মিডিয়ার মহালম্পট???
আদিত্য আলম

তুর্কি অভিনেত্রী ও গায়িকা গুলবেন আরগেন ও সহশিল্পীরা। অভিনয় করেছেন সুলতান সুলেমান সিরিজে সুলেমানের স্ত্রী হুররম সুলতানের চরিত্রে
অকালে অবসর জীবন কাটাচ্ছি। জীবনের প্রতিটি বাঁক ঘুড়ে এসে, কোনকিছুর সাথেই আর যুক্ত হতে ইচ্ছা করে না। পাপ আর পাপ। কয়দিন ধরে মিডিয়ার কিছু মহাবোদ্ধা, সুলতান সুলেমানের এই ছবিটি পোস্ট দিচ্ছে আর বলছে- বাংলা নাটক, ছবিতে কি এসব দেখায়? ‘উপড়ে ফিটফাট, ভিতরে সদরঘাট’- এই প্রবাদ কি ওদের আবিষ্কার না আমাদের?
আমাদের ছবি, নাটকে কী দেখায়নি? আজব মেকিং, আজব গালাগালি, নোংরা কথা, নোংরা অভিব্যক্তি, মাছের আড়ত থেকে লোক ধরে এনে শিল্পি বানানো, আজাইড়া সংলাপের টানাটানি। নাটকে হয়তো চুমাচুমি নাই, কিন্তু সুযোগ পেলে কী যে করতাম, আল্লাহ মালুম।
সিনেমায় কী বাদ রেখেছি? প্রকাশ্যে হলগুলোতে আগে ব্লু ফিল্ম চলত, কেউ কি প্রতিবাদ করেছি? স্কুল জীবনেই ওসব দেখা শেষ করেছি। হায়রে! এসব দেখার ব্যবস্থা কে করে দিয়েছিল? আমাদের নাটক কাদের উপড় ছেড়েছি? ওদের ব্যাকগ্রাউন্ড কী? কারা ওদের সুযোগ করে দিলাম? ওদের নেতা বানিয়ে, মাইকেও কথা বলতে দিচ্ছি! একবারও ভাবলাম না দেশের কথা, আগামী প্রজন্মের কথা!
কতিপয় বিনোদন চালাক সাংবাদিকরা এখন পরিচালক, চ্যানেলের অনুষ্ঠান প্রধান, ভূঁইফোড় মহাধান্দাবাজরা এখন সহকারী থেকে পরিচালক, নিত্য নতুন চ্যানেলের ফুপাত ভাইরা এখন সংস্কৃতির `ভাতার`। ব্রান্ড ম্যানেজাররা এখন শিল্পের নিয়ন্ত্রক। হায় খোদা! কোথায় চলেছি আজ আমরা! ওরা কেন এখন সিনিয়রদের অ্যাভয়েড করে? কোন ধরনের সিনিয়র শিল্পীদের ওরা অপছন্দ করে? কাদের ওরা শিল্পাঙ্গন থেকে বিতাড়িত করছে? হায়, আমরা জানলাম শিল্পের মহাসমুদ্র পাড়ি দিলে সম্মান জুটে শিল্পীর, আর এখন এগুলো তামাশার প্রবাদ। ওরা কী করছে? প্রকাশ্যে হয়তো টিভিতে দেখাচ্ছি না চুমাচুমি, অন্তরালে কী হচ্ছে? অন্তরালের ভিডিও প্রকাশিত হওয়ার পরেও, কতিপয় মুরুব্বী তার পাশে দাঁড়াচ্ছি। জনসম্মুখে তাকেই মহান বানাচ্ছি। যার লজ্জায় আর মানুষের দাঁড়ানোর কথা নয়- তাকেই আবার টকশোতে ডাকছি!
এতে করে আমরা সমাজের মানুষকে কিসে উৎসাহিত করছি? শিল্পী হয়ে সমাজে চলতে গিয়ে মানুষের এসব প্রশ্নের কী উত্তর দেব? যমুনা টিভির সুপন রায়ের উপস্থাপনায় একটি অনুষ্ঠানে শোবিজ মিডিয়ার যে ভয়াবহ চিত্র দেখলাম, নিজের কাছেই লজ্জা হয়, কেন শিল্পকে পবিত্র জ্ঞানে ধারণ করেছিলাম? কী আশায় এখনো পড়ে আছি এই অঙ্গনে? এসব নিয়ে কথা বলতে বলতে মঞ্চ, মিডিয়া, চলচ্চিত্র সব অঙ্গনে আজ একঘরে আমি।
ওরা সব গ্রাস করছে, ওরাই আবার বড় বড় লেকচার দিচ্ছে। তাই আসুন ঘোড় অমানিশায় ডোবার আগে এর সংকট নিয়ে বসি, নিজেরা আগে পরিশুদ্ধতার পথ আবিষ্কার করি। যার যা প্রাপ্য সম্মান, তাকে তা ফিরিয়ে দেই, আত্মজিজ্ঞাসায় বসে, এগোই সামনের পথে, যোগ্যদের করি সম্মান আর শ্রদ্ধা সত্যবাদীদের। যোগ্যের মূল্যায়ন সবার আগে- এটাই হোক আগামীর ব্রত।
আজ হয়তো আমার মতো একলা একজন আশাহতের টুঁটি চেপে ধরতে পারলেন, ভবিষ্যতে কোটি আশাহতের টুঁটি চেপে ধরবেন কীভাবে?
লেখক: নাট্যকর্মী, নির্মাতা
নিউজওয়ান২৪.কম/একে
- বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী মুসলিম নারী শেখ হাসিনা
- সিরাজুল আলম খান রহস্য, একটি রাজনৈতিক বিতর্ক
- ঘটনা গুরুতর: প্রধান বিচারপতির উত্তরের আশায় পুরো বাংলাদেশ!
- পিরিয়ডের সময় যে খাবারগুলো ক্ষতিকর
- ‘ডোপ টেস্ট’ কী? জেনে নিন...
- দুর্লভ সাদা গোখরাটি জ্যান্ত গিলে খেল অপর সাপকে! (ভিডিও)
- মইনুলকে জানি না তবে মাসুদা ভাট্টি চরিত্রহীন: তসলিমা
- আহ! কাকের বাসা
- উন্মাদের পরিবেশ সচেতনতা কার্টুন প্রদর্শনী শুরু
- র্যাবের নয়া এডিজি কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, পিএসসি
- ৫ বছর আগের কার্টুনের বক্তব্য...
- বিবস্ত্র হয়ে ঘর পরিষ্কার, অতঃপর...
- কেমন যাবে আপনার আজকের দিন
- গরীবের কংকাল ঢাকে ধনবানের স্ফীত উদর!
- রওশনের বাবা নাকি এরশাদ?- প্রথম আলো