মেসির পাসে অবিশ্বাস্য মিস এমবাপ্পের, পিএসজির আশ্চর্য হার
স্পোর্টস ডেস্ক

সংগৃহীত ছবি
বিশ্বকাপ জয়ের মাসখানেকের মধ্যে এবং নতুন বছরের দ্বিতীয় হার দেখলো লিওনেল মেসির দল পিএসজি। দর্শকের চোখ বলছে, ফরাসি জায়ান্ট পিএসজি এই হার জয় দিয়ে না হলেও অন্তত ড্র দিয়ে ঠেকাতে পারতো। পারতো, যদি না এমবাপ্পে মেসির বাড়ানো বলটি অবিশ্বাস্যরকমভাবে গোলে না মেরে আকাশে মারতেন।
চার সপ্তাহ আগে কাতার বিশ্বকাপ ফাইনাল মাতিয়েছিলেন এই দলটির দুই সুপার পাওয়ার প্লেমেকার লিওনেল মেসি ও কিলিয়ান এমবাপ্পে।
কিন্তু বিশ্বকাপজয়ী দুই দেশ আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স, কাতার বিশ্বকাপ ফাইনালের দুই প্রতিপক্ষের সেরা দুজন খেলোয়াড় থাকতেও গতকাল রাতে পিএসজি হেরে গেল ‘ছোটখাটো টিমের’ বিপক্ষে! যখন তাদের সঙ্গে ছিলেন ব্রাজিলিয়ান নেইমারও। কিন্তু সময়ের শ্রেষ্ঠতম আক্রমণভাগ নিয়েও রেঁনের কাছে ১-০ গোলে হেরেছে অভিজাত এবং উঁচুদরের দল পিএসজি।
এ হারের ফলে ফ্রেঞ্চ লিগ ‘আঁ’তে সর্বশেষ তিন ম্যাচের দুটিতেই হারল ক্রিস্তফ গালতিয়েরের দল। এমনিতে
লিগে দাপট দেখালেও সাম্প্রতিক সময়কালে রেঁনের মাঠে সাফল্য যেন ধরাই দিচ্ছে না পিএসজির পায়ে। গত রাতের ম্যাচে শুরু থেকেই পারফরমেন্স খরায় ভুগতে দেখা গেছে পিএসজিকে। বলবেন কেমন খরা? এই ধরুন লিওনেল মেসি যখন রেঁনের বক্সের সামনে থেকে ম্যাচের প্রথম শটটি নেন, ততক্ষণে ১৯ মিনিট পেরিয়ে গেছে।
আক্রমণভাগে মেসি, নেইমারের সঙ্গে ছিলেন উগো একিতিকে। তবে প্রথমার্ধে তিনজনে মিলে সুযোগ তৈরি করতে পেরেছেন কমই। তাদের অগোছালো খেলা দেখে মাঝমাঠে মার্কো ভেরাত্তির অভাব প্রকট হয়ে উঠছিল বারবার।একদিকে পিএসজি ভোতা আক্রমণে সময় গিলছিল অন্যদিকে রেঁনে কিন্তু তাদের রক্ষণে ঘন ঘন হানা দিয়ে যাচ্ছিল ঠিকই। তো ফল যা হবার তাইতো হবে! এর সমান্তরালে দেখা যায় প্রথমার্ধেই পিএসজি গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা দুটি প্রায় নিশ্চিত গোল সেভ করেছেন। নাহলে গতকালের ম্যাচ রিপোর্ট আরো বেদনাদায়ক হতে পারতো মেসি-এমবাপ্পে-নেইমারদের জন্য।
বছরের শুরুর দিকে ছুটি কাটিয়ে ফেরার পর এটিই ছিল দুই বন্ধু এমবাপ্পে ও আশরাফ হাকিমির প্রথম ম্যাচ। ম্যাচের ৫৬ মিনিটে এমবাপ্পে ও হাকিমিকে একসঙ্গে বদলি হিসেবে মাঠে নামান পিএসজি কোচ। আক্রমণে ধার বাড়বে কী, এর নয় মিনিট পর উল্টো গোল খেয়ে বসে পিএসজি। সতীর্থের বাড়িয়ে দেওয়া বল থেকে রেঁনেকে এগিয়ে নেন হামারি ত্রাওরে।
কিন্তু পাঁচ মিনিটের মাথায় গোলটি শোধ দেওয়ার সুযোগ পান এমবাপ্পের। মাঝমাঠ থেকে উঁচু করে বল বাড়িয়েছিলেন নিওনেল মেসি। ক্ষিপ্র গতিতে বল ধরে ডি বক্সেও ঢুকে পড়েন এমবাপ্পে এবং রেঁনের গোলরক্ষক তার সামনে তখন একা। কিন্তু অমন ‘রসগোল্লা’ সুযোগ পেয়েও পেয়েও অবিশ্বাস্যভাবে বল আকাশে তুলে মারেন বিশ্বকাপ ফাইনাল ইতিহাসে দ্বিতীয় ফুটবলার হিসেবে হ্যাটট্রিক করা ফরাসি সুপার ফুটবলার এমবাপ্পে। সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপ ফুটবলে গোল্ডেন বুট জয়ী এমবাপ্পে ক্লাব ক্যারিয়ারের ৩০০তম এই ম্যাচটিতে হতাশায় ডোবেন নিজে এবং ডোবান ক্লাবকেও।
ম্যাচের বাকি সময়ে তেমন কোনো সুযোগই আর তৈরি করতে পারেনি পিএসজি। যার অনিবার্য ফল হয়- মেসি-নেইমার-এমবাপ্পে ত্রয়ীর অবিশ্বাস্য এক হারের বোঝা নিয়ে মাঠ ছাড়া।
ফরাসি লিগে ১৯ ম্যাচ শেষে পিএসজির পয়েন্ট এখন ৪৭। সমান ম্যাচ খেলা লাঁসের পয়েন্ট ৪৪ আর ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে আছে রেঁনে।
- ছয় বলেই কেন এক ওভার?
- টিম ইন্ডিয়াকে নিয়ে বিদ্রুপ: ক্ষমা চেয়েছে প্রথম আলো!
- এবারো কী ১৪ জন খেলবে টাইগারদের বিরুদ্ধে!
- আনন্দবাজারকে মুস্তাফিজুর
`আপনা আপনিই ওটা হয়, কেউ শেখায়নি` - বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজের টিকিট যেভাবে পাবেন?
- রোনালদোকে বিয়ের দাওয়াত দিলেন মেসির স্ত্রী
- ফের নগ্ন আম্পায়ারিংয়ের শিকার বাংলাদেশ
- বিজয় দিবসে লিভারপুলের শুভেচ্ছা
- অনুশীলনের ফাঁকে মাশরাফির ‘দুষ্টুমি’ (ভিডিও)
- দেশের মাটিতে ‘কিংবদন্তী‘র শেষ ম্যাচ!
- সেই সৌম্যই সমাধান?
- `লিটইন্যা`র সেঞ্চুরি
- গেইলের ১৮+
- প্রীতির দলে নেই শেবাগ, প্রশ্ন উঠেছে ‘সম্পর্ক’ নিয়ে!
- যে কারণে মেসির কথা শুনে কেঁদেছিল পুরো আর্জেন্টিনা দল