ঢাকা, ২০ এপ্রিল, ২০২৫
সর্বশেষ:

রাত জাগার পরিকল্পনা থাকলে জেনে নিন কিছু টিপস

প্রকাশিত: ১৩:১১, ৩ অক্টোবর ২০১৮  

 

কোনো কারণে আপনাকে যদি রাত জাগতেই হয়, তাহলে কয়েকটা নিয়ম পালন করবেন। এতে কষ্ট অনেকটা কমে যাবে, পরদিন সকালেই যদি আপনাকে কোনো কাজে যুক্ত হতে হয়; আপনি একটু কম ক্লান্ত বোধ করবেন।

নির্ঘুম রাত এখন আমাদের অনেকের জীবনের অংশ। কেউ প্রয়োজনে জাগেন, কেউ বা অপ্রয়োজনে। যে কারণেই জেগে থাকুন না কেন, ব্যাপারটি কদাচিত হওয়াই শ্রেয়। কারণ রাতের ঘুম শরীরের সুস্থতার জন্য অপরিহার্য।

রাত্রে ভ্রমন করার সময় অনেকেই ঘুমাতে পারেন না; আবার ঘুমালেও সেটা পরিপূর্ণ হয় না। হাসপাতালে অসুস্থ কোনো স্বজনের পাশে থাকলেও ঘুমানো হয় না। সন্তানের জন্য মা বাবাকে অনেক সময়ই রাত জাগতে হয়। কারণ যাই হোক না কেনো, রাত জাগা একটা কষ্টকর ব্যাপার।

এই কষ্ট আরো অনেকগুনে বেড়ে যায় যদি পরদিন সকালেই কোনো কাজের জন্য বেরিয়ে পড়তে হয়। যাদের রাত জাগার অভ্যাস নেই তাদের জন্য বিষয়টা অনেকটা অসম্ভবের কাছাকাছি। আর যারা হরহামেশাই এই কাজটা করেন তাদের বেলাতেও একটা সময়ের পর মনে হয় - ধরণী বিছানা হয়ে যাও, আমি ঘুমিয়ে পড়ি। 

> খাবারের সরবরাহ:
রাতে কিন্তু আমরা একটা দীর্ঘ সময় ঘুমাই, কম করে হলেও তা ছয় ঘন্টা। ঘুমের কারণে ক্ষুধার ব্যাপারটা ঠিক সামনে আসে না। কিন্তু আপনি যদি জেগে থাকেন তাহলে অন্তত দুইবার আপনার ক্ষুধা পাবে। রাত জাগার পরিকল্পনা থাকলে কিছু খাবারেরও যোগান রাখুন। যদি হাসপাতালে রাত কাটাতে হয় তবে আগেভাগেই তা ঠিক করে নিন। 

> বেশি করে পানি খাওয়া:
যাদের সামান্যতম এসিডিটির সমস্যা আছে, তাদের জন্য বলছি - রাত জাগলে এই সমস্যা অনেক প্রকট হয়। এর প্রধান সমাধান বেশি করে পানি খাওয়া। চাইলে পাতলা রং চা খেতে পারেন। তবে ঘুম তাড়ানোর নাম করে  কড়া  লিকারের চা অথবা কফি খেলে পরের সময়টা আপনার জন্য কষ্টকর হবার সম্ভাবনা খুব বেশি।

> শেষ রাত, কুপোকাত:
যারা বিলাসিতা করে রাত জাগেন, তারাও শেষ রাতের দিকে আর নিজেদের তেজ ধরে রাখতে পারেন না। আপনার ক্ষেত্রেও তাই হবে। আমার মনে হয় এই সময়টা পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাদময় একটা সময় যখন জেগে থাকার জন্য নিজেকে অভাগা এবং অসহায় মনে হয়। কিন্তু তারপরও যদি জেগে থাকতে হয়, বসে বসে না ঝিমিয়ে উঠে পড়ুন। কিছুটা খাওয়া দাওয়া করলে শরীর ও মনে জোর আসবে। জেগে থাকাটা অত সম্ভব মনে হবে না।

> সূর্যোদয় দেখুন:
বলাবাহুল্য, দুঃখের পরেই সুখ আসে। সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে দেখবেন মনটা চাঙ্গা হয়ে উঠছে। খুব কম মানুষ আছেন যারা সুর্যোদয়ের দৃশ্যে বা ভোরের প্রথম আলোয় খুশি হয় না। সম্ভব হলে বারান্দায় দাড়ান বা অন্তত জানালার পাশে দাড়িয়ে বাইরের দুনিয়া দেখুন। হাত মুখ ধুয়ে নিন। অন্যরকম সতেজতা অনুভব করবেন।

> রাজকীয় সকালের নাস্তা:
চেষ্টা করুন সকালের নাস্তাটা একটু ভারী করার। যত বেশি পুষ্টিকর খাবার খেতে পারবেন, আপনার ক্লান্তি তত দ্রুত কেটে যাবে। বিশ্রামের অভাবে আপনার অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছে ইতিমধ্যে। এগুলোর এখন বাড়তি ক্যালরি দরকার। এই সময়ে কফি বা কড়া লিকারের চা খেতে পারেন অনায়েসেই।

> গোসল দিয়ে দিন শুরু করুন:
সকালেই যদি আপনাকে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়তে হয় কোনো কাজে, তাহলে অবশ্যই গোসল করে নিন। সম্ভব হলে একটু হালকা গরম পানি নিন। আপনার অর্ধেক ক্লান্তি ধুয়ে বের হয়ে যাবে। যদি ঘুমানোর সুযোগ থাকে, সেক্ষেত্রেও এই গোসল আপনার জন্য অনেক আরামদায়ক হবে। 

নির্ঘুম রাত কাটানো যাদের কাছে নেশা বা প্রতিদিনকার ব্যাপার, তাদের সবারই নিজস্ব পদ্ধতি আছে রাতের সময়টা পার করার। তাদের বেলায় এসব পরামর্শ অর্থপূর্ণ কিছু নাও হতে পারে। তবে গ্রহণ করুন আর নাই করুন, সবচেয়ে উপকারী পরমর্শ হলো - ২৪ ঘন্টার মধ্যে একটানা অন্তত ছয় ঘন্টা ঘুমান এবং এটা রাত্রে হওয়াই সর্বোত্তম।

নিউজওয়ান২৪/আরএডব্লিউ

লাইফস্টাইল বিভাগের সর্বাধিক পঠিত