঠিয়ে দেন স্থানীয় ডাকঘরে। সাধারণত এক সপ্তাহের মধ্যে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হয় চিঠিগুলিকে। ছ’মাস পর পর ডাকবাক্সটি তুলে আনা হয় রং আর মেরামত করার জন্য। দু’টি ডাকবাস্ক এভাবে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে রেখে আসা হয় সমুদ্রের তলায়। 

২০০২ সালে ‘ডিপেস্ট আন্ডার ওয়াটার পোস্টবক্স’ হিসাবে গিনেস রেকর্ডের বইয়ে জায়গা করে নেয় সুসামির এই ডাক বাক্সটি। এর আগে প্রশান্ত মহাসাগরের ভানুয়াতো দ্বীপরাষ্ট্রে প্রথম শুরু হয়েছিল আন্ডারওয়াটার পোস্ট বক্স। তারই অনুকরণে জাপানের সুসামিতে তৈরি হয় এই ‘আন্ডার ওয়াটার পোস্টবক্স’।সূত্র : জি নিউজ

নিউজওয়ান২৪/এএস

আরও পড়ুন
বিশ্ব সংবাদ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত